ফাইল চিত্র-
নক্ষত্র জগতের আরেক পতন। গতকাল রাতে ঘুমের মধ্যেই বার্ধক্যজনিত রোগের দরুন জীবনাবসান ঘটে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্করের।এমনটাই জানালো ওনার নাতনি শ্রীনন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় পরদিন সকালে।তারপরেই সাংস্কৃতিক জগতে নেমে এলো শোকের ছায়া।গভীর শোক প্রকাশ করেন নামিনামি শিল্পীসহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও।গত মাসের ২৭ জুনে ওনার মেয়ে মমতা শঙ্করের রাজডাঙ্গার ডান্স কোম্পানির বাড়িতে ১০১তম জন্মদিন পালন করা হয়েছিলো।মমতা শঙ্কর ছিলেন পন্ডিত উদয় শঙ্কর শাস্ত্রী ও অমলা শঙ্করের সুযোগ্য কন্যা যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পীও বটে।যশোরে ১৯১৯ সালে ২৭ জুন অক্ষয়কুমার নন্দীর বাড়ি অমলা শঙ্করের জন্ম।নাম ছিলো অমলা নন্দী।খুব ছোটো বয়সেই নিজের নৃতপ্রতিভার দ্বারা কেড়ে নিতে থাকেন দর্শকমন।কেবল নৃত্যই নয় ছবি আঁকাতেও ওনার গভীর আগ্রহ ছিলো।প্যারিস ইন্টারন্যাশনাল কলোনিয়াল এগজিবিশানে ১৯৩১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সেই উনি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে পা রাখেন ফ্রান্সে।ওখানেই পরিচিত হন পন্ডিত উদয় শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।শুরু করে দিলেন উদয়ের থেকে নাচের তালিম নেওয়া।এরপর একদিন উদয়ের মা হেমঞ্জিনী দেবীর চেন্নাই তে এক নৃতানুষ্ঠান চালাকালিন বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া এবং অমলার রাজি হওয়া ১৯ বছর বয়সেই বিবাহ সম্পন্ন হয়।পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেন এই দুই নৃত্য-দম্পতি।ওই সময় উদয় পরিচালিত একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্রে উমা অভিনয় করেন কল্পনা চরিত্রে।তখন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠলো এই জুটি।যদিও দাম্পত্যে একসময় চিট ধরে।ওনাদের দুই সন্তান ছিলো একজন প্রয়াত সুরকার আনন্দ শঙ্কর অন্যজন মেয়ে মমতা শঙ্কর।স্বামীর মৃত্যুর দুবছর আগে ওনাদের বিচ্ছেদ ও পুত্রের অকাল জীবনাবসানের পর উনি, ওনার মেয়ে মমতা ও পুত্রবধূ তনুশ্রী শঙ্কর মিলে ঘর সামলানোর পাশাপাশি শঙ্কর পরিবারের নৃত্যের ধারাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।ওনার প্রয়াণে মেদিনিকথা পরিবার গভীর শোকাহত।ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।