

বিদ্যাসাগর
মেদিনীপুরের বীরসিংহ
তোমার জন্মমাটি
বুকে তোমার দীপ্ত তেজ
কখনো শীতলপাটি।
মাতার নাম ভগবতী
পিতা ঠাকুরদাস
দীন দুঃখী আর্ত সেবায়
তোমার বারোমাস।
বিদ্যা তোমার সাগরসম
গভীর বোধোদয়
তোমার হাতেই বাঙালীর
বর্ণ-পরিচয়।
হৃদয় জুড়ে রত্নখনি
হিরে মাণিক পান্না
বিধবাদের পুনর্বিবাহ
মুছিয়ে দিয়ে কান্না।
ন্যায় নীতির পূর্ণ প্রতীক
নারীশিক্ষার দিশারী
নারীমুক্তি আন্দোলনের
তুমিই মহান কান্ডারী।
ঈশ্বর তুমি বাঙালীর
হৃদয়ের মণিকোঠায়
মন্দিরেতে দিনপুজো
আলোর বর্ণমালায়।
বিদ্যাসাগর
ভগবতীর ছেলে তুমি
বুকেতে মূল্যবোধ
বাঁচতে শিখুক প্রতিটা মেয়ে
মায়ের অনুরোধ।
মেয়েরাও মানুষ বটে
আত্মপরিচয়
খুঁজে নিলো হাতে নিয়ে
বর্ণপরিচয়।
আলোর খোঁজ পেলো তারা
জীবন বোধোদয়
গড়বে তারা নতুন সমাজ
রুখবে অবক্ষয়।
যাচ্ছে মেয়ে শশুর বাড়ি
বাবা মা পর
হারিয়ে যাচ্ছে ছোটবেলা
পুতুল খেলার ঘর।
নিয়ম রীতি ভেঙে মেয়ে
স্কুলে পড়তে যায়
বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ
বিদ্যাসাগরের জয়।
একাদশী তে দেয় না মা
একটুখানি ভাত
বিধবা মেয়ের পেটে খিদে
বয়স মোটে সাত।
বিধবা বিবাহ -পুনর্জন্ম
রংহীন এক মেয়ে
ফিরে পেলো সুখ শান্তি
স্বামী সন্তান নিয়ে।
স্বামীর সাথে পুড়েছে মেয়ে
সহমরণ প্রথা
পুণ্যি লাভের একটু আশায়
আগুনে ইতিকথা।
বিদ্যাসাগর করেছিলেন
কঠিন হাতে দমন
পথ প্রদর্শক ছিলেন স্বয়ং
রাজা রামমোহন।
নারী মুক্তি আন্দোলনে
আগুন সংগ্রাম
হৃদয় জুড়ে অমর অক্ষয়
'বিদ্যাসাগর'-নাম।
ঈশ্বরচন্দ্র
মাটির বুকে অসুখ তখন
কুসংস্কারের খরা
নিরক্ষরে ভরা দেশে
অন্ধকারের জরা।
ঈশ্বর এলে মানুষ রূপে
করতে বোধোদয়
আখর দিয়ে গাঁথলে মালা
বর্ণ পরিচয়।
দাসী বাঁদি নয় নারী
আস্ত একটা মানুষ
বিধাতা নয় তার জীবনে
শুধুমাত্র পুরুষ।
লেখা পড়া শেখে মেয়ে
শিরদাঁড়াটা সোজা
তোমার জন্য মেয়ে আজ
নয় সমাজের বোঝা।
ছুঁড়ে দিয়ে সাদা থান
পরনে রঙিন শাড়ি
সই জোগাড়ে বিদ্যাসাগর
ঘোরেন বাড়ি বাড়ি।
বিধবা বিবাহ চালু হলো
বন্ধ একাদশী
বিয়ের বয়স ধার্য হলো
যখন অষ্টাদশী।
অনেক যুদ্ধ অনেক লড়াই
অনেক সংগ্রাম
তুমিই ঈশ্বর বিদ্যাসাগর
তুমিই ভগবান।
মেয়ে পুরুষ সমান সমান
একই অধিকার
পৃথিবীতে মানুষ জন্মায়
ঈশ্বর একবার।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

