

জামাইষষ্ঠী
চললো ভোলা শ্বশুরবাড়ি
পা চালিয়ে তাড়াতাড়ি
লুচি মিষ্টির থালা নিয়ে
বসে আছে তার শাশুড়ি।
বউ বলেছে কিনতে শাড়ি
পাঁচ কিলো দই এর হাঁড়ি
আস্ত রুই একখানা
তবেই যাবে বাপের বাড়ি।
শুনেই ভোলার চক্ষু গোল
জুড়ে দিলো শোরগোল
শান্ত ভোলা ক্ষেপে আগুন
পাল্টে ফেলে নিজের ভোল।
দাঁত খিঁচিয়ে আঙুল নেড়ে
বউ এর দিকে এলো তেড়ে
দিচ্ছিল বউ চায়ে চুমুক
কাপখানা সে নিলো কেড়ে।
শাশুড়ি মায়ের সুগার হাই
ঘুরছে মাথা বাঁই বাঁই
বুক ধড়ফড় হাই প্রেসার
মাছ খাবে শ্বশুরমশাই?
তার ওপর নতুন শাড়ি?
বউ এর ভীষণ বাড়াবাড়ি
কথায় কথায় টাকা খরচ
না শুনলেই করবে আড়ি।
চললো ভোলা পকেট ফাঁকা
করবে না সে খরচ টাকা
আসেনি বউ তার সাথে
জামাই আদর খাবে একা।
শ্বশুর বাড়ির সামনে এসে
বিষম খেয়ে উঠলো কেশে
মস্ত তালা ঝুলছে গেটে
ভোলা গেলো বেদম ফেঁসে।
ঘেমে নেয়ে ফিরলো বাড়ি
খিদের চোটে পেটের নাড়ি
ডাকাডাকি করছে ভীষণ
চোখের সামনে মা শাশুড়ি।
ধান দুর্বার থালা নিয়ে
বরণ করেন ফোঁটা দিয়ে
পরনে তাঁর নতুন শাড়ি
শাশুড়ি মা হাসেন চেয়ে।
জামাই বুঝি ভিমরি খেলে?
চলেই এলাম না বলে
দাঁত কেলিয়ে বলেন শ্বশুর
তুমি তো বাবা নিজের ছেলে।
ষষ্ঠী পুজো করবো তোমার
মেয়ে রাঁধছে মাংস পাঁঠার
তেল কই ইলিশ ভাপা
মাপা আছে প্রেসার সুগার ।
শেষ পাতে রাবড়ি দই
মন চাইছে খাই খাই
মেয়ে বলেছে হুকুম করো
আনবে কিনে সব জামাই।
ফাঁদে পড়ে কাঁদে ভোলা
এইভাবে শোধ তোলা
নিরুদ্দেশে যাবেই চলে
কাঁধে নিয়ে মস্ত ঝোলা।
শাশুড়ি বলেন হাত ধরে
জামাইষষ্ঠীর খাওয়া ছেড়ে
চললে কোথায় বাবাজীবন?
পোলাও মাংস দিয়েছি বেড়ে।
উথাল পাথাল শ্বাস প্রশ্বাস
মাছ মাংসের প্রতিটা গ্রাস
খাবারগুলো বিষ যেন সব
ষষ্ঠীতো নয়- সর্বনাশ।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
