
লক ডাউন
ব্যস্ত পৃথিবীটা স্তব্ধ আজ
দারুন একটি ত্রাসে।
অদৃষ্ট কোনএক
নিদারুণ পরিহাসে।
নাইকো পথ ,নাইকো উপায়,
নাই কিছুই জানা,
কোথায় হবে আগামীর
এই জগতের ঠিকানা।
অনাবিল প্ৰশান্তি আজ
প্রকৃতিরই বুকে।
সভ্য মানব কাটায় দিন
আপন গৃহ মাঝে।
কেউ বা পাচ্ছে ত্রান ; কেউ বা তাও না!
অনাহারে কাটাচ্ছে দিন
না জানি কত জনা।
এমনিতেই পৃথিবী জুড়ে
আছে না জানি কত রোগ;
চিকিৎসা যার বেজায় কঠিন
আছে বেজায় দুর্ভোগ।
তেমন মানুষ আছে যে জন
এখনো জীবন মাঝে
কাটছে তাদের প্রতিটা ক্ষণ ;আঁধারের সাথে।
কাছের মানুষ; আপনার জন
কত আত্মীয় কত পরিজন
কেমন তারা আছে?
জানছে সবাই একে একে
কিছু যন্ত্র মাঝে।
স্বামী কিংবা পিতা কিংবা কোন মা,
আছে যে জন দূরে;
কাটছে তাদের একটি প্রহর
বারোটা মাস করে।
বীরাঙ্গনা যোদ্ধা মা ; নাই আজকে ঘরে।
দিবা-রাত্রি লড়ছে লড়াই
করছে লোকের তরে।
প্রেয়সীর মন ধীরে ধীরে
ওঠে সংশয় ভরে; কি হবে কিনা হবে
ভবিষ্যতের তরে?
না জানি আর হবে কত
আত্মস্বজন হারা?
হবে না জানি আরো কত
মাতৃ-পিতৃ হারা।
বৃদ্ধ পিতা-মাতা;থাকেন তাঁরা একা
চেয়ে সময় পানে; ভাবেন মনে মনে
পাব কি আর দেখা?
স্বজনহারা বেদনা আজ হয়েগেছে স্থির
মৃত্যু , দিনের গুনন;
হৃদয় অস্থির।
শিশুরা নাকি সংখ্যায় কম
এই যা একটু পাওয়া।
বীর সৈনিক ডাক্তার পিতা
গুমরে গুমরে কাঁদে,
সন্তানেরে না জড়ানোর
চরম হাহুতাশে।
কর্ত্যবের রঙ আজ; হয়ে গেছে খাকি,
সময় নিচ্ছে আজ পরীক্ষা
দিয়েছিলে যত ফাঁকি।
মৃত্যু এখন হয়েছে সস্তা
লাশের পরে লাশ
শুধুই প্লাস্টিকের বস্তা।
মৃত্যু, তা তো আছেই; চিরন্তন রূপে।
কখনো রোগ কখনো ভোগ
না জানি কত অপঘাতে।
কিন্তু আজ মৃত্যু মুখর এমন দিনের মাঝে
দিচ্ছে শিক্ষা জীবন যেন
জীবনেরই সাজে।
জেনেছিলাম মহামারী
ইতিহাস পড়ে।
ভাবিনিতো এক দিন ;
লড়ব তারই সাথে
সম্মুখ সমরে।