🔍 খোঁজ 🔭

👨🏻‍🎨 দোলন বারিক
✍🏻 সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য

খোঁজ

রাঢ় বঙ্গের বৈশাখী দুপুর। ঢেউ খেলানো ধুধু প্রান্তরের বুকে চিটিয়ে থাকা প্রশস্ত জাতীয় সড়ক সরল রেখায় উঠে নেমে আবার উঠে দিগন্ত পেরিয়ে আকাশে উধাও। হঠাৎ হঠাৎ বিভিন্ন আয়তনের মোটর গাড়ি কখনো চুপিচুপি কখনো পৃথিবী কাঁপিয়ে পাস দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে চাকায় হওয়া ভরার একটি দোকানে বাইক নিয়ে দাড়িয়ে , পাংচার সরানোর আশায় । দোকান বলতে যা বোঝায়,এটা ঠিক তেমন নয়। বট গাছের ছায়ায় গুটি কতক পুরান টায়ার রাখা দেখে বুঝেছিলাম আমার কাজ এখানে হলেও হতে পারে। দোকানে দোকানদার নেই , রাস্তায় জন মানব নেই। দূরে ছাউনির তলায় একজনের হাত নাড়া দেখে আন্দাজ করেছি দোকানি আসছেন । রোদের স্বাভাবিক প্রখর তেজ সাথে এই উটকো বিপদ, মনে বিরক্তি ও হতাশার যুগলবন্দি তে আমার অবস্থা তখন খুব সুখকর নয়।

দেখি দূরে রাস্তার খেলে যাওয়া ঢেউ পেরিয়ে কেউ একজন আসছে। সময়ের পরিবর্তনে দৃশ্যমানতা কিছুটা বাড়ায় মনে হলো একজন ভবঘুরে, ধুলো মাখা। এমন ভাবে মাটিকে কেউ ভালো বাসে নাকি, পাগল হবে হয়ত ! আসলে যেমন খুশি সাজোর প্রতিযোগিতায় এমন সাজ কে আমরা পাগল সাজা হিসেবেই চিনি।

একটু সামনে একা একটি বট গাছ। দেখি, লোকটি এসে ওই বটগাছের তলায় কি একটা যেন খুঁজছিল, ঠিক বোঝা গেলো না। কিছুক্ষন পরে লোকটি ওই বটগাছের ছায়া থেকে বেরিয়ে আরো এগিয়ে আসাতে তার অবয়ব খুব স্পষ্ট হতে লাগলো।ইতি মধ্যে আমার বাইক সরানো হয় গেছে। বাইক চালিয়ে ওই লোকটি কে পাস কাটিয়ে যাওয়ার সময় দেখি ধুলো মাখা হাতে সে একটা আপেল খাচ্ছে,আর তার অন্য হাতে গুটিকতক কলা । বড্ড অবাক হলাম!

আরো একটু এগিয়ে দেখি ,ওই বট গাছের তলায় একটি খুব ছোট্ট শিব মন্দির আছে। তাতে গ্রিল গেট আছে, তালা বিহীন। বুঝলাম,কোন ভক্তের উৎসর্গ করা প্রসাদ এখন ওই পাগলটি র হাতে। জীবনে তেমন বিপদ প্রত্যক্ষ না করায়, আপাতত আমি নাস্তিক । ঈশ্বরের উপস্থিতির উপলব্ধি সঙ্গে নিয়ে ছুটে চললাম জীবনের ঢেউ খেলানো পথে।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *