ফাইল চিত্র,
বীর বিপ্লবী দীনেশ চন্দ্র মজুমদার
" মুক্তির মন্দির সােপান তলে
কত প্রাণ হল বলিদান
লেখা আছে অশ্রুজলে " ।
দীনেশ চন্দ্র মজুমদার হলেন ভারতীয় ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বীর বিপ্লবী এবং অগ্নিযুগের বীর শহীদ বিপ্লবীদের মধ্যে অন্যতম নেতৃত্ব । বিপ্লবী দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের সানিধ্যে আসেন তার অনুপ্রেরণা তেই তিনি যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিপ্লবী বাঘা যতীনের (যাতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ) নেতৃত্বে বিপ্লবী অভ্যুত্থানের সময় বালেশ্বরের গুপ্ত ঘাঁটির পরিচালক বিপ্লবী শৈলেশ্বর বোস যখন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলেন তখন অনুজাচরণের সাথে দীনেশ চন্দ্র মজুমদারও সারা রাত জেগে তার সেবা করেন ।
এরপর দলনেতার নির্দেশে বিপ্লবী দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বগুড়া ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় বিপ্লবী সংগঠনের কাজে নিযুক্ত হলেন। সাথে সাথে লাঠি খেলার প্রশিক্ষক হিসেবেও নিযুক্ত হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে "ছাত্রী সংঘ" প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করলেন তিনি ।
জন্ম :
১৯ শে মে, ১৯০৭ সাল, বসিরহাট,উত্তর ২৪ পরগনা।
আত্মবলিদান :
৯ ই জুলাই, ১৯৩৪ সাল, আলিপুর সেন্ট্রাল জেল ।
দীনেশ চন্দ্র মজুমদার ১৯০৭ সালের ১৯ শে মে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে জন্মগ্রহন করেন, তাঁর পিতা ছিলেন পূর্ণচন্দ্র মজুমদার । ১৯২৮ সালে বি.এ. পাশ করে ওকালতির শিক্ষা শুরু করেন দীনেশ চন্দ্র মজুমদার । তিনি আই.এ. পড়ার সময় পড়া শুনার সাথে সাথে যোগাব্যায়াম অভ্যাস করতে থাকেন । নিয়মিত শরীর চর্চায় জোর দিতেন তিনি । পরে সিমলা ব্যায়াম সমিতিতে তিনি লাঠি ও ছোরা খেলার অনুশীলন করেন ।
দলের নির্দেশে এলো, ১৯৩০ সালের ২৫ শে আগস্ট, ইংরেজ চার্লস টেগার্টকে মারবার জন্যে । তাকে মারবার জন্যে তারা তার একটি রূপরেখা তৈরী করলেন । টেগার্ট কে মারবার বা আক্রমণ করবার জন্যে যে তিনজনের দল তৈরী হয়েছিলো সেই দলের অন্যতম বীর বিপ্লবী দীনেশ মজুমদারই ছিলেন । দীনেশ চন্দ্র মজুমদার ও অনুজাচরণ সেন অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট সাহেবের গাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করেন । টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু দীনেশ মজুমদার ধরা পড়েন পুলিশের হাতে । অনুজাচরণ পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান । টেগার্টকে আক্রমনের সময় পুলিশের হতে ধরা পড়ে এবং তাঁকে পুলিশ সেই স্থান থেকেই গ্রেপ্তার করেন । এর পর তাকে আদলাতে নিয়ে আশা হয় বিচারের জন্যে । বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয় ।
দ্বীপান্তরে পাঠানোর আগে বেশ কিছু দিন তাঁকে মেদিনীপুর জেলে রাখা হয়েছিলি বিপ্লবী দীনেশ চন্দ্র মজুমদারের সাথে আরো অনেক বিপ্লবী সেখানে বন্দি অবস্থায় ছিলো ।
এর পর ১৯৩২ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারী মেদিনীপুর জেল থেকে দীনেশ মজুমদার সহ আরো বেশ কিছু বিপ্লবী জেল থেকে পালাবার পরিকল্পনা করলেন । এই পালানোর নেতৃত্বও দেন দীনেশ চন্দ্র মজুমদার । তাঁদের পরিকল্পনা সফল হয়েছিলো কিন্তু পালাবার সময় দীনেশের পা টি গেলো ভেঙে । তা সত্ত্বেও এই ভাঙা পা নিয়ে তিনি পালাতে সমর্থ হন । চারিদিকে সাড়া পড়ে গেল । দীনেশের নামে হুলিয়া ঘোষণা হল, ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার । এর মধ্যেই ধরা পড়ে গেলেন বক্সা, হিজলি ও মেদিনীপুর জেল থেকে পালানো বেশীরভাগ বিপ্লবীরা, শুধু ধরা পড়লেন না দীনেশ । পুলিশ পাগলের মত তাঁর খোঁজ চালাতে লাগল । এরমধ্যেই তিনি গোপনে দলের হয়ে বেশ কিছু কাজ করে ফেলেছেন । একের পর এক আস্তানা বদলে বদলে তিনি পুলিসের চোখে ধূলো দিয়ে একস্থান থেকে আরেক স্থানে বেড়াতে লাগলেন । বেশ কিছু দিন তিনি আত্মগোপন করে ছিলেন । এই আত্মগোপন কালে তিনি মাথায় মোট বয়েছেন , কুলির কাজও করেছেন । এর কিছুদিন পরে শ্রীশচন্দ্র ঘোষ চন্দননগরে বিপ্লবী দীনেশচন্দ্র মজুমদারকে আশ্রয় দেন ।
এরপর ওয়াটসন কে মারবার দায়িত্ব দীনেশের কাঁধে পড়ল । ১৯৩২ সালে তাঁর নেতৃত্বতেই দুবার ওয়াটসন কে হত্যা করবার পরিকল্পন গ্রহন করা হয় কিন্তু তা ব্যর্থ হয়ে যায় । তৃতীয়বার যখন চেষ্টা করছিলেন তখন চন্দননগরের পুলিস কমিশনার কুইনের নেতৃত্বে একদল পুলিস দীনেশ সহ বিপ্লবীদের তাড়া করে, দীনেশ পুলিশের উপর গুলি চালায় । দীনেশের গুলিতে কমিশনার কুইন মারা যান । দীনেশ অন্য সকল বিপ্লবীদের নিয়ে মহুর্তের মধ্যে আত্মগোপন করেন ।
১৯৩২ সাল সেই সময় পুলিশের অত্যাচার ক্রমশ বাড়তে থাকল আর কারনে আকারনে যাকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে থাকল । এই সময় পুলিস বহু বাড়ি খানাতল্লাশি করে এবং বহু লোককে গ্রেপ্তার করে । শোভারানি দত্ত, কমলা দাশগুপ্ত, শৈলরাণী দত্ত, ডা. নারায়ণ রায়, ভূপালচন্দ্র বসু, অদ্বৈত দত্ত, অম্বিকা রায় , রসিকলাল দাস, সতীশ ভৌমিক, সুরেন্দ্র দত্ত, রোহিণী অধিকারী সহ আরো অনেককে পুলিশ ধরে লকাপে ভরে দেন । বিচারে নারায়ণ রায় ও ভূপাল বসুর ১৫ বছরের দ্বীপান্তরের স

ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার,
পূর্ব মেদিনীপুর
🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in
