ফাইল চিত্র,

( প্রাক্তন শিক্ষক )
লাল বাহাদুর (শ্রীবাস্তব) শাস্ত্রী
জন্ম - 02.10.1904 মৃত্যু - 11.01.1966.
পিতা-সারদাপ্রসাদ শ্রীবাস্তব।
মাতা-রামদুলারী দেবী।
সহধর্মিণী- ললিতা দেবী।
বরপণ-চরকা এক, এক তাঁতে বোনা ধুতি।
মান্য প্রথা। কিন্তু এর বেশীতে নহে মতি।
এই হোল এমন এক প্রাথমিক নিদর্শন
যাতে বোঝা যায় শাস্ত্রী মানুষ কেমন।
মুঘলসরাইএ জন্ম -ঊনিশ'শ চারে
সারদাপ্রসাদ-রামদুলারীর ঘরে
অতি সাধারণ পরিবারে।
বেঁটে খাটো অবয়ব বিশিষ্ট কিছু নয়
অথচ বিশিষ্ট এই ভারত-তনয়।
শাস্ত্রী তো উপাধি পান - ঊনিশ'শ ছাব্বিশ
কৃতিত্ব সম্মান দিল কাশী বিদ্যাপীঠ।
সেই থেকে শ্রীবাস্তব না চেনে কেউ আর
উপাধি, পদবী রূপে শোভিল তাঁহার।
স্বাধীনতা আন্দোলনে ষোল বয়স থেকে
গান্ধীযুগে যুক্ত হন গান্ধীজীকেই দেখে।
সাত বর্ষ কারাদণ্ড করেছেন ভোগ
'ভারত ছাড়ো' আদিতে দিলে পরে যোগ।
স্বাধীনোত্তর কালে দেশ গড়বার কাজে
উত্তরপ্রদেশে যাত্রা সংসদীয় সচিব পদে।
তাঁর কর্ম্ম প্রেরণায় উদ্যমে প্রাণিত
কেন্দ্রিয় মন্ত্রীসভায় হলেন আনিত।
শিল্প-বাণিজ্য কভু পরিবহন-যোগাযোগ
রেল উন্নয়নে কভু স্বরাষ্ট্রে সংযোগ।
রেলমন্ত্রী থাকা কালে দুর্ভাগ্যবশত
পর পর দুর্ঘটনা দুই হ'লে সংগঠিত,
নৈতিক দায়িত্ব তার করিতে স্বীকার
অবিলম্বে মন্ত্রীপদে পদত্যাগ তাঁর।
ঊনিশ'শ চৌষট্টিতে নেহেরুজী হ'লে গত(06.08.1964)
প্রধানমন্ত্রীর পদে হলেন নির্বাচিত।
সংস্কার সাধনে-যেথা বেশী প্রয়োজন
'জয় জওয়ান,জয় কিষাণ' শোনে জনগণ।
কৃষি নির্ভর দেশ- সত্তর শতাংশ
কৃষিই জীবিকা মাত্র, করিয়া সনাক্ত
আটচল্লিশে পাকিস্তান, বাষট্টিতে চীন
অঙ্গ ছেদি ভারতেরে করিয়াছে হীন।
সেনা মনোবল তাই বাড়ানোর তরে
প্রস্তুত হলেন শাস্ত্রী সম্ভাব্য সমরে।
কতখানি দূরদর্শী - দেখুক জনগণ
পাকিস্তান পর সনেই করে আক্রমণ।
এবার মুখের মত জবাব যেই পেল
জামানা বদলেছে বেশ ভালোই বুঝে নিল।
অগত্যা ফাঁপরে পড়ে সন্ধিতে মনন
যে সন্ধিতে কাল হ'ল শাস্ত্রীর জীবন।
অনমনীয় মনোভাব সন্ধি স্থাপন কালে
কে জানে বা সে করণে জীবন খোয়ালে।
দশ তারিখ বিকালে যখন সন্ধি স্থাপন
একেবারে স্বাভাবিক সুস্থ জীবন
অথচ রাত দেড়টায় জীবন বিগত
স্বাভাবিক মেনে নেওয়া হবে না সঙ্গত।
হার্ট অ্যাটাক যদিও বা কারণ বলা হয়
দেহ নীল, নিয়ে এল বিষের সংশয়।
সন্দেহের আরো কিছু রয়েছে কারণ
নিজস্ব ডায়েরী তাঁর বেপাত্তা যখন।
একান্ত সচিব আর গৃহ চিকিৎসক
খুব দ্রুত দুর্ঘটনায় হ'লে প্রাণাত্নক।
মন্ত্রী যবে গাড়ী দেখে পুত্র-পরিজন
সওয়ারী হইতে ব্যগ্র হলেন যখন
কেমনে ওঠান?-ওরা বেসরকারী জন।
অতএব গাড়ী ক্রয়ে করেন মনন।
ফিয়ার্ট - দাম তখন বার হাজার টাকা,
সাত হাজার নিজস্ব সম্বল সব করে ফাঁকা,
বাকী পাঁচ হাজার নেন সরকারী লোন
স্ত্রী ললিতা শুধেছেন কেটে পেনশন।
সে গাড়ী দেখিতে যদি চাহে কোনজন
মতিলাল নেহেরু মর্গে গচ্ছিত এখন।
আজকাল রাজনীতির নেতাদের দেখে
হয়ত বা গল্প ব'লে মনে হতে পারে,
সিমলা গমনে সঙ্গী হ'তে রাজী নন।
চুপে বলি- শীত কোর্ট অভাব কারণ।
দু'তারিখ গান্ধীজীর জন্মদিন ধরে
তাই, শাস্ত্রীর কথা লোকে খুব মনে নাহি করে।
অথচ বাড়াতে তিনি দেশের সম্মান
তুচ্ছ করেছেন তিনি নিজ প্রিয় প্রাণ।
স্বল্পবাক, দৃঢ়চেতা জন্মে সাধারণ
সে প্রিয় বীরেরে দেশ করুক স্মরণ।
এসো বীর ভারতরত্ন এসো বার বার
তোমার চরণে রাখি কোটি নমস্কার।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
