🇮🇳 বন্দেমাতরম্‌ 🇮🇳

ফাইল চিত্র,

বন্দেমাতরম্‌

বন্দেমাতরম্‌ এই একটি মাত্র মন্ত্র যা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রমকে বহু মাত্রায় ত্বরানিত করেছিল। আসমুদ্র হিমাচল মুখরিত হয়েউঠে ছিলো । ইংরেজদের ভীত নাড়িয়ে দিয়েছিলো দেশের বিপ্লবীরা এই মন্ত্রে দিক্ষিত হওয়ার পর । আর এই  মন্ত্রের এই গানের এই ধ্বনীর এই জাতীয় সংগীতের এই জাতীয়  স্তোত্রের স্রষ্টা সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি । 

বন্দেমাতরম্ ("বন্দনা করি মায়") বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৮২ সালে রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি গান। এই গানটি  সংস্কৃত-বাংলা মিশ্রভাষায় লেখা । এই গানটি দেবী ভারত মাতা বন্দনাগীতি । শ্রীঅরবিন্দ
বন্দে মাতরম্ গানটিকে "বঙ্গদেশের জাতীয় সংগীত" ("National Anthem of Bengal") বলে উল্লেখ করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।

বন্দে মাতরম্ ৷
সুজলাং সুফলাং
মলয়জশীতলাম্
শস্যশ্যামলাং
মাতরম্ !

শুভ্র-জ্যোত্স্না-পুলকিত-যামিনীম্
ফুল্লকুসুমিত-দ্রুমদলশোভিনীম্,
সুহাসিনীং সুমধুরভাষিণীম্
সুখদাং বরদাং মাতরম্ ৷৷

সপ্তকোটীকন্ঠ-কল-কল-নিনাদকরালে,
দ্বিসপ্তকোটীভুজৈধৃতখরকরবালে,
অবলা কেন মা এত বলে !
বহুবলধারিণীং
নমামি তরিণীং
রিপুদলবারিণীং
মাতরম্ ৷

তুমি বিদ্যা তুমি ধর্ম্ম
তুমি হৃদি তুমি মর্ম্ম
ত্বং হি প্রাণাঃ শরীরে ৷
বাহুতে তুমি মা শক্তি,
হৃদয়ে তুমি মা ভক্তি,
তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে মন্দিরে ৷

ত্বং হি দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী
কমলা কমল-দলবিহারিণী
বাণী বিদ্যাদায়িণী
নমামি ত্বাং
নমামি কমলাম্
অমলাং অতুলাম্,
সুজলাং সুফলাং
মাতরম্

বন্দে মাতরম্
শ্যামলাং সরলাং
সুস্মিতাং ভূষিতাম্
ধরণীং ভরণীম্
মাতরম্ ৷

সাধারণভাবে অনুমান করা হয়, ১৮৭৬ সাল নাগাদ ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকুরিরত অবস্থাতেই বন্দে মাতরম্ রচনার কথা ভেবেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তবে ঠিক কোন সময় তিনি গানটি রচনা করেছিলেন তা জানা যায় না। ১৮৮২ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসে প্রথম গানটি প্রকাশিত হয়। রচনার অব্যবহিত পরে লেখক যদুভট্টকে গানটিতে সুরারোপ করার জন্য অনুরোধ করেন।

১৮৯৬ সালে বিডন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পাঁচ বছর বাদে ১৯০১ সালের কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেন দক্ষিণাচরণ সেন। ১৯০৫ সালে কংগ্রেসের বারাণসী অধিবেশনে গানটি পরিবেশন করেছিলেন সরলা দেবী চৌধুরাণী। লালা লাজপত রায় লাহোর থেকে বন্দে মাতরম নামক একটি সাময়িকপত্র প্রকাশ করতেন। ১৯০৫ সালে হীরালাল সেন ভারতের প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন; এই চলচ্চিত্রের সমাপ্তি হয়েছিল গানটির মাধ্যমে। 

১৯০৭ সালে ভিখাজি কামা (১৮৬১–১৯৩৬) ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকার যে রূপদান করেছিলেন, তার মাঝের ব্যান্ডে দেবনাগরী হরফে "বন্দে মাতরম্‌ " ধ্বনিটি খোদিত ছিল।

