

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(বাং-২৫.০১.১২৬৮-----২২.০৪.১৩৪৮)
(ইং-07.05.1861------07.08.1941)
পিতা-দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা-সারদাদেবী।
প্রাণের কবি প্রেমের কবি রূপের কবি কে?
কবির কবি কবিগুরু জাতির গুরু যে।
চিত্রকার নাট্যকার কোনকার নও?
গীতিকার নায়ক-শিল্পী স্রষ্টা দ্রষ্টা হও।
প্রাবন্ধিক ঔপন্যাসিক ছোটগল্পকার
গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা করছি তোমার।
সর্ব্বকালে সর্ব্বদেশে মনীষীগণ যা
উৎসারিত করেছেন ন্যূন যাতে তুমি একা।
তবু তুমি আমাদেরই আমাদেরই লোক
নোবেল-নাইট ডিলিট-ডক্টরেটেরছিল নাকো লোভ।
তুমিই জাতির অন্তঃস্থলের হৃদ্ কমল জুড়ে
কাছে-দূরে সর্বত্রই অন্তরে-বাহিরে।
সবার সঙ্গে যুক্ত তুমি সকল বন্ধ মুক্ত
কঠোর কৃপায় ঘা মেরে যে ভাঙ্গালে ঘুম সুপ্ত।
আলোকগামী মনন দিয়ে দেখলে শিক্ষার্থী তোতা
নড়ন চড়ন নাইকো কোনোই হৃদয় রুদ্ধ হেথা।
দ্বার খুলিলে বাঁধ ভাঙ্গিলে মহামিলন যেথা
প্রেম হারে পূরব-পশ্চিম বিশ্বভারতীতে গাঁথা।
ভাঙ্গছে দেখ অচলায়তন একলা চলার থেকেও
এসে এসে জুটছি দেখ দেরী দ্বিধা নিয়েও।
জীর্ণ যত লোকাচার সরিয়ে দেবার আশ্
স্পন্দনে মোর জাগিয়ে দিলে প্রাণ ভরা বিশ্বাস।
পিছনে ফেলে যারে মোরা দেখতে নাহি চাই
দেখালে তুমি টানছে পিছে দেখতে নাহি পাই।
সবার পিছে সবার নীচে সবহারাদের মাঝে
তুমিই মোদের ডাক দিয়েছ সকাল সন্ধে সাঁঝে।
দেবতা তোমার গেছেন চাষার সাথে মাঠে
গৃহহীনের সাথে তিনি থাকেন পথে ঘাটে।
ইট পাথরের খাঁচায় তাঁর থাকে নাকো মন
হৃদ্ মন্দিরের খাঁচা পেলে বন্দী সর্ব্বক্ষণ।
যারা এক চাকাতে বাঁধা,যাদের রাঁধার পরে খাওয়া
তাদের ভাগ্য করতে জয় তোমার গানই গাওয়া।
বলে তোমার নারী ' আমি মহীয়সী'
তুলনা মোর এ জগতে দিব পরকাশি।
ঝাপটাক যত কেন পাখী এক ডানা
আকাশ কখনও তার হয় না ঠিকানা।
দণ্ডদাতা তব কাঁদে দণ্ডিতের সাথে
এত বড় সাম্যবাদী কোথা পৃথিবীতে?
সভ্যতার পিলসুজ শত সহস্র গ্রাম
ভবিষ্যনিধি নিবিড়কৃষিতে জাগালে সম্মান।
সবার পরশে পবিত্র করা মঙ্গলঘট হল তব ভরা
জগতের যত আছে ভাইবোন হৃদয় হইল হরা।
তবু একলা পথের চলা তোমার করতে রমণীয়
সময় কখন হবে সবার জানিনে এখনও।
একে একে আসছি জুটে এইটি শুধু জানি
খুঁজতে এলে পরশপাথর পাবেই পাবে খনি।
তখন কেন দিইনে আমার সকল শূন্য করে
কাঁদবে কেন দারুণ শোকে গভীর অন্ধকারে।
তার চেয়ে ভাবের রাজ্যে এসো লুটিয়ে নি
এখন এলেও অভাব তো নেই অনন্ত সে খনি।
প্রণাম খানি রাখব কেবল চুপি চুপি পা'য়
শিহরণে জাগবে হৃদয় পরশ লেগে গা'য়
বজ্রকঠোর সূর্য্য রূপে 'চু-চেন-তান'
চীনের দেওয়া তোমার প্রতি প্রগাঢ় সম্মান।
ত্রিপুরার মহারাজের 'কবিভাস্কর' তুমি।
ও লাবসি আবোলার মতে তুমি আফ্রিকারও কবি।
ভারত হলো 'আত্মহারা' সরোজিনীর মতে
বিশ্ব দেখি আত্মহারা তোমার প্রয়ানেতে।
সহস্র বর্ষেরই তুমি সাধনার ধন
বিশ্ব আছে প্রতীক্ষিয়া আসবে কখন।
বিশ্ব পথিক বিশ্বপ্রেমিক জানাই নমস্কার
এই লভিনু সঙ্গ তব শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
--------------------------------
তপ্ত বঙ্গ তোমার প্রেমের পরশ পেয়ে শান্ত হোক্, সুখী হোক্, সমৃদ্ধ হোক্, উন্নত হোক্, হে কবি! হে কবির কবি! হে মহাকবি! তোমার শুভ জন্মদিনে তোমার আর্বিভাব উপলক্ষে আর্ত বঙ্গের এই প্রার্থনা।
প্রণাম, তোমায় প্রণাম।ওঁ।
---------------------------------
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
