ফাইল চিত্র,
বিপ্লবী সুখদেব থাপার
সুখদেব থাপার একজন ভারতীয় বিপ্লবী ছিলেন। হিন্দুস্তান সমাজতান্ত্রিক রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিনিয়র সদস্য, তিনি ভগত সিং এবং শিবরাম রাজগুরু এর সাথে একাধিক সংগ্ৰামে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯৩১ সালের ২৩ শে মার্চ ২৩ বছর বয়সে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ফাঁসি দিয়েছিল।
জন্ম:
১৫ ই মে ১৯০৭ সাল- লুধিয়ানা, পাঞ্জাব
আত্মবলিদান :
২৩ শে মার্চ ১৯৩১- লাহোর, পাঞ্জাব
সুখদেব থাপার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০৭ সালের ১৫ মে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে।শৈশব থেকেই তিনি দেশে ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচার দেখেছিলেন এবং এ কারণেই তিনি দাসত্বের শৃঙ্খলা ভেঙে বিপ্লবী দলে যোগ দেন।
সুখদেবের বাবার নাম ছিল শ্রী রামলাল থাপর একজন নামকরা সামাজিক কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা রাল্লী দেবী, সুখদেবর খট্রি পরিবারে জন্ম। সুখদেবের জন্মের ২ বছর পরেই তার বাবার মৃত্যু হয়। সুখদেবেকে লালন পালন করে তার কাকা শ্রী অচিন্তরাম থাপর ।সুখদেবের জন্মের সময় তার কাকা অচিন্তরাম জেলে সাজা কাটছিলেন । এইরকম বিপ্লবী বাতাবরণে সুখদেব বড়ো হয়েছেন ।সুখদেব যখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তখন একদিন গভর্নর তার বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষকের আদেশে সকল ছাত্ররা গভর্নর কে স্যালুট করেন , কিন্তু সুখদেব তা করেনি। তখন সুখদেবকে জিজ্ঞাসা করা হল কেন সে গভর্নরকে স্যালুট করল না, সুখদেব পরিষ্কার বলে দিল, সে কোন ইংরেজকে স্যালুট করতে পরবে না । যারা দেশকে পারধীন বানিয়ে রেখেছে তাঁদের কাছে মাথা নত করা স্যালুট করা তার পক্ষে সম্ভব নয় । দেশের প্রতি তার ভক্তি সেই সময় অনেকেই ভাবিয়ে তুলেছিল ।
এরপর ধীরে ধীরে বিপ্লবীদের সাথে তার যোগাযোগ হয়। ভগৎ সিংয়ের সাথে পরিচয় ঘটলো তারপর সুখদেব আর ভগৎ সিং মিলে বিপ্লবী দলের কাজ চালিয়ে গেলো। একটা বাড়ী ভাড়া নিল তারা । দিনের বেলায় বাইরে থাকত আর রাত করে ফিরত। এভাবেই চলতে থাকে কিন্তু কিছুদিন পরে বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজনের তাদের উপর সন্দেহ হলে সুখদেব নিজের মাকে সেই বাড়িতে নিয়ে এলো। এবার কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে, সে উত্তর দিত সে কাজ করে, অনেক দূরে রাস্তার কাজ চলছে। দিন-রাত কাজ করে বাড়ি আসতে দেরি হয় তাঁদের।
সুখদেব হিন্দুস্তান সমাজতান্ত্রিক রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন এবং পাঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে বিপ্লবী দল সংগঠিত করেছিলেন। তিনি এইচএসআরএর পাঞ্জাব ইউনিটের প্রধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ছিলেন।
সুখদেব অনেক ছোটো থেকেই খুব সাহসী ছিল। লাহোরে যখন বোম বানানোর কাজ শুরু হল, তখন সে ফিরোজপুর থেকে বোমের মালপত্র নিয়ে আসতো। একবার মাল আনতে গিয়ে সিপাহীদের ধাবায় চলে গেছিল। সুখদেবকে অনেক মার খেতে হয়েছে সেই সময় । সুখদেব চুপচাপ মার খেতে থাকে, কিন্তু কিছু বলেননি, কারণ তার থোলিতে পিস্তল, কার্তুজ সহ বোমা বানানোর মাল মসলা ছিল। একজন সিপাহী বলে উঠলেন এই থোলিতে তোর কি আছে, সুখদেব বুদ্ধি খাটিয়ে হেসে বলল—সিপাই জি পিস্তল আর কার্তুজ আছে, সিপাহীরা সব হেসে ফেলল আর কথা ঘুরিয়ে গেলো তার পর ছেড়ে দিলো ।
সুখদেব ১৯২৯ সালে জেল অনশন ধর্মঘটের মতো অসংখ্য বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় হামলার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। প্রবীণ নেতা লালা লাজপত রাইয়ের সহিংস মৃত্যু বরণ তাঁদের মনে আগুন জ্বালিয়ে ১৯২৮ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর ভগৎ সিং ও শিবরাম রাজগুরু দ্বারা সহকারী পুলিশ সুপার জেপি সান্ডার্সের হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। আর এই কাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকেন ।
যখন সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করতে গিয়ে লাঠি চার্জে লালা লাজপত রায় মারা যান, তখন স্যান্ডার্স কে মৃত্যু দিয়েছিল বিপ্লবীরা তাদের মধ্যে সুখদেবও ছিল। এই ঘটনাটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল এবং বিপ্লবীরা আর সারা দেশে আনন্দিত হয়েছিল। স্যান্ডার্স হত্যার মামলাটি 'লাহোর ষড়যন্ত্র' নামে পরিচিতি লাভ করে। এক্ষেত্রে শিবরাম রাজগুরু, সুখদেব এবং ভগৎ সিংকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৩১ সালের ২৩ শে মার্চ, বিপ্লবীরা ফাঁসির ফাঁদে জড়িয়ে পড়ে এবং দেশের যুবকদের হৃদয়ে স্বাধীনতা লাভের এক নতুন তাগিদ তৈরি করে। ফাঁসির সময় সুখদেবের বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর।
সুখদেব ১৯২৯ সালের লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি ছিলেন, যার সরকারী উপাধি ছিল "সুখদেব ও অন্যদের তুলনায় ক্রাউন"। আরএসএসের আদালতে সিনিয়র পুলিশ সুপার হ্যামিল্টন হার্ডিং দায়ের করা মামলার প্রথম তথ্য প্রতিবেদন । ১৯২৯ সালের এপ্রিল মাসে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট পণ্ডিত সুখদেবকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এতে তাকে স্বামী ওরফে গ্রামবাসী, রাম লালের ছেলে, বর্ণ থাপার খট্রি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।নয়াদিল্লিতে সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলি হল বোমা হামলার পরে ৮ই এপ্রিল ১৯২৯ সালে সুখদেব এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ল

ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,
পূর্ব মেদিনীপুর
🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in
