

অন্তরালে
বিনি সুতোর মালা ছিড়ে
বীরসিংহের আঁতুড় ভুলে
পলেস্তারা খসা দেহ,দেয়াল ধসা মন নিয়ে
অবশেষে চলে গেলে অন্তরালে।
কর্মস্থল কল্লোলিনী তিলোত্তমার রূপ ভুলে
মনান্তরের সাঁকোর ওপারে, প্রকৃতির অন্তেবাসী।
,শাল,মহুয়া, কর্মা- - বনবীথির কর্মাটাঁড়-
হল তোমার বার্ধক্যের বারানসী।
মাটি-মানুষের ঘামের গন্ধ শুঁকে
দূধ - সাদা মন উথলে উঠল আবার।
ভুখা মুখে ভরা গ্রাস তুলে দিয়ে
হলে তুমি নব অবতার।
ওখানেও কর্মযজ্ঞের শঙ্খ বাজিয়ে
আখরহীনদের করলে তুমি সাক্ষর।
অচিরেই খুলে দিলে নৈশ বিদ্যালয় - -
তাই তো ওদের ,তুমি- ' বিদ্যেসাগর।'
বাংলা গদ্যে প্রথম শিল্পী তুমি
নির্ঘুমে কাজল- রূপ দিলে -' বর্ণপরিচয়।'
তোমার আদর ছোঁয়া উঠোনে আজও
দখিনা বাতাসে হাসে ' আবের' কিশলয়।
তুলে নিলে নিজ হাতে
চিকিৎসা,সেবা; হলে জীবন দাতা।
অচিরেই 'ঈশ্বর' তুমি হয়ে গেলে
হর গরিবের 'দেব্ তা ।'
বিদ্যাসাগর স্টেশনে' কুলি,কুলি ' ডাক শুনে
কর্মাটাঁডে ইতিকথা মনে আসে।
ঈশ্বরের জীবন - গাথা তৈলচিত্র যত
মূর্ত আজ প্ল্যাটফর্মের প্রতি ক্যানভাসে।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
