ফাইল চিত্র,

ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়
জন্ম - 01.07 1882 মৃত্যু - 01.07.1962
পিতা-প্রকাশচন্দ্র
মাতা-অঘোরকামিনী
পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্ন-রূপকার বিধানচন্দ্র রায়
জন্ম নিলেন বাঁকিপুরে বিহার পাটনায়।
আদি নিবাস২৪-পরগণার টাকীপুর গ্রাম
প্রকাশচন্দ্র অঘোরকামিনী পিতামাতার নাম।
ঊনিশ শ একে বি.এ., ডাক্তার ছয়েতে
স্বপ্নসম্ভব ডাক্তার খ্যাতি সারা দুনিয়াতে।
দেখা মাত্র, নাহি শুনে রোগী মুখে কথা
সারাতে সক্ষম রোগ রটিল বারতা।
সকাল বেলায় রোগী বিনে পয়সায়
দেখাবার দীর্ঘ সারি পড়িত দরজায়।
ডাক্তারীর পুরস্কার শ্রেষ্ঠ বলি তারে
আমেরিকা থেকে এল এ বঙ্গের দ্বারে।
প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার সাম্মানিক মান
পাঁচশত কোটি টাকা এল অনুদান।
আঠারোতে রাজনীতি ক্ষেত্রে যোগদান
তেইশে দেশবন্ধু দিলেন প্রত্যক্ষ অঙ্গন।
ডাক্তার প্রফুল্ল ঘোষ আদি মুখ্যমন্ত্রী
পদত্যাগে বাধ্য হন দ্বারা ষড়যন্ত্রী।
তেইশে জানুয়ারি ঊনিশ শ আটচল্লিশে
মুখ্যমন্ত্রী রূপে ভার পেলেন বিশেষে।
সৎ সত্যনিষ্ঠ রায় অক্লান্ত অশেষ
দীর্ণ রাজ্য গড়বার প্রচেষ্টা বিশেষ।
নির্মূল উদ্বাস্তু আসে অবিরাম স্রোতে
কলোনি গড়িয়া স্থান দেন কোনোমতে।
স্থানাভাবে অন্য রাজ্যে আশ্রয় চেষ্টার
বিরোধীর রাজনীতি হানে অনিবার।
অথচ মারিচঝাঁপি উদ্বাস্তু সংহার
ক্ষমতায় যবে তারা, এ কি ব্যবহার!
পাট উৎস্ব ওই বঙ্গ কলগুলি হেথা
পাটচাষে উৎসাহ দিতে নিলেন ব্যবস্থা।
আগামী দিনের ভেবে প্রয়োজন কথা
প্রসার ঘটাতে শিল্প হয়নি অন্যথা।
'বিধান নগর' সাথে, গড়ান 'কল্যাণী'
'দুর্গাপুর', 'ব্যান্ডেল' 'চিত্তরঞ্জন'খানি।
'বিশ্বভারতী', 'কল্যাণী' বিশ্ববিদ্যালয়
'উত্তরবঙ্গ', 'বর্ধমান' সাথে যুক্ত হয়।
মেঘনাধ-সুভাষের দমোদর পরিকল্পনা
রায়ের উদ্যমে পেল সঠিক যোজনা।
ব্যবসায়ে উৎসাহ দান প্রফুল্ল স্মরণে
অমর করিল রায়ে জীবনে মরণে।
ভারী শিল্পের প্রতিষ্ঠা তাঁহার আমলে
শিল্পক্ষেত্রে এই রাজ্য আগে আগে চলে।
পাঁচ হাজার তিনশ চুয়াত্তর দিন
পশ্চিমবঙ্গ ছিল তাঁর রাজের অধীন।
রাজ্যের সুবর্ণযুগ ঢলিল অকালে
বাষট্টির পয়লা জুলাই তিনি গেলেন চলে।
কর্ম্মরত অবস্থায় সে রাজভবন
ধন্বন্তরী কর্মবীর গেলেন স্বধামে।
ডাক্তার দিবস হ'ল তাঁর জন্মদিন
এতেই কি পশ্চিমবঙ্গের শুধে যাবে ঋণ?
হেরো কর্মবীর তব রাজ্যের হাল
অনাচার অত্যাচারে মানুষ নাকাল।
কেমনে রহিবে দূরে কেমনে রহিবে?
আর্ত নরনারী চাহে তোমা বরিবারে।
পরিত্রাতা রূপে এসো পরিতোষ ভ'রে
রয়েছে প্রতীক্ষা-বাসী তোমার দুয়ারে।
তোমার চরণে সঁপি শত নমস্কার
এসো এসো এসো বীর এসো আরবার।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

1 thought on “মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়।”
অসাধারন লেখা