ফাইল চিত্র,

অনিলকুমার দাস
জন্ম - 01.02.1902 মৃত্যু - 18.02.1961
একজন বিজ্ঞানীকে
যতটা বাধার প্রাচীর ডিঙ্গোতে হয়-
যদি দেশ পরাধীন হয়,
অথবা মানসিক পরাধীনতা বন্দী।
অর্থ নেই, পরিকাঠামো নেই,
প্রচার নেই, প্রতিপত্তি তো নেইই।
পরিবার সংসার যায় ভেসে
বিজ্ঞানীর আত্মস্থ চিন্তার ঘোরে।
ভাগ্যিস্! আত্মস্থ থাকে
তাই গঞ্জনা গঞ্জ না হ'য়ে থাকে,
কি সমাজে কি সংসারে
কি চাওয়ায় কি পাওয়ায়।
নইলে অনিলকুমার দাস
তাঁর চশমা পরা দু'চোখ দিয়ে
দেখতে কি পেত না
তাঁর দেশবাসী অন্ধ-দেখতেই পায় না।
বাঙ্গালীর তরে, ভারতের তরে
এনে দিয়েছেন কি বিরল সম্মান!
চন্দ্রম্যাপে কার নাম?
হয়ত গহ্বরের নাম ব'লে
ঢুকতেই পারেনি গহ্বরে।
নইলে দেখতে পেত-
পদার্থবিদ্যায় এম.এ.তে
প্রথম শ্রেণীতে প্রথম ছাত্রটি
গবেষণার জন্য ফ্রান্স যাচ্ছে
পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে,
কেননা অদম্য ইচ্ছায়
দেশের জন্য চাই বিপুল সম্মান,
গড়বে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র
হোক্ না তা কোদাইকানল এ।
অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ক'রে
তৈরী করবে গবেষক গোষ্ঠী।
হে বীর ভারতসন্তান!
ওগো রয়্যাল আ্যস্ট্রোনমির ফেলো
পদ্মশ্রী, এফ্.এন্.আই-
তুমি কি চাও ভাবীকালের কাছে?
তোমাদের আবিস্কারের সুফল ভোগে
বিলাসের নগ্নতায় ডুবে যাই?
আবার মোহ নিদ্রায় আচ্ছন্ন হই?
নাকি তোমাদের মত আত্মস্থ হই
আত্মশক্তি সম্পন্ন হ'য়ে উঠি
জাগি, জাগাই?
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
