

হে বিদ্যাসাগর
জাতপাত, সতীদাহ, নারীশিক্ষা বিমুখ -
চারিদিকে যখন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ,
অখন্ড মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্ম -
ভগবতীর কোল আলো করে আজ!
দুরন্ত, সাহসী, দৃঢ়চেতা, তেজস্বী, বুদ্ধিমত্তায় -
প্রজ্ঞায়, বাগ্মিতায়, শত প্রতিভায়, তুমি প্রণম্য,
জাতপাত ভেঙে আজ আলোকিত সমাজ -
একত্রিত হতে পেরেছি - শুধু তোমারই জন্য৷
বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার;
তুমি, প্রথম বাংলা লিপি সংস্কারক,
স্ত্রীশিক্ষার প্রসার আর বিধবা বিবাহ প্রচলনে
তুমি অশরীরী আত্মার শুদ্ধিকার,
নারীমুক্তির আসল পথ প্রদর্শক!
তুমি শুধু - লেখক, দার্শনিক, পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, অনুবাদক, প্রকাশক, সংস্কারক, মানবহিতৈষী নও -
তুমি, বাংলার মহাতীর্থ, মহাজাগরণ, আদর্শ মহামানব, বাংলার গৌরবও৷
তোমার লেখা - বর্ণপরিচয়, কথামালা, বোধোদয়, আখ্যানমঞ্জরী, ব্যাকরণ কৌমুদী,
পাই কত লেখা মালা - নিয়ে বিধবা বিবাহ,
কত সুন্দর; শকুন্তলা ও বেতাল পঞ্চবিংশতি৷
তুমি, দয়ার সাগর’; দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত -
দুয়ার হতে শূন্য হাতে কেউ না কখনো ফিরে যেত,
তুমি খাঁটি রত্ন - শত পরীক্ষায় পরীক্ষিত - পবিত্র,
বাংলার প্রবাদ - তোমার বজ্রকঠিন চরিত্র৷
হে মেদিনীপুত্র, দীনময়ীর স্বামী -
ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়;
তুমি পুণ্যতীর্থ, মহাতীর্থ, মহাপুণ্যবান,
দ্বিশত বার্ষিকী জন্মতিথিতে -
লহ মোর দ্বিশত কোটি হৃদয়ের প্রণাম৷
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