বন্দে মাতরম্ গান রচিত হয় ১৮৭৫ সালে, সেটি আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৮৮২ সালে। বন্দে মাতরম্ একটি মন্ত্রের মতো গৃহীত হয় স্বদেশি যুগে। ১৯০৫ থেকে গাঁধীজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনেও বন্দে মাতরম্ ধ্বনি দেওয়া হয়। গাঁধীজি ও শওকত আলি মিলে তিনটি জাতীয় ধ্বনি স্থির করেন। প্রথমটি ছিল আল্লাহু আকবর। দ্বিতীয়টি— হয় ভারতমাতা কি জয়, নয়তো বন্দে মাতরম্। গাঁধীজি  বন্দে মাতরম্ ধ্বনিই বেশি পছন্দ করেছিলেন, কারণ ওঁর মনে হয়েছিল এটি গ্রহণ করলে বাঙালিদের বৌদ্ধিক ও আবেগগত অবদান স্বীকার করা হবে। বাঙালিদের উনি ওঁর আন্দোলনে চেয়েছিলেন বলেই এই ভাবনা। আর তৃতীয় ধ্বনিটি ছিল, হিন্দু-মুসলমান কি জয়।

এখন, ১৯২০ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত কিন্তু বন্দে মাতরম্ নিয়ে তেমন বিতর্ক হয়নি। সমস্যা শুরু হয় উনিশশো তিরিশের দশকে। কারণটা সহজ  সংস্কৃতি তো বিভেদ তৈরি করে না, এক ধরনের সঙ্কীর্ণ রাজনীতির জন্যই বিভেদ সৃষ্টি হয়। ব্যাপার হল, ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেস যথেষ্ট ভাল ফল করে। ১১টি রাজ্যের মধ্যে ৭টি রাজ্যে তারা ক্ষমতায় আসে। অন্য দিকে মুসলিম লিগ তত ভাল ফল করতে পারে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস একটা বিজয়গর্ব দেখানোর জন্য বলতে শুরু করেছিল বন্দে মাতরম্ গাইতেই হবে, সরস্বতী বন্দনা করতেই হবে ইত্যাদি। ১৯৩৭ সাল মানে, নেহরু তখন কংগ্রেসের সভাপতি, সুভাষ বসু সভাপতি হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। মুসলমান সম্প্রদায় থেকে জোর করে বন্দে মাতরম্ গাওয়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে জওহরলাল নেহরু ও সুভাষ বসুর মধ্যে চিঠি বিনিময় শুরু হয়। সুভাষ বসু বলেন যে অক্টোবর মাসে এআইসিসি অধিবেশনের আগে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শ নেওয়া ভাল। রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তিগত চিঠি লেখেন সুভাষচন্দ্রকে, বলেন যে, ‘বাঙালি হিন্দুরা এই আলোচনা নিয়ে চঞ্চল হয়েছেন, কিন্তু ব্যাপারটি একলা হিন্দুর মধ্যে আবদ্ধ নয়। উভয় পক্ষেই ক্ষোভ যেখানে প্রবল, সেখানে নিরপেক্ষ বিচারের প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় সাধনায় আমাদের শান্তি চাই, ঐক্য চাই, শুভবুদ্ধি চাই। কোনও এক পক্ষের জিদকে দুর্দম করে হারজিতের অন্তহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাইনে।’ পরে সংবাদমাধ্যমেও বিবৃতি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন, বন্দে মাতরম্-এর প্রথম অংশটি সুন্দর, একটি কোমল মধুর ভাবের উদ্রেক হয় বঙ্গমাতা বা ভারতমাতার জন্য, সেটি জাতীয় সমাবেশে গাওয়ার উপযোগী, তাতে কারও আপত্তি থাকতে পারে না। কিন্তু দ্বিতীয়াংশে যে ‘ত্বং হি দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী কমলা কমলদলবিহারিণী’ ইত্যাদি, তাতে আপত্তি ওঠারই কথা। কোনও গানের আসরে সম্পূর্ণ গানটি গাওয়া চলতেই পারে। কিন্তু কোনও জাতীয় সমাবেশে তা উচিত নয়। যখন জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গানটি গাওয়া হচ্ছে, যখন সব ধর্মের মানুষ একত্র হচ্ছেন— প্রথমাংশটিই গাওয়া উচিত।

রবীন্দ্রনাথের পরামর্শ কংগ্রেস গ্রহণ করে। হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বন্দে মাতরম্ গানটির অসম্মান করাটা লক্ষ্য ছিল না। কেনই বা থাকবে, রবীন্দ্রনাথই তো ১৮৯৬ সালে কংগ্রেস অধিবেশনে সুর দিয়ে গানটি গেয়েছিলেন।

বন্দে মাতরম্ ! (মা তোমায় বন্দনা করি।)
সুজলাং সুফলাং (সুজলা সুফলা)
মলয়জশীতলাম্ (বাতাসে শীতল করা)
শস্যশ্যামলাং (ফসলে ফসলে সবুজ)
মাতরম্ ! (মা গো)
বন্দে মাতরম্৷. (মা তোমায় বন্দনা করি।)

শুভ্র-জ্যোৎস্না (সাদা জোছনায়)
পুলকিত-যামিনীম্ (আনন্দিত রাত)
ফুল্লকুসুমিত (হাসিভরা ফুলে ছাওয়া)
দ্রুমদলশোভিনীম্, (গাছে গাছে শোভা পাওয়া)
সুহাসিনীং (সুন্দর হাসিমাখা)
সুমধুরভাষিণীম্ (সুমধুর কথা বলা)
সুখদাং বরদাং (সুখ দাত্রী, বর দাত্রী)
মাতরম্ ৷৷ (মা গো)
বন্দে মাতরম্ ৷ (মা তোমায় বন্দনা করি।)

তবে একাধিক ভারতীয় মুসলিম সংগঠন বন্দে মাতরম্ গাওয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছেন। তাদের মতে, ভারতমাতার বন্দনাগীতি এই গানটির মূলভাবনা ইসলাম-নিষিদ্ধ পৌত্তলিকতার অনুসরণ করে।
সেইখানে মুসলমানের আল্লাহু আকবার ধ্বনির বিপরীতে হিন্দু যোদ্ধার উচ্চারণ  বন্দে মাতরম। এটা এত সংস্কৃত হবার কারণ ফার্সির প্রতি স্বাভাবিক বিদ্বেষ। মনে রাখবেন দেশপ্রেমিক মানুষ নিজের ভাষাকে শাসকের ভাষার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে শাসক যদি হয় ভিন্ন ধর্মের লোক।

বন্দে মাতরম সারা ভারতের লোকের বোঝার আশা কেউ কেউ করেন, কারণ ভারতীয় প্রায় সব ভাষাই সংস্কৃত থেকে বিবর্তিত হয়েছে।

একটা গান দিয়ে কিছু জায়গা পেয়ে গেলেন বঙ্কিম বাবু, কিন্তু বাঙ্গালীর মনের মানুষ হলেন অন্য একজন, খুব বড় মনের ঠাকুর। ' আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' এর চেয়ে সহজ করে সকল সাধারণ মানুষের একদম অন্তরের অন্ত;স্থল থেকে আর কে পারত ভালবাসার মন্ত্র উচ্চারণ করতে? এই গানটিকে নতুন করে অন্য আঙ্গিকে সার্বজনীন করে সহজ সরল প্রাঞ্জল করে রবিঠাকুর লিখলেন । তাই তো তিনি বলতে পারেন- এই মোর পরিচয় হোক, আমি তোমাদেরই লোক।

রবি ঠাকুর নিজেই বঙ্কিমের গানটি গেয়েছিলেন। কিন্তু কবির মন ভরেনি গানটির প্রাণহীনতার জন্য।

ফুল্লকুসুমিত দ্রুমদলশোভিনীম্, এর জায়গায় রবি তাই লিখলেনঃ কি শোভা কি ছায়া গো, কি স্নেহ কি মায়া গো, কি আসন বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে কুলে।

সুহাসিনীং সুমধুরভাষিণীম্ এর জায়গায় রবি লিখলেনঃ মা তোর মুখের হাসি আমার কানে লাগে সুধার মত।
সুজলাং সুফলাং এর স্থলে রবি লিখলেনঃ ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, অঘ্রানে তোর ভরা খেতে কি দেখেছি মধুর হাসি…আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

"বন্দেমাতরম" ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জাতীয় ধ্বনিতে পরিণত হয়। প্রথমে কলকাতা মহানগরীতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে "বন্দেমাতরম" ধ্বনি দেওয়া শুরু হয়। এই ধ্বনির তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভীত হয়ে একবার ব্রিটিশ সরকার জনসমক্ষে এই ধ্বনি উচ্চারণ নিষিদ্ধ করে দেয়; এই সময় বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী "বন্দেমাতরম" ধ্বনি দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ব্রিটিশ পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার আগে মাতঙ্গিনী হাজরার শেষ উচ্চারিত শব্দ ছিল "বন্দেমাতরম"।

১৯০৯ সালে শ্রীঅরবিন্দ Mother, I bow to thee! শিরোনামে বন্দে মাতরম্ গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন। ইংরেজি ভাষায় এই অনুবাদটি বহুল প্রচলিত। একাধিকবার এই গানটিতে সুরারোপ করা হয়। বন্দে মাতরম্ সঙ্গীতের প্রাচীনতম প্রাপ্ত অডিও রেকর্ডিংটি ১৯০৭ সালের। সমগ্র বিংশ শতাব্দীতে গানটি প্রায় একশোটি ভিন্ন সুরে রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০০২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দশটি জনপ্রিয় গান নির্বাচনের একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় ৭০০০ গানের মধ্যে থেকে এ আর রহমান সুরারোপিত বন্দে মাতরম্ গানটি বিশ্বের দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম গান নির্বাচিত হয়।

আজ  বন্দেমাতরম্‌-এর স্রষ্টা সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আমার প্রণাম ও শ্রদ্ধা ।
✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,

পূর্ব মেদিনীপু

🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨‍💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *