
( প্রাক্তন শিক্ষক )
বীণা দাস (ভৌমিক)
জন্ম - 24.08.1911. মৃত্যু - 26.12.1986.
পিতা-বেণীমাধব দাস।
মাতা-সরলাদেবী।
স্বামী-যতীশ ভৌমিক।
যাঁহার প্রেরণা স্পর্শে নেতাজী সুভাষ
তাঁহার দ্বিতীয়া কন্যা অগ্নি বীণা দাস।
ফেব্রুয়ারী সমাবর্তন ঊনিশ'শ বত্রিশে
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বীণা দাস আসে।
সে সভায় জ্যাকসন গভর্নর-উপাচার্য্য
অত্যাচারী ব্রিটিশের মূর্ত্ত যে বিগ্রহ।
বীণার হাতের পিস্তল মুহূর্তে গর্জায়
সে যাত্রায় লক্ষ্য জ্যাক যদিও ফস্কায়,
ন'বছর কারাদণ্ড সশ্রম না আটকায়
ছাত্রীসঙের বীণা দাস লৌহ কারায়।
চট্টগ্রামের অগ্নিকন্যা বীণার প্রেরণা
বন্ধন মুক্তির ডাকে অনন্য যোজনা,
বঙ্গের যুবক দলে অনিবার্য্যভাবে
দেশমুক্তি লাগি সবে আত্মত্যাগে জাগে।
ঊনিশ'শ আঠাশে যবে বি.ভি. হল গড়া
স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীতে বীণা আগে খাড়া।
সাইমন প্রতিবাদে আন্দোলনে ঝড়
বীণা সাথে আছে কেবা পিছু দেবে রড়?
এসব স্মৃতির দৃশ্য জাগে মনে জাগে
অরুণ তরুণ জোটে বিপ্লবী বিভাগে।
গান্ধীজীর রাজবন্দী মুক্তি আন্দোলনে
সাত সন পরে বীণা বিপ্লব অঙ্গনে।
প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদিকা বটে
'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনে পুনঃ কারা জোটে।
নোয়াখালী হিন্দু হত্যা জঘন্য কাণ্ড পরে
মুক্তি পেয়ে তথা সেবা কাজে অতঃপরে।
সুচেতা কৃপালনীর নেতৃত্বে তখন
শান্তি স্থাপনের কাজে নিয়োজিত হন।
সংগঠন গড়ে তোলা, স্কুল পরিচালনা
কায় মন সঁপি তাঁর অক্ষয় সাধনা।
সাতচল্লিশে বরণের পান অবসর
যুগান্তর সৈনিক যতীশ ভৌমিকে বর।
কিন্তু ওঠে হাহাকার সারা বঙ্গ জুড়ে
বিদ্বেষ ও হানাহানি ভিতরে-বাহিরে,
স্বাধীনতা অভিশাপ যেন মনে হয়
কোথা গৃহ জায়া কন্যা কোথা পুত্র রয়!
প্রাণ রক্ষা ভয় সবে, ধর্ম্মরক্ষা ভয়
সব ছেড়ে এবে নাম উদ্বাস্তু নিশ্চয়।
শরণার্থী দলে বীণা যথাসাধ্য তোষে
কাটেনি সময় কাল বিবাহ আবেশে।
একাত্তরে বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধ কালে
সীমান্তে এলেন বীণা সাহায্যকারী দলে।
পঁচাত্তরে 'জরুরী অবস্থা'য় সোচ্চার
'মারিচ ঝাঁপি' কান্ডে হানে সুতীব্র ধিক্কার।
ক্লান্ত বীণা ছিয়াশির ডিসেম্বর ছাব্বিশে
স্তব্ধ হল নির্বান্ধব নির্জন হৃষিকেশে।
'শৃঙ্খল ঝংঙ্কার' আর লেখা 'পিতৃধন'
উদ্ঘাটিতে সত্য বীণা করে গুঞ্জরণ।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
