মেদিনীকথার উৎসর্গ মঙ্গল পান্ডে।

ফাইল চিত্র,

বীর বিপ্লবী শহীদ মঙ্গল পান্ডে

ভারত বর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ ছিলেন মঙ্গল পান্ডে ।
আজ থেকে দেড়শাে বছর আগে ভারতের বুকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আলোকশিখা জ্বলে ওঠে। কলকাতার উপকণ্ঠে ব্যারাকপুরে।
মঙ্গল পান্ডে ছিলেন এক ভারতীয় সৈনিক যিনি ১৮৫৭ সালের ভারতীয় মহা বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার আগেই ঘটে যাওয়া ঘটনায় মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ৩৪ তম বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রি (বিএনআই) রেজিমেন্টের সিপাহী (পদাতিক) ছিলেন।

জন্ম :
১৯ শে জুলাই ১৮২৭ সাল, বলিয়া, উত্তর প্রদেশ।

আত্মবলিদান :
৮  ই এপ্রিল ১৮৫৭ সাল।

১৮৫৭ সাল মার্চ মাস শেষ হয়ে শীত সবে বিদায় নিয়েছে।ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু সকালের রােদ মেখে চকচকে হয়ে ওঠে।কিছু দূরেই কুল কুল করে বয়ে চলেছে পতিত পাবনী গঙ্গা।
কলকাতার উপকণ্ঠে ব্যারাকপুরের এই ক্যান্টনমেন্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাটী।এখান থেকেই বিদ্রোহের ধ্বজা আকাশের বুকে উড়েছিল।মঙ্গল পাণ্ডে নামের এক সামান্য সিপাই তার হাতের বন্দুক থেকে নিক্ষেপ করেছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম গুলিটি।তিনি প্রথম বারুদের স্তূপ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন জ্বলন্ত মশাল। যদিও তার এই প্রয়াস সফল হয় নি।কিন্তু তার আত্মবলিদান ভারতব্যাপী এক মহা অভ্যুত্থানের সূচনা করেছিল।দেখতে দেখতে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে।উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত ভারতবাসীর প্রবল বিরােধিতা এবং সুচতুর ইংরেজের সমর কুশলতা এই বিদ্রোহকে সফল করতে দেয়নি।কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসের প্রতিবাদী আন্দোলনের সিপাই বিদ্রোহ এক উল্লেখযােগ্য স্থান দখল করেছে।
এই আন্দোলনের পরিকল্পনা নানা সাহেবের।তার পাশে আছেন ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ ,আছেন তাতিয় টোপি,আছেন আজিমুল্লাহ আরও কয়েকজন । তবে নানাসাহেব আর আজি মুল্লাহই ধীরে ধীরে গােটা ভারতের সেনা ছাউনিগুলিতে বিদ্রোহ সংগঠিত করে তুলেছেন।এই বিদ্রোহের প্রাণপুরুষ মঙ্গল পাণ্ডে।
পুজো আচ্চা আর ধ্যানে বেশ খানিকটা সময় ব্যায় করেন পাণ্ডেজী । ব্যারাকপুরের ছাউনিতে সকল  সিপাই  পাণ্ডেজীকে শ্রদ্ধা করতেন , ভালােবাসতেন । তা বাসবে নাই বা কেন ! একে ব্রাহ্মণ মানুষ , নিত্য দুবেলা গঙ্গাস্নান করেন । ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করেন । সাত্তিক আহার করেন ,নিজে ধর্মভীরু হলেও ইসলাম বা অন্য ধর্মের প্রতি তার পুরাে শ্রদ্ধা আছে । তাই তাকে পছন্দ করার ব্যাপারে জাতি বা ধর্ম কোনাে গণ্ডি টানতে পারেনি। পাণ্ডেজী সবার ভালােবাসার , সবার শ্রদ্ধার মঙ্গলের মত এমন কতাে সিপাই জীবিকা অর্জনের আশায় । রণক্ষেত্রে মারা গেছেন , অনেকে আহত অবস্ত হয়ে দেশে ফিরে গেছেন । কিন্তু পৃথিবীর বুকে মাত্র ছাব্বিশ - বসন্ত বেঁচে থাকার ' ছাড়পত্র পাওয়া মঙ্গল  আজও এক অবিস্মরনীয় চরিত্র হয়ে বেঁচে আছেন। অলৌকিক বীরত্বকে পাথেয় করে চারণ কবিরা গান বেধেছে । এমনকি তাকে কেন্ত্রীয় চরিত্র করে মুক্তি পেয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র।এই হবে মঙ্গল কিংবদন্তির এক মহানায়ক হয়ে উঠেছেন ।

১৮৫৭ সালের ২৯ শে  মার্চের সেই ঘটনাবহুল মুহূর্তে । দীর্ঘদিন ধরে নানাকারণে।সিপাইদের মনে ক্ষোভ জমতে থাকে । প্রতিমুহূর্তে তাদের দাঁড়াতে হচ্ছে অন্যায় অবিচারের সামনে।নেটিভ বা কাল আদমি বলে সহ্য করতে হচ্ছে অবর্ণনীয় অপমান।কিন্তু এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন এমন মানুষ কোথায়।এই অবস্থায় এগিয়ে এলেন ছাব্বিশের যুবক মঙ্গল পান্ডে।
তখনকার দিনে ৫৩ এনফিল্ড রাইফেলের টোটার সামনের অংশ দাত দিয়ে ছিড়ে বন্দুকে বারুদ ভরতে হত।পাণ্ডে জী খবর পেয়েছেন গরু আর শুয়ােরের চবি মাখানো আছে ঐ টোটায়।সেই টোটা দাঁত দিয়ে ছিড়তে বাধ্য হচ্ছেন জাতি - ধর্ম নির্বিবেশে।জাতি ও ধর্ম খােয়াচ্ছেন হিন্দু ও মুসলমানরা।
উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ অপেক্ষা আছেন পাণ্ডেজীর মতামতের জানে। তারা তাকিয়ে আছেন পাণ্ডেজীর পরবর্তী কর্মপন্থার দিকে।
ইংরেজদের ওপর রাগ এবং অপরিসীম বিদ্বেষ ধূমায়িত হচ্ছে সিপাইদের মধ্যে। তারা বুঝতে পেরেছে , ইংরেজরা তাদের জাত মারতে চাইছে । কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছেন না। পাণ্ডেজীর মতাে তারাও বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীতে যােগ দিয়েছে। পেটের দায়ে কাজ করতে এলেও তারা জাত খােয়াতে রাজি নয়। একদিন গভীর রাতে কয়েকজন মিলে পাণ্ডেীর সাথে দেখা করতে এসেছিল । পাণ্ডেজী তখন সবে পুজো সেরে উঠেছেন । কপালে জ্বলজ্বল করছে রক্ততিলকের ফোটা। গলায় ধপধপে সাদা মেটা পৈতে। ওদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে এলেন পান্ডেজী । জিগ্যেস করলেন , গরু আর শূয়ােরের চর্বি দিয়ে তৈরি টোটা তাদের জাত মারছে। তাই না ? নিশ্চয়ই ! তাহলে আমাদের কী করা উচিত ? সাহেবদের জানিয়ে দিতে হবে , ঐ টোটা আমরা আর কেউ ব্যবহার করব না। মঙ্গলপাণ্ডে একটু চিন্তা করে আবার বললেন , বিদ্রোহের সঠিক সময় এবং মুহূর্ত যে কোনাে সময় এসে যাবে। তােমরা সকলে তৈরি থেকো। দেরি হচ্ছে বলে মুখ ভার করে যারা এসেছিলেন তার
✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,

পূর্ব মেদিনীপু

🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨‍💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *