ফাইল চিত্র,

( প্রাক্তন শিক্ষক )
এস. মুথুলক্ষ্মী রেড্ডী
জন্ম - 30.07.1886. মৃত্যু - 22.07.1968.
পিতা-এস.নারায়ণস্বামী আয়ার।
মাতা-চন্দ্রাম্মাল দেবী।
স্বামী-ডাঃ টি. সুন্দর রেড্ডী।
প্রথম মহিলা ইনি ছেলেদের স্কুলে
ম্যাট্রিক করেন পাশ যিনি সেই কালে।
মাদ্রাজের পদুকোটা নিতান্তই গ্রাম
মহিলা ইংরেজী জানা প্রথমেই নাম।
ডাক্তারী পাঠ কিংবা আইন সভায়,
অলডার নারী প্রথম মুথু দেখা যায়।
এত ধনী নয় যাতে পারে পড়িবার
শিক্ষা লাভ বৃত্তি লভি- মেধা আপনার।
তামিল তেলেগু জানা সংস্কৃত ইংরেজী
হলেও দক্ষিণী নন হিন্দী গররাজি।
ধাত্রী, শল্য,ঔষধীর সাম্মানিক স্মাতক
শিক্ষার্থে লণ্ডনে, হয়ে বৃত্তির প্রাপক।
সংস্কারে আছে তাঁর সীমাহীন দান
দেশ উন্নয়নে যা়ঁর সদা অভিযান।
মন্দিরে কন্যা দান- দেবদাসী প্রথা
অ্যাক্ট ফাইবে বিলোপ- লক্ষ্মী চেষ্ট যথা।
বিবাহ বয়স বৃদ্ধি 'সরদা' অ্যাক্টেতে
ঊনিশ'শ আঠাশেতে মুথুর চেষ্ঠাতে।
দমনে পতিতাবৃত্তি, বাল্যের বিবাহ
নারী আসন সংরক্ষণেও জাগান সমীহ।
তিন সন পরিষদের সদস্যা হিসাবে
যুগান্তরী হয়েছেন আইন সংস্কারে।
প্রতিষ্ঠা ও সম্মানের পরিসীমা নেই
অনলস চেষ্টা শুধু কিছু করে যাই।
প্রতিবন্ধী নারী, শিশু, অনাথ,অক্ষম
তিরিশে তাঁদের তরে 'অনাথ' আশ্রম।
স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, নিরাপত্তা তরে
নারী শিক্ষা তরে মুথু প্রাণপণ করে।
নারী শিক্ষা মূল্য কত লক্ষ্মী কহে শোনো-
"খাদ্যের থেকেও বেশী প্রয়োজনীয়।"
অ্যানীর ভারতীয় মহিলা সংস্থার গতি
শুরু থেকে সহ পদে, অ্যানী অন্তে পতি।
এম.এল.এ. ছিলেন তিনি কত চেয়ারম্যান
মাদ্রাজের, ভারতের, এশিয়ার হন।
ক্যান্সারর প্রতিষ্ঠান চুয়ান্নতে হল
ছত্রিশ থেকে মুথুর চেষ্টার ফসল।
মুসলিম পিছড় বর্গ, নারী আরো বেশী
ছেলেদের 'আবাসন', 'সঙ্ঘ' নারী লাগি।
অবৈতনিক শিক্ষা তরে গড়েন প্রতিষ্ঠান
স্মরণীয় বরণীয় শ্রেষ্ঠ সব দান।
শ্রেণীহীন সমাজের প্রতিষ্ঠা সংগ্রাম
দিয়ে ধ্যান চেষ্টা শ্রম অর্থ অবিরাম।
তবু মুথু কহে, ' দুই, সমাজের পর
উদার সমাজ এক, অন্য স্বার্থপর।
সৎ সরল ধর্ম্মপ্রাণা দৃঢ় তেজস্বিনী
সেবা সহ চিকিৎসায় মাতা দেবী জানি।
যদ্যপি উদ্দেশ্য তাঁর ফলপ্রসূ নয়
নাই নাই অবসর বিশ্রাম সময়।
অভাব সংসারে ছিল স্বভাবেতে নয়
বরঞ্চ বাধার দীপ্ত লক্ষ্মী করে জয়।
প্রতিকূল সমাজও হয় অনুকূল
থাকে যদি মনোবল আত্মশক্তি মূল।
প্রেমময়ী ভগ্নী দেখি স্নেহময়ী মাতা
স্বতঃস্ফূর্ত মূর্ত্ত মূর্ত্তি শুধু মানবিকতা।
লক্ষ্মী এসো লক্ষ্মী এসো লক্ষ্মী এসো দেশে
মানবী হইয়া দেবী অন্তর প্রদেশে।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
