ফাইল চিত্র,

( প্রাক্তন শিক্ষক )
বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
জন্ম - 30.11.1858 মৃত্যু - 23.11.1937
জনক-ভগবানচন্দ্র বসু।
জননী-বামাসুন্দরী দেবী।
ঢাকার বিক্রমপুর গ্রাম রাডিখাল
জগদীশ জন্মে দেশে বিজ্ঞান সকাল।
ম্যাজিস্ট্রেট পদে পিতা ভগবানচন্দ্র
মাতা বামাদেবী যিনি সন্তানে অতন্দ্র।
ফরিদপুর, হেয়ারস্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স
যেথা জগদীশচন্দ্র দিয়েছেন পাশ।
কেমব্রিজে ট্রাইপস, বি.এস্.সি.লণ্ডনে
প্রেসিডেন্সীতে অধ্যাপনা পদার্থ বিজ্ঞানে।
অর্ধেক বেতন যখন নেটিভ অধ্যাপক
প্রতিবাদে তুমি কৈলে বেতন বয়কট।
একটানা তিন বর্ষ প্রতিবাদ পরে
বাধ্য হল ইংরেজ সাম্য স্থাপিবারে।
বিদ্যুৎ তরঙ্গ দ্বারা সংকেত প্রেরণ
বিজ্ঞানে গতির পথে নব বিচরণ।
বিনা তারে বার্তা যায়- দর্শাও লণ্ডনে
মার্কনি না, জগদীশ- বেতার সম্মানে।
জীব-পদার্থ বিদ্যার সার্থক জনক
অধ্যাপক বসু বটে নাহিক সংশয়।
ধাতু-ক্লান্তি প্রমাণেতে করিলে সূচনা
ধন্য ধন্য ধন্য তুমি অনন্য যোজনা।
উদ্ভিদের স্নায়ু দেয় উত্তেজনায় সাড়া।
বৃদ্ধি পরিমাপে তব ক্রেস্কোগ্রাফ খাড়া।
নেটিভ দমন চাহে চতুর ইংরেজ
প্রেরণায় নিবেদিতা রাখিতে সতেজ।
রসায়ন বিজ্ঞানেও তব অবদান
জাতিরে দানিল আরো খানিক সম্মান।
'তরঙ্গ পথ প্রদর্শন'এ তব গবেষণা
বিশ্বে ইলেকট্রনিক্সের এনেছে নিশানা।
যুগ-অগ্রবর্তী অতি সে কি অপরাধ!
কত শত নোবেলের তুমি অগ্রজাত।
ডি.এস্. সি., নাইট বা এফ্. আর.এস.
তোমার প্রতিভা তুল্য নয়ত বিশেষ।
তোমারে মাপিতে পারে প্রতিভা তেমন
সেদিন কি ছিল বিশ্বে? দুর্ভাগ্য এমন!
'বসু বিজ্ঞান মন্দির' ষাট জন্মদিনে
আগামী প্রজন্ম যারে আশীর্বাদ মানে।
তোমার সাধনে নহে শুধুই গৌরব
সৃষ্টিতে বিজ্ঞানী কত দানিছে সৌরভ।
'ব্যক্ত ও অব্যক্ত' তুমি এই চরাচরে
উৎভাসিত হোক্ সত্য কাল ভেদ ক'রে।
আত্মধর্ম্মে সাধনায় প্রেরণা আশিসে
লুটায় প্রণাম সব তব পদে এসে।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
