ফাইল চিত্র,

( প্রাক্তন শিক্ষক )
লৌহমানব সর্দ্দার বল্লভভাই প্যাটেল
জন্ম - 31.10.1875 মৃত্যু - 15.12.1950.
ক্ষত্রতেজে ভারতের যাঁরা চিরদীপ্ত জন
তাঁদের মধ্যে লৌহমানব অন্যতম হন।
'খেদা' সত্যাগ্রহে বীর সংগ্রামের সাজে
ব্যারিস্টারী সাথে প্রথম জনগণ মাঝে।
'রাউলাট' প্রতিবাদে এবে অতপর
ঘৃণ্যতম জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড পর।
ব্যারিস্টারী কর্ম্মকাণ্ড ছেড়ে একেবারে
প্রত্যক্ষ সংগ্রামে এলেন গণ দরবারে।
বরদৌলি সত্যাগ্রহে দিয়েছেন ডাক
'দিও না জমির কর' যত দিক্ জাঁক।
অটল সংকল্প সাথে দৃঢ় যাঁর মন
জয়লক্ষ্মী করে তাঁরে সাদরে বরণ।
এই জয়ে জনগণ সেবা স্বীকৃতিতে
'সর্দ্দার' আখ্যায় সবে লাগিল ভূষিতে।
ঊনিশ'শ পঁয়ত্রিশে প্রাদেশিক নির্বাচনে
আঠারো প্রদেশে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনে,
অবিসম্বদিত প্রাণপুরুষ রূপে খ্যাত হন
সাঁইত্রিশে সর্ব্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে স্বাধীনোত্তর কালে
নেহরু ও প্যাটেল দুই, পদ প্রার্থী হ'লে,
তের-এক ভোটে প্যাটেল নির্বাচিত হন
তবুও নেহরু পান ঈপ্সিত আসন
একনায়ক গান্ধীজীর হস্তক্ষেপ ফলে।
ইতিহাস বেঁকে গেল বা্ঁকা পথে চলে।
স্বরাষ্ট্র, বেতার,তথ্য মন্ত্রক নিয়ে হাতে
প্যাটেল মননী হলেন দেশ গড়ে নিতে।
পাঁচ'শ বাষট্টি ছিল রাজ্য ছোট-বড়
ভাষাভিত্তিক পুর্ণবণ্টনে মন করে দৃঢ়
ছাব্বিশ রাজ্য প্যাটেল করেন গঠন
কেন্দ্রশাসিত সাত রাখিতে মনন।
হায়দ্রাবাদের নিজাম নিম রাজী হলে
অন্ধ্রেযুক্ত ভারতভুক্ত প্যাটেলের বলে।
কাশ্মীর দখলে যবে পাক সেনাগণ
বিতাড়নে প্যাটেল সেনা করেন প্রেরণ।
সেনা যবে মহামারে পাক উৎখাত পথে
নেহরুর অপবুদ্ধি এল কোথা হ'তে
রাষ্ট্রপুঞ্জে সমস্যাটি করিয়া প্রেরণ
থামালেন অগ্রবর্তী বীর সেনাগণ।
অথচ বিষবৃক্ষ জন্মলগ্নে উৎপাটন মন
করেছিলেন বল্লভভাই যথা আচরণ।
তাই তাঁরে 'লৌহমানব' কহে জনগণ
দূরদৃষ্টি ছিল যাঁর অনন্য সাধারণ।
সরকার তাঁর মৃত্যুর একচল্লিশ বছর পরে
মরণোত্তর 'ভারতরত্ন'এ ভূষিলেন তাঁরে।
গুজরাটের নর্মদা জেলার ক্ষুদ্র এক দ্বীপে
বিশ্বের বৃহত্তম মূর্ত্তি 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি' রূপে
দু'হাজার আঠারোতে করেছেন স্থাপন
লৌহমানবে যথা সম্মান করে প্রদর্শন।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
