ফাইল চিত্র,
সৈয়দ মওলানা আবুল কালাম আজাদ
সৈয়দ মওলানা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন একজন বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ।
তাঁর প্রকৃত নাম আবুল কালাম মহিউদ্দিন আহমেদ তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন আজাদ ছিলো তাঁর ছদ্মনাম ।মৌলানা আজাদ ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন । খুব তরুণ বয়স থেকে তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন ।
তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন ।
দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতভাগ এই উপমহাদেশের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা ছিলো । এই ঘটনার ফলস্বরূপ ভারত ও পাকিস্তান নামক দুই স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি পরিবর্তন ঘটেছে এই অঞ্চলের ভূরাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছুরই ।
দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন সৈয়দ মওলানা আবুল কালাম আজাদ ।
১৯৪৭ সালের এই বিভক্তির আগে প্রায় দু'শো বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশকালে বিভিন্ন সময়ে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবির্ভাব হয়েছে, যারা একটি স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন । যেসব ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তাদের মধ্যে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ অন্যতম, যিনি স্বপ্ন দেখতেন একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন ভারতের । তিনি একাধারে কবি, লেখক, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ ।
জন্ম:
১১ ই নভেম্বর ১৮৮৮ সাল, মক্কা ।
মৃত্যু:
২২ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ সাল, দিল্লি ।
মওলানা আবুল কালাম আজাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন আফগানিস্তানের হেরাত শহরের বাসিন্দা । মুঘল সম্রাট বাবরের শাসন কালে তারা ভারতে আসেন এবং প্রথমে আগ্রায় ও পরবর্তীকালে দিল্লিতে স্থায়ী হন । সৈয়দ মওলানা আবুল কালাম আজাদ বাবার মাতামহ মাওলানা মুনাবরউদ্দীন ছিলেন 'রুকন উল মুদাসরিন', যা ছিল শিক্ষা বিষয়ক একটি পদবি । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় আজাদের পিতা খায়েরউদ্দীন মক্কায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন । সেখানেই সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন ।
১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর মক্কায় আজাদের জন্ম হয় । তারপর ১৮৯০ সালে তার পিতা সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন । খায়েরউদ্দীন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে আজাদের পরিবার এখানেই স্থায়ী হয় ।
আজাদের পরিবার ছিল ধর্মীয়ভাবে খুবই রক্ষণশীল । তাই ছোট বেলা থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় । তখনকার সময়ের প্রচলিত স্কুল কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষায় খায়েরউদ্দীনের এর খুব একটা আস্থা বিশ্বাস ছিল না । তাই তিনি বাড়িতেই আজাদের শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেন । বাড়িতেই আজাদ আরবি ভাষায় গণিত, জ্যামিতি, দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষালাভ শুরু করেন ।
তরুণ বয়সে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের লেখা পড়ে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হন । তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন ঘটে । তিনি আধুনিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন । তাই ইংরেজী শিক্ষায় ব্রতী হন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নিজ প্রচেষ্টায় দক্ষতা অর্জন করেন ।
সে সময়ে সমাজের প্রচলিত রীতি, পদ্ধতি আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না । একটা সময় তার ওপর পরিবারের সমস্ত শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে । বিদ্রোহের এক নতুন বোধে তার মন-প্রাণ ছেয়ে যায় । তখন নিজের নামের শেষে 'আজাদ' যুক্ত করেন, যার অর্থ মুক্ত ।
তরুণ বয়স থেকে মৌলানা আজাদ উর্দু ভাষায় কবিতা এবং ধর্ম ও দর্শন-সংক্রান্ত নিবন্ধ রচনা করতে শুরু করেন । তিনি সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করে ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন জানান ।
আজাদ যখন বিপ্লবী চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হতে থাকে, দেশের স্বাধীনতার গুরুত্ব অনুভব করতে থাকেন , ঠিক তখন তিনি শ্রী অরবিন্দ ঘোষ এবং শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর মতো বিপ্লবী নেতাদের সংস্পর্শে আসেন এবং তাদের মাধ্যমেই তিনি বিপ্লবী রাজনীতিতে গভীর ভাবে প্রবেশ করেন ।
এর পর তিনি মিশর, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক প্রভৃতি দেশ বিদেশ ভ্রমণ করেন । তার ফলে সেই সব দেশের বিপ্লবীদের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয় । তাদের সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব করতেই হবে । তাই দেশে ফেরার পর তিনি মানুষকে স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে 'আল হিলাল' নামে উর্দুতে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন । এই পত্রিকা ব্রিটিশদের সমালোচনা করে এবং মানুষের মাঝে বিপ্লব ছড়িয়ে দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তোলে । খুব অল্পদিনেই পত্রিকাটি দারুন ভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । পত্রিকার জনপ্রিয়তা দেখে ব্রিটিশ সরকারের কপালে ভাজ পড়ে যায় এবং তড়িঘড়ি পত্রিকাটি বাজেয়াপ্ত করেন তারা । পরবর্তীকালে আজাদ আবার 'আল বালাঘ' নামে আরেকটি পত্রিকা চালু করলে ব্রিটিশ সরকার সেটিকেও বাজেয়াপ্ত করে ।
ব্রিটিশ সরকার শেষমেষ কোনো উপায় না দেখে তাকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে । এরপর আজাদ বিহারে চলে যান । কিন্তু সেখানেও তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয় ।
আজাদ ১৯১৯ সালের রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে গান্ধীজির অহিংস অসহযোগের ধারণায় অণুপ্রাণিত হয়ে অসহযোগ আন্দোলন সক্রিয় হয়ে ওঠেন । ১৯২০ সালের ১ লা জানুয়ারি তিনি মুক্তি পেলে আবার কলকাতায় ফিরে আসেন।
কলকাতায় ফিরে এসে তিনি খিলাফত আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন । মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলন তখন মধ্য গগনে । খিলাফত আন্দোলন আর অসহযোগ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার ফলে তিনি গান্ধীজির সংস্পর্শে আসেন । আজাদ খিলাফৎ আর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে নেতৃত্ব দান করেন । এই আন্দোলন বন্ধ করবার জন্যে ব্রিটিশ সরকার সারাদেশে ধরপাকড় শুরু করলে তিনিও অন্যান্য কংগ্রেস নেতার সাথে গ্রেফতার হন এবং দু' বছর কারাবাস গ্রহণ করেন । এই সময়ে তিনি শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন এবং ১৯২৩ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন । তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি । পরবর্তী সময়ে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল এই পাঁচ বছর আজাদ আবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন ।
মওলানার সাথে গান্ধীজীর সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতাপূর্ণ এবং অত্যন্ত গভীর । গান্ধীজীর সকল আন্দোলনেই মওলানা আজাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল । কিন্তু গান্ধীজীর বাইরেও আজাদের নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ছিল । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ব্যতীত প্রায় কোনো রাজনীতিবিদই যখন 'গান্ধীজির চিন্তাধারার থেকে বের হতে পারেননি, তখন মওলানা আজাদ ছিলেন তার ব্যতিক্রম ।
মওলানা আজাদ অহিংসবাদের বিরোধী ছিলেন, ব্যাপারটা এমন কিন্তু নয় । তিনি অহিংসবাদকেও সমর্থন করতেন । কিন্তু তিনি মনে করতেন, “দেশের ভেতরের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর বাইরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই, এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে । স্বাধীনতা লাভের জন্য সংগ্রাম এক জিনিস, আর স্বাধীন হওয়ার পর লড়াই করা অন্য জিনিস । এই দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয় ।”
তিনি ছিলেন দেশভাগের ঘোর বিরোধী । ১৯৪০ সালে যখন লাহোর প্রস্তাব উত্থাপিত হলো,শুরু থেকেই তিনি তার বিরোধিতা শুরু করেন । অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন ভারতবর্ষ অর্জন ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য । এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন ।
মওলানা আজাদ ছিলেন সকল ধর্ম, গোত্র এবং সম্প্রদায়ের ঐক্যের ভিত্তিতে গঠিত ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা । তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, পারস্পরিক ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ভারত অর্জন করা সম্ভব। তাই তিনি, তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে সংগ্রাম করে গেছেন ।
দেশভাগের ব্যাপারে মওলানা আজাদের তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেছেন -
“ গোটা ভারতই আমার ভূখণ্ড এবং আমি এর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবন গড়ে তোলার অংশীদার- একজন মুসলমান হিসেবে আমার এই অধিকার আমি কিছুতেই বিসর্জন দিতে রাজি নই । উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সব ছেড়ে দিয়ে শুধু তার একটা মাত্র টুকরো নিয়ে খুশি হওয়া- আমার কাছে নিশ্চিতভাবে সেটি কাপুরুষতা বলে মনে হয় ।”
ভারতভাগের সমস্ত প্রস্তুতি নিতে যখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন শেষ ভাইসরয় হয়ে ভারতবর্ষে আসেন, তখনও মাওলানা আজাদ চেষ্টা করেছেন তা ঠেকাতে । সর্দার প্যাটেল, জওহরলাল নেহেরুর মতো কংগ্রেস নেতারা যখন ভারতভাগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল, তখন তিনি তাদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তর্ক করেগেছেন , এর পরিণাম সম্পর্কে তাদেরকে নিবৃত্ত করতে চেয়েছেন । কিন্তু তারা যখন এতে রাজি হচ্ছিল না, তখন মহাত্মা গান্ধীর সাথে এ নিয়ে কথা বলেছেন, সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে তর্ক করেছেন এবং অনুরোধ করেছেন তাদেরকে ঠেকাতে । কিন্তু ততদিনে গান্ধীজিও দেশ ভাগ সমর্থনকারীদের দলে । এই সময়টাতে মাওলানা আজাদ কঠিন মনঃকষ্টে দিন কাটিয়েছেন । তার চোখের সামনে ভারত এভাবে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে, তা তিনি কখনো কল্পনা করতেও পারেননি ।
ভারত এবং পাকিস্তান সম্পর্কে তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেছিলেন -
“ভারতীয় উপমহাদেশ এমন দু'টি রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়েছে, যারা পরস্পরকে ঘৃণা আর ভয়ের চোখে দেখে । পাকিস্তান মনে করে, ভারত তাকে কিছুতেই শান্তিতে থাকতে দেবে না এবং বাগে পেলেই তাকে শেষ করে ফেলবে । তেমনি ভারতও মনে করে, পাকিস্তান সুযোগ পেলেই তাকে বিপদে ফেলবে এবং ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়বে ।”
মওলানা আজাদ এবং জওহরলাল নেহেরু দুজনে দুজনের পরম প্রিয় বন্ধু ছিলেন । রাজনৈতিক কোনো মতভেদ কখনোই তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারেনি ।
তাইতো ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত মওলানা আজাদের আত্মজীবনী 'ইন্ডিয়া উইন্স ফ্রিডম' গ্রন্থটি জওহরলাল নেহেরুকে উৎসর্গ করেছেন ।
মওলানা আজাদ স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই পদে আসীন ছিলেন । স্বাধীন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি চালু করেন। তিনিই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করেন ।
তাঁর নামে কলকাতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় নামকরন করা হয়েছে ।
১৯৯২ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন (মরণোত্তর) খেতাবে ভূষিত করা হয় । স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে তার উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তার জন্মদিনটি সমগ্র ভারতে 'জাতীয় শিক্ষা দিবস' হিসেবে পালন করা হয় ।
১৯৫৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই মহান নেতার প্রয়াণ ঘটে ।

ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,পূর্ব মেদিনীপুর
🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in
