মেদিনীকথার উৎসর্গ শহীদ রামকৃষ্ণ রায়।

ফাইল চিত্র,

বীর বিপ্লবী শহীদ রামকৃষ্ণ রায়

রামকৃষ্ণ রায় ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বীর বিপ্লবী । গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন । ১৯৩০ সালে তিনি জেলাশাসক পেডিকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন । ২ রা সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ সালে মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন । ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন । মেদিনীপুর জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় ।

জন্ম:
৯ ই জানুয়ারি, ১৯১২ সাল মেদিনীপুর।

পিতা : -  কেনারাম রায়
মাতা : -  ভাবতারিণী দেবী

আত্মবলিদান :
২৫ শে অক্টোবর, ১৯৩৪ সাল মেদিনীপুর।

রামকৃষ্ণ রায়ের জন্মে গ্রহণ করেছিলেন ১৯১৩ সালের ৯ ই জানুয়ারি । মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর থানার জকপুরের বিখ্যাত রায় বংশে । বাবা কেনারাম রায়, মাতা ভবতারিণী দেবী । রামকৃষ্ণ মেদিনীপুর টাউন স্কুলে ১৯২২ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন । ওই ক্লাসেই তাঁর পরবর্তীকালের সহকর্মী ব্রজকিশোর চক্রবর্ত্তী , অমর চট্টোপাধ্যায়, ফণি দাস প্রমুখ ভর্তি হয়েছিলেন । ছোটবেলা থেকে রামকৃষ্ণ মনদিয়ে শরীরচর্চা করতেন । ছুটে যেতেন মানুষের বিপদে আপদে । নিজেকে সবসময় মানুষের সেবায় নিয়জত রাখতেন । ১৯২৪ সালে মেদিনীপুরে গান্ধীজি এসেছিলেন তখন বালক রামকৃষ্ণ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীতে যোগ দিলেন এবং সারাদিন সেখানেই ব্যাস্ত থাকতেন । ১৯২৬ সালে পুরসভার নির্বাচনে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের হয়ে রামকৃষ্ণ ভোট সংগ্রহ করেছিলেন । ১৯২৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু মেদিনীপুর এসেছিলেন, রামকৃষ্ণ তখন নেতাজিকে পেয়ে আরো অনুপ্রাণিত হয়ে পড়েন এবং নেতাজীর সাথে বেশ কিছু দিন স্বেচ্ছাসেবকের কাজও করেছিলেন ।

এই সময়েই মেদিনীপুরে এসেছিলেন বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত । মেদিনীপুর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হলেন কিন্তু পড়াশুনা করা তার আসল উদেশ্য ছিলো না তার আসল উদেশ্য ছিলো বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সকে শক্তিশালী করা । রামকৃষ্ণ তখন বিবিগঞ্জের ছোট শিবমন্দিরের আব্দুল্লির আখড়ার অন্যতম সদস্য হিসেবে যোগ দেন । তিনি বুঝতে পারছিলেন, মেদিনীপুরে এমন একটা কিছু হচ্ছে যাতে অংশ নিতে পারছেন না তিনি । এদিকে দীনেশের সহকর্মী, ফণি কুণ্ডু খুঁজছেন কয়েকটি তরতাজা উদ্দীপনায় ভরপুর যুবকের সেই সময় আব্দুল্লির আখড়ার কথা জানতে পারলেন তিনি । সকলের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই রামকৃষ্ণকে দলে নিলেন তিনি । রামকৃষ্ণ দলে কিছুদিনের মধ্যেই সকলের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন । রামকৃষ্ণের প্রেরণাতে একদল তার তাজা যুবক দলে যোগ দিল ।

১৯৩০ সাল শোনা গেল, জেলাশাসক পেডি তমলুক থেকে মেদিনীপুর ট্রেনে আসছেন । ফণী কুণ্ডু পেডিকে হত্যার ছক কষলেন । কিন্তু ছুরি ছাড়া কোনও অস্ত্র নেই । রামকৃষ্ণ ছুরি নিয়েই যেতে প্রস্তুত । কলেজ থেকে পটাসিয়াম সায়ানাইড এনে ভেসলিন দিয়ে ছুরিতে লাগানো হল । ঠিক হল খড়্গপুর স্টেশনে ছুরি দিয়ে রামকৃষ্ণ পেডিকে আক্রমণ করবে  তার পর আত্মহত্যা করবে । নিদৃষ্ট দিনে রামকৃষ্ণ বেরিয়ে গেলেন ভালবাসার টানে দলের নেতা ফণী নিয়ম ভেঙে তাঁর পিছু নিলেন । খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন থেমেছে দরজা বন্ধ  চারদিকে পুলিশে ছয়লাপ । কিছুতেই পেডির কামরায় যাওয়া যাচ্ছে না তবুও রামকৃষ্ণ ট্রেনের জানলার ফাঁক দিয়ে পেডিকে মারার জন্য এগিয়ে চললেন । হঠাৎ পিছন থেকে ডাক পড়ল, ফণী নিষেধের ডাক দিলেন রামকৃষ্ণকে, নেতার নির্দেশ মানতেই হবে । রামকৃষ্ণ এই আক্ষেপে কেঁদে ফেলেছিলেন । পরে ঠিক হল, মেদিনীপুর স্টেশনে আবার চেষ্টা হবে । মেদিনীপুরে ট্রেনের কাছে ঘেঁষতে পারলেন না রামকৃষ্ণ । পেডি কে হাতের কাছে পেয়ে না মারতে পারার কারণে বেশ কিছুদিন বিমর্ষ হয়েছিলেন তিনি ।

বেশ কিছুদিন পরে হত্যা করা হল পেডিকে । ফণী কুণ্ডু রামকৃষ্ণকে সেই অভিযানে সঙ্গে নেননি । দলের  অনেক নেতা ধরা পড়লেন ঠিক হল কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হবে তাদের । ফণী কুণ্ডু তখন জেলে, দীনেশ গুপ্তর ফাঁসি হয়ে গিয়েছে । ঠিক হল, রামকৃষ্ণ ও ব্রজকিশোর আড়ালে থাকবেন । ধীর স্থির ব্রজকিশোর পরিস্থিতির চাপে মেনে নিলেন । পূজারী সেজে বাড়ি বাড়ি পুজো করতেন আর ছেলে জোগাড় করতেন । পুলিশ ভাবল, পেডি হত্যা মামলায় খালাস পেয়ে ব্রজকিশোর ভয় পেয়েছেন । পুলিশ তার পিছু নেওয়া ছাড়ল ।

রামকৃষ্ণ অস্থির চিত্ত মাণিক নন্দীর পুকুর পাড়ে একটা কুড়ে ঘরে থাকতেন । ব্রজেকিশোরের মতো দলের নির্দেশ তিনি মেনে নিতে পারেননি । রাতের অন্ধকারে প্রায়ই সহকর্মীদের কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন । অনুরোধ করেন, তাঁকে বাদ দিয়ে যেন অন্য কেউ আত্মবলিদানের সুযোগ না পান । এদিকে আরেক জেলাশাসক ডগলাসকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়েছে । রামকৃষ্ণকে কিছুই বলা হয়নি কারন  সে জানতে পারলে তাঁকে আটকানো যাবে না । ঠিক হল, ডগলাস হত্যার পরে ব্রজকিশোর ও রামকৃষ্ণকে সামনে আনা হবে । ডগলাস খুন হলেন খবর পেয়ে রামকৃষ্ণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তাকে না জানানোর জন্যে । পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, দলের দায়িত্বে ব্রজকিশোর ও রামকৃষ্ণর । জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করতে হবে কিন্তু পুলিশ সজাগ তাই এবারে সাফল্য এল না ।

১৯৩৩ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর । বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্তর গুলিতে বার্জ মারা গেলেন খেলার মাঠে । অনাথ ও মৃগেন পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিলেন । মেদিনীপুরের অগণিত যুবক-সহ ধরা পড়লেন রামকৃষ্ণ ও ব্রজকিশোর । তাঁদের উপর অত্যাচার চলল । কিন্তু রামকৃষ্ণ ও ব্রজকিশোর মুখ খুললেন না । ১৯৩৪ সালে রামকৃষ্ণ, ব্রজকিশোর ও নির্মলজীবন ঘোষের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হল । অন্যদের সাজা হলো দ্বীপান্তর । ১৯৩৪ সালের ৮ ই অক্টোবর রামকৃষ্ণের বড়দা নরেশকৃষ্ণের কাছে জেল সুপারের চিঠি এল ।

১০ অক্টোবর নরেশকৃষ্ণ জেলের গেটে দেখা করলেন । প্রসন্ন মুখ, বলিষ্ঠ দেহ  দাদাকে নমস্কার করে বললেন, ‘ দাদা চললাম, মাকে দেখো, আমি আবার আসব ’ ।
নিজের হাতে মাকে এক খানি চিঠি লিখেছিলেন চিঠিটি দাদার হাতে দিলেন মাকে দেওয়ার জন্যে । চিঠিটি পড়লে শিউরে উঠবে দেহ.......

শ্রীচরণেষু মা ,
“ বহুদিন হোলো আপনার কোন কুশল সংবাদ পাই নাই , আশা করি কুশলে আছেন । মা আজ আমার . সুখ অনুভব করিতেছি তাহা আমি নিজেই বুঝিতে পারিতেছি না । কে যেন আলো দেখিয়ে বলছে  আয় , আয় , ফিরে আয় , ওখানে তোর স্থান হবে না , এই অন্তরের কোলে তোর স্থান । তাঁর ডাকে আত্মহারা হয়ে ছুটে চলেছি । কোথায় চলেছি ও কেন চলেছি তাহা কিছুই জানি না । মাগো , তোমায় ছেড়ে যাচ্ছি বলে তুমি দুঃখ কোরো না কারণ এখানে যাহারাই আসিয়াছে , তাহাদিগকে ফিরিয়া যাইতে হইবে । এই পৃথিবী ঠিক যেন একটি বাজার স্বরূপ বাজার করুক বা না করুক ফিরিয়া যাইতেই হইবে । যাঁহার ইচ্ছাতেই এই পৃথিবী চলিতেছে সেই অনন্ত পুরুষ যাঁহার অঙ্গুলি হেলনে সমস্ত দুনিয়া ওলোট পালোট হয়ে যেতে পারে তাঁহার ডাক আসিলে সকলকেই চলিয়া যাইতে হইবে ।” “ তাঁরই ইচ্ছা হবেই পূর্ণ সকল জীবন মাঝে ”।

“ মাগো , আমি আপনার হতভাগ্য সন্তান । পৃথিবীতে এসে কেবল আপনাকে দুঃখ এবং অশান্তিই দিয়ে গেলাম । আপনার প্রতি আমি কোন কর্তব্যই করিতে পারিলাম না । তাহার জন্য আমায় ক্ষমা করিবেন । বহু তপস্যা ও আরাধনার পর আমি আপনার মোট মা পেয়েছিলাম কিন্তু বিধাতা আমায় বেশী দিন আপনার চরণে স্থান দিলে না । মা আজ পর্যন্ত দুঃখ ও কষ্ট দিয়েই গেলাম । শুধু এই আসা নিয়ে গেলাম আপনার মত মা জন্ম জন্ম যেন পাই । মাগো আমার শুধু মনে হয় যে আপনি আমার জন্য চিন্তা করিয়া পাছে শরীর নষ্ট করেন , তাহা যেন না হয় । তাহলে আমি শান্তি পাবো না । গনা , ভুজঙ্গ , খোকন , ডলি ও মেজদার খোকা এদেরকে দেখে আমাকে ভুলতে চেষ্টা করবেন এই আমার অনুরোধ । আপনি আমার শতকোটি ভুমিষ্ট প্রণাম গ্রহণ করিবেন । আমি তবে এবারের মত আসি মা । তোমার কোল হতে চির বিদায় নিয়ে চল্লাম । গীতাটি দিয়ে গেলাম ।”

প্ৰণত 
আপনার স্নেহের -
রামকৃষ্ণ 

রাত তখন শেষ প্রহর ঝনঝন করে লোহার দরজা খুলে গেল । ভিতরে ঢুকল একজন অফিসার ও সশস্ত্র পুলিশ । ‘প্রস্তুত ’ উত্তর এল ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ । মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলল একটি কিশোর । সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরীরা । প্রহরীদের মধ্যেও কেউ কেউ সকলের অগোচরে চোখের জল মুছল । ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গিয়ে তুলল, ধর্মের নামে অভিনয় হল! তারপর একটি শব্দ ‘খট’। ‘মা-মাগো’ শেষ কথা । ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ১৯৩৪ সাল, ভোর ৫টা । মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের উত্তর-পশ্চিম দিকে বাগানের মধ্যে জ্বলে উঠল চিতা । বিপ্লবী রামকৃষ্ণ রায়ের নশ্বর দেহ আগুনে ছাই হয়ে গেল । কিন্তু তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গ করে ইতিহাসের পাতায় নিজেকে অমর করে গেলেন ।

১৯৩৪ সালে ২৫ শে অক্টোবর মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হল রামকৃষ্ণ ও ব্রজকিশোরের । পরের দিন ফাঁসি হল নির্মলজীবন ঘোষের ।
রামকৃষ্ণের মা ফাঁসির খবর পেয়ে একটি মাত্র কথা বলেছিলেন -

 “এই তিন জনকে মেরেও ইংরেজ তোমাদের রাজত্ব থাকবে না ”।
✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,পূর্ব মেদিনীপুর

🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨‍💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *