মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে ভগৎ সিং।

👨🏻‍🎨 দেবায়ন কর
✍️ শীর্ষেন্দু দাস
( প্রাক্তন শিক্ষক )

বীর বিপ্লবী ভগৎ সিং

জন্ম - 28.02.1907 মৃত্যু - 23.03.1931.

ঊনিশ'শ আঠাশের ত্রিশে অক্টোবরে
সাইমন কমিশন লাহোর নগরে।
প্রতিবাদে হরতাল লাহোর উত্তাল
নেতৃত্বে শিখর নেতা লাজপত্ রায়।
মাথায় লাঠির বাড়ি রক্ত শুধু ঝরে
সাত দিন পর লালা ভব পারাপারে।
প্রতিশোধ কামনায় এক মাস পরে
স্ট‍্যান্ডর্স নিহত হ'ল রাজপথ 'পরে।
এবারের মত কিন্তু স্কট বেঁচে গেল
শুক রাজ ও ভগত অধরা রহিল।

বোমা বানানের বিদ‍্যা শিখনের তরে
দূর বঙ্গ থেকে বরে আনা যতীনেরে।
ওদিকে বিপ্লবীদের শিক্ষা দান তরে
ঘৃণ‍্য দুই বিল এল ভারত মাঝারে।
'পাবলিক সেফটি'ও 'ট্রেড ডিসপিউট'
প্রতিবাদে সংসদেতে ভগত্ বটুক।
দুই বিল প্রতিবাদে দুই বোমা হানে
বধির সরকার যাতে শোনে দুই কানে।
কাপুরুষের মত পলায়ন না ক'রে
সাম‍্য ও বিপ্লব ধ্বনি সংসদ মুখরে।
শত শত প্রচারিকা বিতরে ভবনে
'হিন্দুস্থান সোসালিষ্ট রিপাবলিক' নামে।

এর পর শুরু হ'ল ব‍্যাপক গ্রেপ্তার
সূত্রও এসে গেল লাহোর মামলার।
শুক-রাজ-বটু-শিব-যতীন-ভগত্
ইত‍্যাদি চব্বিশ জন হলেন আটক।
অকারণে বন্দী ব'লে প্রতিবাদ ক'রে
তেষট্টি দিন অনশনে যতি গেল মরে।

লাহোর ষড়যন্ত্র নামের সে মামলা
সহজে নিষ্পত্তি নয় যায় কিন্তু বলা।
দুই বার বিচারক পদত‍্যাগ করে
অর্ডিন্যান্স জারি তাই অবৈধ প্রকারে।
পনের মাস বিচারের ক'রে প্রহসন
শিব-শুক-রাজ-ভগৎ মৃত‍্যু দণ্ড পান।

ভগতের পিতা যবে আবেদনে যায়
প্রত‍্যাখান ভগতের এমনি ধারায়-
'বিচারের নামে হত‍্যা বিচিত্র তো নয়
আদর্শের মৃত‍্যু কিন্তু তবু নাহি হয়।
যে আদর্শ লাগি প্রাণ তুচ্ছ করি মনে
ঘৃণ‍্য ভিক্ষা, প্রাণ লাগি করিব কেমনে।
বরং মৃত‍্যুই শ্রেয় আদর্শের নয়
ক্ষম মোরে ক্ষম মোরে পিতা সদাশয়।
সহযাত্রী বন্ধুদের না করি অন‍্যথা
জীবনে মরণে রটি বিপ্লবের কথা।'
ঊনিশ'শ একত্রিশে মার্চ তেইশেতে
শিব-রাজ-শুক-ভগৎ নিহত ফাঁসিতে।
পাঞ্জাব উত্তাল হ'ল শহীদ স্মৃতিতে
আপোষপন্থীর রক্ত ঝরেনি মাটিতে।

কয়েকটি প্রাণে দেশ হবে না স্বাধীন
ভগত্ বিপ্লবী চাহে ভয়ডর হীন।
'নওজোয়ান ভারতসভা' তাইই স্থাপনা
জাতিকে দানিতে তেজ বীর্য্য ও এষণা।
ভারতের নব যুবা সম্প্রতির দল
জানিতে তাঁদের কীর্তি হবে কি সফল?
অন‍্যায়ের প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে
দিবে কি সম্মান যাঁরা মরেও না মরে?

ভাবীদের তরে যাঁরা মৃত‍্যু হেসে বরে
শেষ যাত্রা দেখালোই বাসরের ক'রে।
কায় মন বাক‍্যে সব সত‍্য ক'রে যায়
তৃপ্ত করে দিতে এসো আছি প্রতীক্ষায়।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *