মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে সাঁতারু আরতি গুপ্ত।

ফাইল চিত্র,

✍️ শীর্ষেন্দু দাস
( প্রাক্তন শিক্ষক )

সাঁতারু আরতি (সাহা) গুপ্ত

জন্ম - 24.09.1940. মৃত্যু - 23.08.1994.
পিতা-পাঁচুগোপাল সাহা। 
মাতা-প্রভাবতী দেবী।
স্বামী-অরুণ গুপ্ত।

ফ্রান্সের 'ক‍্যালে'থেকে ইংল‍্যাণ্ডের 'ডোভার'
ইংলিশ চ‍্যানেল নামে বিশ্ব খ‍্যাতি যার,
মহিলা প্রথম তিনি ভারতীয়ও বটে
এশিয় প্রথম তিনি যাঁর সাফ‍্যলেতে,
বাঙ্গালীর গর্ব বিশ্বে ঘোষিল অপার
আরতি চ‍্যানেল সেই যবে হন পার,
ঊনিশ'শ ঊনষাটের ঊনত্রিশে সেপ্টেম্বর
ষোল ঘন্টা কুড়ি মিনিট সাঁতারের পর।

পিতৃব‍্য বিশ্বনাথ চার বছর থেকে
সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাঁকে।
এক'শ দশ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতারে
স্বর্ণ পদক অর্জেন মাত্র ছ'বছর বয়সে
সাঁতারু ব্রজেন, মিহির চ‍্যানেল বিজয়ী
ধন‍্য তাঁরা, যাঁরা তাঁরে করেন উৎসাহী।
ধন‍্য কোচ যামিনী দাস আর শচীন নাগ
সুসাঁতারু করে দিতে যাঁদের সোহাগ।
'শোভাবাজার হাট খোলা' ধন‍্য বলে মানি
যে ক্লাব দানিল বঙ্গে গৌরবগামিনী।
ধন‍্য সে অরুণ গুপ্ত চিকিৎসক স্বামী
উৎসাহ দানে যিনি ছিলেন অগ্রগামী।

ঊনিশ'শ ষাটে তাঁকে ভারত সরকার
'পদ্মশ্রী' সম্মান দিল ভূষণ বাহার।
বি.এন.আর. ধন‍্য করিয়া বরণ
সম্মান চাকুরী তাঁরে দানেন যখন।
ঊনিশ'শ নিরানব্বইএ দেশের সরকার
                  করলেন বার
ডাক টিকিট তিন টাকার সম্মানে তাঁর।

প্রেরণা, অনুশীলন, অধ‍্যবসায় ফল
দেখ দেখ কতখানি করে যে সফল।
ছেচল্লিশ থেকেই তাঁরে শীর্ষ স্থানে পাই
দেশে বাইশ পদক স্বর্ণ পাঁচ বছরেই।

অতএব মাতা পিতা শিক্ষাগুরুগণ
উৎসাহ দানিতে সবে করুন যতন।
ধন‍্য পুত্রকন‍্যা পাব ধন‍্য হবে দেশ
আত্মশক্তি দানে চেষ্টা পাইলে বিশেষ।
আরতি সাহা গুপ্ত- গৌরবগামিনী
নমস্কার নমস্কার ভারতনন্দিনী।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *