ফাইল চিত্র,

রুস্তমজী ভিকাজী মাদাম কামা

জন্ম - 24.09.1861 মৃত্যু - 13.08.1936.
পিতা-সোরাবজী ফ্রামজী প‍্যাটেল।
মাতা- জিজাবাঈ।            
স্বামী- রুস্তমজী।

আঠার'শ একষট্টির চব্বিশে সেপ্টেম্বর
ভিকাজীর আবির্ভাব বোম্বাই নগর।
সোরাবজী ফ্রামজী পিতা, মাতা জিজাবাঈ
বহু ভাষাবিদ্ কামা বাল‍্য শিক্ষাতেই।

পঁচাশির তেসরা আগষ্ট হ'ল পরিণয়
ভিকাজী ও রুস্তমজীর (কিন্তু) টিকে নাহি রয়।
প্রাচ‍্য সভ‍্যতার প্রতি ভিকাজীর টান
পাশ্চাত্য রুস্তমে টানে পেতে যশ-মান।

দেশব্রতী সেবাব্রতী মারাঠীরা যত
সাভার উৎসাহে যবে হয় সংগঠিত
বিপ্লববাদের মাতা ভিকাজী তথায়
প্রতিবাদে প্রতিরোধে হলেন সহায়।

দুরন্ত দুর্দান্ত সেই শাসকের দল
প্রতিবাদে প্রতিরোধে না হয় বিহ্বল,
অস্ত্র চাই, পেতে হবে বিদেশেতে যেতে
অজুহাত- ইউরোপে অসুখ সারাতে।

লণ্ডনে 'ইণ্ডিয়া হোমরুল সোসাইটি'
'ইণ্ডিয়া হাউস'ও কৃষ্ণ ভার্মার সেটি,
ভিকাজী মিলিত সেথা। সাভার এলে পরে
বিপ্লব আগার হ'ল সে হাউসটি ঘিরে।

সাভার নির্দেশে কামা, রাণা সাথে যায়
স্টুর্টগার্ড ভারতীয় শোভে পতকায়,
সাভার কল্পিত যাহা,হেম রূপায়িত
তারকার চিহ্নযুক্ত ত্রিবর্ণ রঞ্জিত
আঠারই আগষ্ট দিন ঊনিশ'শ সাতে
কামা রচে মুক্তি বার্তা জার্ম্মানী হইতে‌।

'অ্যাশে জ‍্যাকসন' বধে 'ব্রাউনিং' পিস্তল
পাঠাবার দায়ে যবে সাভার বন্দী হয়,
কামা ঘোষে সেই দায় একান্ত তাহার
সে গৌরবে সাভারের নেই অধিকার।
কিন্তু তবু ব‍্যর্থ হন লুকাতে সাভারে
মাতৃ মন কিন্তু তাহে অধিক প্রসারে।

ধন‍্য নারী! বলিহারি! সারা বিশ্ব জুড়ে
ভারতে নয়, 'হেগ'এ আনুক বিচারে সাভারে,
আন্দোলন গড়ে তুলে হন মহীয়সী
ইংল্যান্ড, জার্ম্মান, ফ্রান্স দেখে বিশ্ববাসী।

ফ্রান্সে ইংরেজের যত ভারতীয় সেনা
খেপাইতে কামা সেথা করে আনাগোনা,
'ভিটি' দুর্গে বন্দী রাখে ফরাসী সরকার
প্রথম বন্দিনী তিনি ভারত মাতার।

লেলিনের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি
অসমর্থ রোগাক্রান্ত হয়েও বন্দিনী।
আগষ্ট ছত্রিশে এল সুযোগ এবার
মাতৃভূমি স্পর্শ করে বিদায় নেবার।

আয়ার, পোল‍্যাণ্ড ছিল মিশর তুরস্ক
বিপ্লবীর সাথে যোগ রুশ ও মরক্কো,
ইংল্যান্ড, জার্ম্মান, ফ্রান্স দেশ নয় সবে
কামাল করেছে কামা বিপুল বৈভবে।

জন্ম শতবর্ষে তবে ভারত সরকার
সম্মান দানিতে শ্রেষ্ঠা মাদাম কামার
ডাক টিকিট পনর পয়সার করেছেন বার
মৃত্যুরও রজত জয়ন্তী সেবার।

নারী হ'য়ে কামা কিন্তু নারি,নারী নয়
ঘনীভূত নার কামা মুক্তিরূপা হয়।
এসো মুক্তি এসো ভক্তি এসো তেজোময়
তোমার প্রসাদে আত্ম করি যেন জয়।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

•