মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে ঋষি অরবিন্দ।

ফাইল চিত্র,

✍️ শীর্ষেন্দু দাস
( প্রাক্তন শিক্ষক )

শ্রী অরবিন্দ বা অরবিন্দ ঘোষ

জন্ম - 15.08.1872. মৃত্যু - 05.12.1950.
জনক-কৃষ্ণধন ঘোষ। জননী-স্বর্ণলতাদেবী।

"বন্ধন শৃঙ্খল তার
চরণ বন্দনা করি ক'রে অভ‍্যর্থনা"
                     - রবীন্দ্র রচনা।
ঋষি কবি সিদ্ধ যোগী অরবিন্দ ঘোষ
ভারতের বাণীপুত্র বিতরে সন্তোষ।
পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ মাতা স্বর্ণলতা
নরউডে(ইংল্যান্ড) জন্ম,কোন্নগর বাসিন্দা(হুগলী)।

প্রাতিষ্ঠানিক যত শিক্ষা সব বিদেশেতে
ম‍্যানচেষ্টার,সেন্টপলস্,কেম্ব্রিজ ও কিংসে।
কিংস্ থেকে অরবিন্দ প্রথম ভারতীয়
যিনি করেছেন ট্রাইপস অধিগত।
ঘোড়ায় চড়া পরীক্ষায় গর হাজির হয়ে
পিতৃ ইচ্ছার আই.সি.এস.ফেলে দিলেন জলে।

বরোদার গাইকোয়াড লণ্ডনেতে গিয়ে
মুগ্ধ হয়ে প্রতিভায় দেশে আনলেন বরে।
(হেথা) দীনেন রায়ে মাতৃভাষা, মাতুলে ( যোগীন্দ্রনাথ বসু) সাহিত্য সংস্কৃতি
লেলের(বিষ্ণুভাস্কর)কাছে যোগাভ‍্যাস পরে দর্শন ও শাস্ত্রাদি।
বেশভূষায় চালচলনে যে ছিল ইংরেজ
একেবারে বদলে হল স্বদেশী-সতেজ।
পত্নীরূপে মৃণালিনীদেবী এখানেই লাভ
স্নিগ্ধা-পত্নী দৈবী-রূপা প্রেরণা স্বভাব।

চাপেকরের আত্মত‍্যাগ, তিলকের কারাবাস
অরবিন্দে জ্বেলে দিল বিপ্লবের আভাস।
'ইন্দুবিকাশ' পত্রিকা যে বোম্বাই এর ছিল
সুচিন্তিত ঘোষ প্রবন্ধে আলোড়ন তুলিল‌।
গড়ে তুললেন 'ভবানী মন্দির,' 'কর্ম যোগাশ্রম'
ভারতমায়ের অভীমন্ত্রে দীক্ষা দান তখন।
ঊনিশ'শ ছয়ে বঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি
জাতীয় কলেজের অধ‍্যক্ষরূপে শিক্ষাগুরুও মানি।
কর্ত্তৃপক্ষের মতের সাথে মতভেদের ফলে
জাতীয় কলেজের অধ‍্যক্ষ পদ দিলেন তিনি ছেড়ে।

মেদিনীপুরে গুপ্ত সমিতি,সমিতি  কলকাতায়
অরবিন্দের প্রেরণা লাভে উজ্জ্বলতা পায়।
'বন্দেমাতরম্‌'পত্রিকাটি করলেন প্রকাশ
অগ্নিবর্ষী লিখন সকলে বিপ্লবীর উল্লাস।
ইংরেজীতে 'কর্ম্মযোগিন' বাংলায় পত্রিকা 'ধর্ম্ম'
সবখানেই অরবিন্দ গড়েছেন বিপ্লবের বর্ম্ম।

' জাতি পড়ে আছে মর্গে অসাড় অক্ষম
বহু রক্ত দানে হবে পুনঃ জাগরণ।
গুপ্ত হত‍্যা ক'রে দেশ মুক্ত নাহি হবে
উদ্ধারিতে হবে দেশ গেরিলা সমরে।
রজো গুণ লুপ্ত প্রায় ক্ষত্র বীর নাই
দেশ জাগাইতে পুনঃ ক্ষত্রশক্তি চাই।'

নিত্য 'গীতা'  'চণ্ডী'পাঠ মুরারি পুকুরে
কালজয়ী অকুতোভয় উঠল কত গড়ে।
ক্ষুদিরামের ধরা পড়া প্রফুল্লের আত্মহত্যা
সূত্রযোগে মুরারি পুকুরে পুলিশ অগত্যা।
একে একে পড়ল ধরা অগ্নিশিশু কত
'যুগান্তর' 'অনুশীলন'এর বিপ্লীবীরা যত।
কেউ বা পেল দীপান্তর কেউ বা ফাঁসির দড়ি
মৃত্যুঞ্জয় সব অকালেতে গেল মোদের ছাড়ি।

চিত্তরঞ্জন দেশের বন্ধু ধন‍্য তাঁহার নাম
অরবিন্দ কে আইনী লড়াইয়ে করলেন কারা বার।
কারা থেকে বেরিয়ে এল অন‍্য অরবিন্দ
যোগী ধ‍্যানী ঋষি গুরু সে এক যোগানন্দ।
ভারতের আত্মশক্তি উৎসারের ত‍রে
পণ্ডিচেরীতে যোগাশ্রম তুললেন গড়ে।
এখানেই 'আর্য্য' পত্রিকা হল প্রকাশিত
ধুয়ে দিতে আবিলতা সঞ্চারিত যত।

জাতীয় জীবনের উৎস হে বন্ধু মহান!
এমনদিনে জন্ম তব মহা মহীয়ান
এদিনেই ভারতবর্ষ লভে স্বাধীনতা
পুনঃ ভারত অখণ্ড হবে বলেছিলে কথা।
ঋষি বাক‍্য সত‍্য হবে একদিন নিশ্চয়
এইবাক‍্যে ভারতবাসী রাখুক প্রত‍্যয়।

'অরবিন্দ, রবীন্দ্রের লহ নমস্কার'
সমগ্র জাতির হয়ে কবি আবিষ্কার।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *