ফাইল চিত্র,

সুচিত্রা (দাশগুপ্ত)সেন

জন্ম - 06.04.1931. মৃত্যু - 17.01.2014

পিতা-করুণাময় দাশগুপ্ত। 
মাতা-ইন্দিরা দেবী।
স্বামী-দিবানাথ সেন।

পঞ্চ কন‍্যা চার পুত্র দাশগুপ্ত ঘরে
শ্রেষ্ঠা রত্ন কৃষ্ণা-রমা বাঙ্গালী আদরে।
বিহার মাতুলালয় জন্মভূমি তাঁর
পাবনা তনয়া- অভিনয় সমাচার।

দক্ষিণে কুষ্টিয়া জেলা আর ফরিদপুর
সুর নদী পদ্মা-গঙ্গা বহে ভরপুর।
অগ্নিতে রয়েছে ঢাকা, পূর্বে টাঙ্গাইল
বহতা যমুনা ধন‍্যা পদ্মায় সামিল।
পশ্চিমে সে রাজসাহী, উত্তরে বগুড়া
মধ‍্যেতে পাবনা ভূমি যেথা রমা গড়া।

চঞ্চলা নদীর মতো বহিত জীবন
অভিনয় উজাড়িল জন আকর্ষণ।
আদিনাথ পচ্ছন্দের কন‍্যা রমা হন
স্বামী হন দিবানাথ করিয়া বরণ।
পত্নী প্রতি দিবানাথ অনুরাগে কয়
'তোমা দেখি চলচ্চিত্রে কী যে ইচ্ছা হয়।'
'বাড়ীর বধুরে কেউ অভিনয় স্থানে
চাহে কি দেখিতে কেউ সোহাগে না হেনে?'
স্বামী ইচ্ছা অনুসারী সুকন‍্যা সুচিত্রা
একদা শ্বশুর স্থানে নিবেদিল কথা।
নয়নে নয়ন রাখি পরখিয়া কন
'দিবা রাজী হলে জেনো আদি না বন্ধন।'

আষ্ঠাদশী চলচ্চিত্রে ঊনপঞ্চাশ সালে
সূচনা 'শেষ কোথায়' মুক্তি নাহি মেলে।
মুক্তি দিল মিনার, বিজলী, ছবিঘর
'সাত নম্বর কয়েদী' 'সাড়ে চুয়াত্তর'
'কাজরী' ও ' ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন‍্য' 
সেই থেকে বাঙ্গালীরা করে ধন‍্য ধন‍্য।

কেমন বিপুল টান শেষ ছবি খানা
রাজেন্দ্র নাথ দে-যাঁরে সন্ন‍্যাসী জানা
প্রতিদিন দুটি শো বিকালে সন্ধ্যায়
প্রেক্ষাগৃহে ঋষিটিরে নিত্য দেখা যায়।
মোহিত বীরেন্দ্র ভদ্র যথার্থই কন
সিনেমার স্বপ্ন কন‍্যা সুচিত্রা এখন।
'টক্ অফ্ দি টাউন' শ্বশুরও তা জানে
সে বার্তা জানিল কন‍্যা দারুন দুর্দিনে।

শ্বশুর বিমল রায় বোম্বে নেন ডেকে
'দেবদাস'সহ সব হিট্ সেথা থেকে।
'মুসাফির' 'চম্পাকলি' 'বোম্বাই কা বাবু'
'ফারহাদ' 'মমতা' 'আঁধি' হিন্দী চিত্র শুধু
হৃষিকেশ, নন্দলাল, রাজ খোশলা আছে
পরিচালক শঙ্কর, অমিত, গুলজার কাছে।
আটাত্তরে 'প্রনয় পাশা'য় শেষ অভিনয়
বাংলায় পঞ্চান্ন চিত্র, হিন্দী শুধু ছয়।

রবিন, বিকাশ সাথে উত্তমকুমার
সৌমিত্র, বসন্ত বাবু, দেবানন্দ আর
ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব আছে অশোককুমার
ভারতভূষণ আদি চিত্রনায়ক তাঁর
উত্তম-সুচিত্রা জুটি সেরা রোমান্টিক
আজও বাঙ্গালী নাকি এতে নষ্ট‍্যালজিক।
'সপ্তপদী'র সেই গান, ওই শোনা যায়
'এ পথ যদি না শেষ হয়..'হিয়া দোলে তায়।

তবু পথ শেষ হয়, আশা থাকে চেয়ে
চোখ যদি একবার যেত তাঁরে ছুঁয়ে!
হায়!কেন ছিলেন তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে
জানাতাম বরেছিনু বরিষ্ঠ আসনে।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

•