ফাইল চিত্র,

দীনেশ গুপ্ত
জন্ম - 06.12.1911 মৃত্যু - 07.07.1931
পিতা- সতীশচন্দ্র।
মাতা- বিনোদিনী দেবী।
ঢাকার যশোলং গ্রাম ওই যশশ্বিনী
যথায় দীনেশ গুপ্ত লভেন অবনী।
ঢাকা ও মেদিনীপুর দীনেশেতে ধন্য
গুপ্ত সমিতির কাজে গোপনে অনন্য।
ঢাকা সমিতির দলনেতা জ্যোতিষ জোয়ারদার
মার্চ কালে খবর পেলেন অদ্ভুত ক্ষুধার।
সাজো-বাসি কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ মাত্র নেই
শুধু এইটুকু শুনি আরো আরো চাই।
হায়!হায়! কোথা গেল অমৃত সন্তান
ফাঁসিতে লুটায় দেখ বীরেদের প্রাণ।
বীরবেশে অলিন্দ যুদ্ধে মহামার করি
বিধ্বস্ত ইংরেজে করে সন্তান বাংলারই।
বাধা কিংবা অনুমতি আসবার অগে
পিস্তল গর্জেছে তিন সিম্পসন উপরে।
পুলিশের বাধা ভেঙ্গে হলে চুরমার
তিনেরে রোধিতে শেষে ডাক যে সেনার।
এমন যুদ্ধে যাবার আগে নিকুঞ্জ সেনেরে
খাওয়াইতে মন ভরে যারা দাবী করে,
চলছে পিকনিক যেন এমনই পাগল
মৃত্যু ভয় পারে নাকি পরাতে আগল?
লুচি মাংস দাবী দীনেশের কনডেমড সেলে
ফাঁসিতে যাবার দিনের আগের সকালে।
কে কবে শুনেছে কোথা এমন পাগলে?
নির্ভয়ে ফাঁসির রশ্মি মাল্য হেন গলে।
মৃত্যু ভয়ঙ্কর নয় দীনেশের স্থানে
আঁখি নীর অন্যদের স্থির না যতনে।
মৃত্যু তো বরণডালা তারে কেন ভয়?
পত্রে রটা বার্ত্তা তার অক্ষয় অব্যয়।
শোনো মাতঃ! মৃত্যুঞ্জয় বীর পুত্রগণ
অশ্রু নয় আরো দান অমৃত রতন।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
