মেদিনীকথার উৎসর্গ বিপিনচন্দ্র পাল।

ফাইল চিত্র,

বিপ্লবী বিপিনচন্দ্র পাল

বিপিন চন্দ্র পাল  একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, লেখক,সু-বক্তা, সমাজ সংস্কারক এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।  তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের "লাল বাল পাল" ত্রৈয়ীর অপর এক বিপ্লবী ছিলেন।বিপিন চন্দ্র পাল শ্রী অরবিন্দের সাথে স্বদেশী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান স্থপতি ছিলেন। তিনি উপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

জন্ম:৭ ই নভেম্বর,১৮৫৮ সাল।
পইল গ্রাম, হবিগঞ্জ জেলা(বাংলাদেশ )

পিতা: রামচন্দ্র পাল
মাতা: নারায়ণী দেবী
মৃত্যু:২০ শে মে,১৯৩২ সাল। বিপিনচন্দ্র পাল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেনানী।তাঁর জীবন নানান ঘটনার মধ্যে ঘনিভূত। প্রখ্যাত বাঙালি বাগ্মী হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসাবে , সাংবাদিক হিসেবে আবার লেখক হিসাবে আমরা দেখতে পাই।বেশ কিছুদিন তিনি কেবলমাত্র সৃজনশীল লেখার মধ্যে নিবেদিত ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের চরমপন্থী ত্রয়ী পাঞ্জাবের লালা লাজপত রায়, মহারাষ্ট্রের বাল গঙ্গাধর তিলক, এবং বাংলার বিপিন চন্দ্র পাল - লাল বাল পাল নামে খ্যাত, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। লাল-বাল-পালের অন্যতম হলেন বিপিনচন্দ্র পাল।তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে আধুনিক চিন্তাধারা ও যুক্তিনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা করেছিলিন।ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অনলবর্ষী বক্তৃতা দিতেন, তার আহ্বানে হাজার হাজার যুবক স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন । বিপিন চন্দ্র পাল ১৮৫৮ সালের ৭ই নভেম্বর শ্রীহট্ট জেলায় এক ধনী কায়স্থ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা রামচন্দ্র পাল ছিলেন একজন গ্রাম্য জমিদার এবং সিলেট বারের প্রভাবশালী সদস্য। ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধার অধিকারী ছিলেন বিপিনচন্দ্র।একবার যা পাড়তেন সবসময় তা মনে রাখবার চেষ্টা করতেন। বইয়ের পাতাতে সবসময় মগ্ন থাকতেন।বিভিন্ন সাহিত্যেক দের লেখা পড়ার আগ্রহ প্রথম থেকেই ছিলো বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যে পড়বার জন্যে তিনি ছটফট করতেন। শিশুবেলায় মৌলবীর কাছে পড়াশুনা শুরু করেন।তারপর এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশ করে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি প্রসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন কিন্তু সেখান থেকে পাশ করার আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন।গণিতে তাঁর ভীষণ রকমের ভীতি থাকার কারণে আই এ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। তাঁর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে তিনি একজন বিধবাকে বিয়ে করেছিলেন এবং ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিয়েছিলেন। সাংবাদিক হিসাবে, বিপিন পাল বেঙ্গল পাবলিক মতামত, দ্য ট্রিবিউট এবং নিউ ইন্ডিয়ার পক্ষে কাজ করেছিলেন, যেখানে তিনি তাঁর জাতীয়তাবাদের ব্র্যান্ড প্রচার করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি নিবন্ধ লিখেছিলেন যা চীনে এবং অন্যান্য ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তাঁর একটি লেখায় ভারতের ভবিষ্যতের বিপদটি কোথা থেকে আসবে তা বর্ণনা করেছিলেন বিপিন পাল "আমাদের আসল বিপদ" শিরোনামে লিখেছিলেন তিনি। বিপিন তার ১৮৭৯ সালে চাকুরি জীবন শুরু করেন একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতপার্থক্য হলে স্বাধীনচেতা বিপিন প্রধান শিক্ষকের পদ সহ চাকরি ছেড়ে দেন। কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, শ্রীহট্ট সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৮৯০ - ১৮৯১ পর্যন্ত তিনি কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরীর সম্পাদক এবং লাইব্রেরিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতায় এসে জড়িয়ে পড়লেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে।তখন সংস্কার পন্থী ব্রাহ্ম আন্দোলন বেশ জোরদার হয়ে উঠছে।সংস্কারপন্থী ব্রাহ্মধর্মীয় নেতারা হিন্দু পৌত্তলিকতাবাদকে তীব্র আক্রমণ করছেন।হিন্দু ধর্মের নানা কুসংস্কারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। বিপিনচন্দ্র ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।তিনি ১৯৭৭ সালে শিবনাথ শাস্ত্রীর কাছে দীক্ষা নেন। এরজন্য তাঁর পিতা তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন। কেশব চন্দ্র সেন,বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর মত বেশকয়েকজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসেন।এদের আদর্শে প্রভাবিত হয়ে বিপিন ব্রাহ্ম আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং তিনি এই আন্দোলন কে চরম মাত্ৰায় পৌঁছে দেন। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর প্রভাবে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। লালা লাজপত রায়,বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিন চন্দ্র পাল এক কথায়া লাল-বাল-পাল পরিচালিত চরমপন্থী দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন অরবিন্দ ঘোষে। আবার বিপিনচন্দ্র একসাথে আন্দোলন করলেও বাল গঙ্গাধর তিলকের হিন্দু জাতীয়তাবাদ এর পক্ষপাতি ছিলেন না। ১৯০৬ সালে বিপিনচন্দ্র চরমপন্থীদের মুখপত্র "বন্দেমাতরম" পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হলেন। ১৯০৮ এ ইংল্যান্ডে গিয়েও তিনি স্বরাজ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।যোগ দিলেন তমলুক গঠনের আন্দোলনে।১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচীতে মহাত্মা গান্ধীর সাথে মতের মিল না হওয়ায় তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। ১৯১২ সাল থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত অনেক গ্রন্থবালী রচনা করেছেন "মহারানী ভিক্টরিয়ার জীবনী ", "শোভনা", " ভারত সীমান্তে রুশ", "নব যুগের বাংলা", "সাহিত্যে ও সাধনা", 'রাষ্ট্রনীতি', 'চরিত্র চিত্র', ইত্যাদি ইংরেজিতে The Soul of India, Indian Nationalism সহ আরো অনেক রচনাবলী। তিনি ব্রাহ্মত্ব কোনোদিন ত্যাগ করেননি কিন্তু ক্রমে ক্রমে ধর্মমত পরিবর্তিত হয়ে ১৮৯৫ সালে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর কাছে দীক্ষা নিয়ে বৈষ্ণব সাধনায় অনুরাগী হন। শেষজীবনে আর্থিক অনটন ও বিভিন্ন ভাবে ভীষণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৩২ সালের ২০ মে মৃত্যুবরণ করেন। বিপিনচন্দ্র পাল একজন বিপ্লবী ছিলেন,সাহিত্যিক ছিলেন, রাজনীতিবিদ ছিলেন, সমাজ সচেতক ছিলেন,দক্ষ সংগঠক ছিলেন এক কথায় বিপিনচন্দ্র পাল কে অভিহিত করা যায় না তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। আর এই প্রতিভাগুন নিয়ে ভারত বর্ষের সাধারণ মানুষের দুঃখ মোচন করতে চেয়েছেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছেন।তাই আজও ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে আগামী দিনেও থাকবে...
✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার, পূর্ব মেদিনীপুর

🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨‍💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *