মহারাজ নন্দকুমার
ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে দেশকে স্বাধীন করবার জন্য অনেকেই প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন শহীদ হয়েছেন। আমরা অনেকেই জানি যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ইতিহাসে প্রথম শহীদ ক্ষুদিরাম বসু কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য না হোক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে ছিলেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন মহারাজ নন্দকুমার । অন্যায় ভাবে মহারাজ নন্দকুমার কে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন । তাই সে দিক থেকে হিসেব করলে বাংলা কথা ভারতবর্ষের প্রথম বাঙালি শহীদ মহারাজ নন্দকুমার । অবশ্য নন্দকুমারকে অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেওয়ার ফলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল বাংলা তথা ভারতবর্ষের আপামর মানুষজন । তিনি ছিলেন তৎকালীন হিন্দু নেতা । তিনি ছিলেন নির্ভিক পুরুষ যিনি ব্রিটিশ শক্তির অন্যায় অত্যাচার ও নিষ্ঠুর শক্তির প্রতিহতকারি একজন সংগ্রামী সৈনিক ।
জন্ম :
১৭০৫ সালে (পূর্বে মুর্শিদাবাদ জেলা )বর্তমান ভদ্রপুর গ্রাম, বীরভূম জেলা।
আত্মাহুতি :
৫ ই আগষ্ট ১৭৭৫ সাল, খিদিরপুরের তিন রাস্তার মােড়,কুলি বাজার, কোলকাতা।
বাংলা তথা ভারতের প্রথম শহীদ বাঙালী মহারাজ নন্দকুমার । অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঘােরতর অন্যায় অত্যাচার ও অবিচার ,আগ্রাশি অর্থলিপ্সা ,স্বেচ্ছাচারের অবাধ গতিকে প্রতিহত করার জন্য বাংলার একমাত্র যুবক মহারাজ নন্দকুমার সেদিন শিরদাঁড়া সোজা করে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিলেন । তিনি ছিলেন নির্ভিক পুরুষ যিনি ব্রিটিশ শক্তির অন্যায় অত্যাচার ও নিষ্ঠুর শক্তির প্রতিহতকারি একজন সংগ্রামী সৈনিক । দেশর স্বার্থে, জাতির স্বার্থে , সত্য ও ন্যায়ের কাছে বলিপ্রদত্ত একজন স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক ছিলেন মহারাজ নন্দকুমার ।
একদিকে ইংরাজ বণিকদের ক্রমগত শােষণের ফলে বাংলা তথা ভারতের জনসাধারনের ভয়াবহ অবস্থা , তারউপর অন্য দিকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে ১১৭৬ সাল বাংলা মহাশ্মশান পরিণত হলো । এই নিদারুন পরিস্থিতিতে ইংরাজ বণিকরা চালের কালাে বাজারি শুরু করলেন আর তার প্রতিবাদ করলেন নন্দকুমার । আর এই প্রতিবাদ ইংরেজরা মেনে নিতে পারেন নি ফলে অন্যায় ভাবে ফাঁসিকাঠে ঝুলতে হল এক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ , সুপন্ডিত ও ধার্মিক ব্যক্তি মহারাজ নন্দকুমারকে । প্রথম বাঙালী শহীদের আত্মবলিদানের উপর সেদিন বাংলার তথা ভারতের মুক্তি সংগ্রামের পথ প্রসস্থ হয়ে উঠেছিল ।
১৭০৫ খৃষ্টাব্দে পূর্বে মুর্শিদাবাদ জেলা বর্তমান বীরভূম জেলার নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে নন্দকুমার জন্মগ্রহণ করেন । পিতা পদ্মনাভ রায় নবাব আলিবর্দী খাঁর আমলে তিনটি পরগণার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন । নন্দকুমার বাবার কাছে রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ শিখে পারদর্শী হয়ে উঠেন । নবাব আলিবর্দী খাঁর রাজত্বের সময় তিনি হগলীর দেওয়ান ও পরে ফৌজদার ম্যাজিস্ট্রেট হন ।
মাত্র বাইশ বছর বয়সে নন্দকুমার মহিষাদল পরগণার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব ভার পান । নন্দকুমার মীরজাফরের আমলে ১৭৫৭-৬০ , ১৭৬৪-৬৫ সাল এবং তাঁর পুত্র নাজিম উদ্দৌলার আমল ১৭৬৫-৬৬ সাল পর্যন্ত একজন জনপ্রিয় দেওয়ান , পদস্থ ও প্রভাবশালী কর্মচারী ছিলেন তিনি । মত্যুকালে নবাব মীরজাফর তাঁর অল্প বয়স্ক পুত্র নাজিম উদ্দৌলার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নন্দকুমারের উপর প্রেরণ করে যান । মীর জাফরের চেষ্টাতেই নন্দকুমার দিল্লীর সম্রাট শাহআলমের কাছ থেকে ১৭৬৩ সালে " মহারাজা " উপাধি লাভ করেন।
নন্দকুমার ছিলেন একজন নির্ভিক, জনহিতৈষী, পরোপকারী মানুষ । জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশী , বিদেশী , ধনী , দরিদ্র , ব্যবসায়ী , শ্রমজীবি মানুষদের তিনি সাহায্য করতেন । তিনি তাঁর কর্মদক্ষতার গুনে তিনি বাংলার কর্ণধার হয়ে উঠেন । তাঁর মধ্যে অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্বও ছিল । তিনি ছিলেন পরশ্রীকাতর ও পরপোকারী ব্যক্তি । অত্যাচারিত , নির্যাতিত মানুষ তাঁর কাছে প্রতিকারের আশায় আসত । তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের হিন্দু সমাজের এক বিশিষ্ট নেতা ।
অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন ব্যতিক্রমী , সে সময় বলিষ্ঠ মানুষ , যথার্থ দেশদরদী ও মহান দেশ প্রেমিক ছিলেন মহারাজ নন্দকুমার । তিনি হিন্দু - মুসলমান কোন ভেদা ভেদ রাখেননি । তাঁর মনে উদারতা ছিল , কোন সংকীর্ণতা ছিল না । তিনি আপামর মানুষের ভালবাসা পেয়েছিলেন । মহারাজ নন্দকুমার একজন আদর্শবাদী মানুষ ছিলেন । কোম্পানী আর কর্মচারীদের দুর্নীতি দূর করাই ছিল তাঁর জীবনের মূল ব্রত । নিপীড়িত জনসাধারণ নন্দকুমারের শরণাপন্ন হত । কালােবাজারে চাল বিক্রি করে মুনাফা লুঠ করত ইংরেজ বণিক ও আর তাদের দালালরা । নন্দকুমার চোখ বুঝে থাকতে পারলেন না তিনি অস্থির হয়ে প্রতিকারের কথা চিন্তা করলেন — অস্ত্রের সাহায্যে তথা সহিংসার মধ্যে ইংরেজ বিতাড়নের কথা তিনি ভাবলেন না কারণ তাঁর সামরিক প্রতিভা তেমন ছিলনা । তাই তিনি অহিংস আন্দোলনের পথ নিলেন আবেদন নিবেদনের পথকেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথ করলেন । ইংরাজ বণিকদের সীমাহীন শোষণ,দুর্নীতি আর নির্যাতনের কথা লিখিত আবেদন ইংলণ্ডের সাহেবদের জানাবার জন্য নন্দকুমার লন্ডনে নিজের একজন প্রতিনিধি পাঠান লিখিত অভিযোগ পত্র নিয়ে । তাঁর চেষ্টাতেই বিলাতে ছড়িয়ে পড়ল ভারতীয়দের উপর কোম্পানীর কর্মচারীদের নির্মম শােষণের কথা । পার্লামেন্টে বাঙালীদের জন্য জ্বালামুখী ভাষায় বক্তৃতা দেন মহাত্মা এডমন্ডবার্ক । মহারাজ নন্দকুমারের আন্দোলনের ফলে কোম্পানী আর কর্মচারীদের দুর্নীতি দূর করার জন্য ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী লর্ড নর্থ পার্লামেন্টে ' Regulating Act ' নামে এক আইন তৈরী করলেন । এ সময় কোম্পানীর ইংরেজ কর্মচারী গণ বাংলার তাঁতিদের উপর বর্বরােচিত অত্যাচার শুরু করত থাকলে । যে সকল তাঁতিরা ইংরেজদের কথা শুনতো না সেই সব তাঁতিদের জলে ডুবিয়ে শ্বাসরােধ করে অচৈতন্য করত , গাছের ডালে পা বেধে মাথা নীচু করে ঝুলিয়ে বেত্রাঘাত সহ আরো অসহনীয় ভাবে অত্যাচার করা হতো । বাংলার প্রধান কুটির শিল্প তন্তুবায় শ্রমজীবির স্বার্থে বলিষ্ঠ প্রতিবাদের ভূমিকায় এগিয়ে এলেন মহারাজ নন্দকুমার ফলে নন্দকুমার ইংরেজদের প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠলেন এবং নিজের জীবনের বিপদ ডেকে আনলেন । নন্দকুমার মীরকাশিমকে ব্যবসায়ীদের উপর আরােপিত বাণিজ্য শুল্ক প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছিলেন । একচ্ছত্র ব্যবসায় বাধা পড়ায় ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন ইংরেজগণ এবং নবাবের কাছে নন্দকুমারকে মুর্শিদাবাদ থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়ে ছিলেন ।
মহারাজ নন্দকুমার-এর বিরােধীতা করেন প্রায় সকল ব্যবসায়ী । তিনি হুগলীর ফৌজদার হিসাবে ইংরেজ ব্যবসায়ী এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণাধীন আনার ফলে কামালউদ্দিন প্রমুখ নন্দকুমারের বিরােধী হয়ে উঠেন । এই কামালউদ্দিন নন্দকুমারের বিচারের সময় মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছিলেন ।
ক্লাইভের পর বাংলার গভর্ণর হয়ে এলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন একজন পাকা ঘুষখাের । হেস্টিংস নিজের হাতে রাজস্ব আদায়ের ভার রাণী ভবানীর জমিদারীর অন্তর্গত রংপুরের ব্রহ্মপুত্র , ধরাল ও ত্রিস্তোর ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশীল পরগণা । হেস্টিংস তার পেয়ারের বশংবদ বাবুকান্ত মুদীকে তার দায়িত্ব ভার দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেন । নন্দকুমার রাণী ভবানীর এই জমিদারীর বেয়ানী ভাবে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন । হেস্টিংস মীরজাফরের বিধবা পত্নী মণি বেগমের কাছ থেকে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ নেন , এবং বেগমদের প্রতি দুর্ব্যবহার করে তাঁদের সমস্ত অলংকার চুরি করেন । হেস্টিংসের এ সকল কুকর্ম বিবৃতসহকারে লিখে নন্দকুমার ১৭৭৫ খঃ ১১ ই মার্চ কলিকাতা কাউন্সিলের এক সৎ সদস্য ফ্রান্সিসকে অভিযােগ পত্র জমা দেন । এর ফলে হেস্টিংস মহারাজ নন্দকুমারের উপর প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং হেস্টিংসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযােগ সুপ্রিম কোর্টে মহারাজ নন্দকুমারের নামে মামলা দায়ের করলেন যদিও মামলাটি টিকল না খারিজ করেদিয়েছিলেন ।
৬ ই মে ১৭৭৫ সাল । মহারাজ নন্দকুমারের বাড়ী ঘেরাও করল কোম্পানীর সিপাইরা । মহারাজ নন্দকুমারকে অন্যায় ভাবে বন্দি করেছিলেন। বন্দী অবস্থায় নন্দকুমারকে কারাগারে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতে থাকেন । জেলে আবদ্ধ অবস্থায় নন্দকুমার বিভিন্ন দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন । জেলে অনশনের ব্যাপারে মহারাজ নন্দকুমারকেই জেলে অনশনের প্রতিভু হিসেবে বলা যেতে পারে ।
হেস্টিংস-এর কুঠিতে মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আসার বসল, কাউন্সিলের অধিকাংশ সদস্য ও সুপ্রিম কোটের অধিকাংশ জজ এই ষড়যন্ত্রের সাথে সামিল হলেন । মিথ্যা মামলা তৈরী করা হল নন্দকুমারের বিরুদ্ধে । নন্দকুমারের নামে দলিল জাল করবার মামলা ঋজু করলেন মােহন প্রসাদ মামলা দায়ের করল হেস্টিংসের পরামর্শমত । সুপ্রিম কোর্টে বােলাকি দাসের নাম ও সী মােহরের ডাক
দলিল জালের অভিযােগ এনে নন্দকুমারকে অভিযুক্ত করলেন । মিথ্যা ও ত্রুটিহীন সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে নন্দকুমারকে দোষী সাব্যস্ত করলেন । প্রায় সকল জজ সহ প্রধান জজ ইলাইজা ইম্পে ছিলেন হেস্টিংসের হাতের লােক । জালিয়াতির অপরাধে নন্দকুমারের ফাঁসির হকুম দেওয়া হলো । এটি মহারাজ নন্দকুমারের বিচার ছিলো না যা হলো তা হল বিচারের নামে প্রহসন বললেও খুব কম বলা হবে ।
এডমন্ড বার্ক পার্লামেন্টে এই বিচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন খুব জ্বালামুখী ভাষায় এই বিচারের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন । পালামেন্টে মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি স্থগিত রাখবার প্রস্তাব পাশ হল । কিন্তু তার আগেই হেস্টিংস খুব গােপন ব্যবস্থায় শনিবার ৫ ই আগষ্ট ১৭৭৫ সালে খিদিরপুরের তিন রাস্তার মােড়ে কুলি বাজারে নন্দকুমারের ফাঁসি হয়েছিলো । ফাঁসির আগে শেরিফ মেক্রেবী নন্দকুমারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়ালের নিকট 'হরিণবাড়ি' নামক জেলখানায় আসেন । মেক্ৰেবী সাহেবকে দেখে নন্দকুমার সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন । তখন নন্দকুমারের উদার মনােভাবে এবং তাঁর স্বহাস্য মুখের মধ্যে কোন অবসাদের চিহ্ন ছিল না । যেদিন নন্দকুমারের ফাঁসি হয়েছিলো সেদিন কলকাতার কোন বাড়ীতে উনুন জ্বলেনি । ঐ দিন কলকাতার লােকেরা গঙ্গার সেপারে গিয়ে অন্নগ্রহণ করেছিলেন ।
বিচারে নন্দকুমার যদি দোষ প্রমাণিতও হত , তবুও তাঁকে আইনত ফাঁসি দেওয়া সম্ভব ছিল না কারণ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে বিলাতী আইন প্রযােজ্য ছিল না । ফলে নন্দকুমারের ফাঁসি ' judicial murder ' হিসাবে বিবেচ্য হলো । বিচারে বিচারক মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি কেবল নন্দকুমারকে ফাঁসি দেওয়া হলো না বিচারে বিচারক বিচারকেই ফাঁসি দিয়েছিলেন ।
সেদিন ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে গেলেন ভারতের ও বাংলার প্রথম বাঙালী মহারাজ নন্দকুমার । যেদিন নন্দকুমারের ফাঁসি হয়েছিলে , সেদিন ইংরেজরা বুঝতে পারেনি যে এর ফল ভাল হবে না । নন্দকুমারকে যে শক্তি ফাঁসি দিয়েছে , সে শক্তি নন্দকুমারের ন্যায় সমাজপতিকে ফাঁসি দিতে পারেনি সমগ্র ব্রিটিশ শাসনও কখনও পারেনি । যেদিন নন্দকুমারের ফাঁসি হয়েছিল সেদিন খােলা মাঠে প্রায় কুড়ি থেকে বাইশ হাজার লােক মিলে ধিক্কার জানিয়েছিল । ইংরেজরা সে দৃশ্য কোনোদিন ভােলেনি শত মীরকাশেম , টিপ , সুলতানকে সিংহাসনচ্যুত করলেও ঐ শক্তিকে দমন করা যায় নি । সে শক্তি হল বাংলা তথা ভারতের জাতীয়তাবাদ ও দেশাত্মবোধর শক্তি যা পরবর্তী সময়ে ভারতের মুক্তি যুদ্ধকে কয়েক কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছিলেন ।
এদেশের মানুষের স্মৃতিতে মহারাজ নন্দকুমারের মত্যু অবিনশ্বর হয়ে আছে এবং থাকবে । ইংরেজ কতৃপক্ষীয়দের প্রতিহিংসার বলি রপে ইতিহাসের পাতায় তাঁর একটা বিশিষ্ট স্থান হয়ে অাছে কারণ যে কোনও আশ্রয় প্রার্থীকে সকল বিপদ উপেক্ষা করে তিনি আশ্রয় দিতেন । আশ্রিতকে আশ্রয় দিতে গিয়ে তিনি চক্রান্তের বলি হয়েছিলেন । চক্রান্তের যে খেলা নন্দকুমারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল আজও আমাদের সমাজ জীবনে তার অবসান হয় নি । সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সে সময় তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন ।
সাম্রাজ্যবাদের সংগ্রামে সেদিন তাঁর পাশে আর কেউ ছিল না । একাই সে সময় তিনি অন্যায়ের বিরদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন । তিনি নির্ভীক মানুষ ছিলেন মৃত্যুকে শঙ্কা না করে , সত্যকে জীবনের ধ্রুব তারা মেনে নিয়ে নির্ভয়ে আপন কর্মপথে তিনি অবিচল থেকে অগ্রসর হয়েছিলেন । পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামীগণ তাঁর আত্মত্যাগ দেখে , প্রতিবাদের দৃঢ়তা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন । স্বাধীন ভারতের ইতিহাস লেখার সময় প্রথম শহীদ বাঙালী মহারাজ নন্দকুমার অমর হয়ে থাকবে কথা ।
আজ এই মহান প্রতিবাদী মহারাজ নন্দকুমারের ২৪৭ তম আত্মবলিদান দিবসে আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম.....🙏

ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,পূর্ব মেদিনীপুর
🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in
