ফাইল চিত্র,


( প্রাক্তন শিক্ষক )
যুগাবতার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
জন্ম - 17.02.1836 মৃত্যু - 16.08.1886
জনক-ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়।
জননী-চন্দ্রমণিদেবী।
বল্যনাম-গদাধর চট্টোপাধ্যায়।
আঠার'শ ছত্রিশ ফেব্রুয়ারী সতের
লোকহিতে মর্ত্ত্যধামে এল গদাধর।
ক্ষুদিরাম পিতা হন মাতা চন্দ্রমণি
দিব্যভাবে থাকে সদা, পাঠ ও শেখিনি।
চাল-কলা বাঁধা বিদ্যা পেতে নাহি মন
শ্রেষ্ঠ ধন পেতে মনে ইচ্ছা সর্বক্ষণ।
চাল-কলা বাঁধা দেখে পথে ভিক্ষা চায়
সেইক্ষণে গদাধর পথে তা বিলায়।
রাজ-মন নিয়ে ভাই এল যে ধরায়
কেমনে বাঁচিবে ভাই?দাদারে ভাবায়।
সে আছে ধরিয়া খুঁটি, মিছে কেন ভাব
মর্ত্তে তাঁর আগমন ঘুচাতে অভাব।
বলেন, 'পাকাল হবে সংসারের তরে
সর্বকর্ম্মে রবে তবু পাঁক না লাগিবে।
জ্ঞান তেল মেখে ভাঙ্গ সংসার কাঁঠাল
কোনদিন কোনোভাবে না হবে নাকাল।
এক পিঠে শূন্য যত মূল্য তত বাড়ে
এক মুছে দিলে কোনো মূল্য নাহি ধরে।
শুচি ও অশুচি দাও, জ্ঞান ও অজ্ঞান
পাপ দাও পূণ্য দাও হও ভক্তিমান।
সেই একে ধরো যাঁর মূল্য করা দান
মান-ধর্ম্ম-কর্ম্ম-বিদ্যা তাহে মূল্যবান।
জ্ঞানবীর কর্ম্মবীর যত কেন হও
নিষ্কাম না হলে কিন্তু ফলপ্রদ নয়।
দয়া ও দাক্ষিণ্য নয়-অনুকম্পা মাঝ
"স-এব" জেনে কর সদা সেবা কাজ।
দেব-পিতৃ-মাতৃ ঋণ শোধ করিবার
গৃহীর কর্তব্য কাজ আনন্দে সেবার।
সেবার মাঝারে তিনি, সে বারেতে নেই
সে থাকিলে মূল্য জেনো শূন্য থেকে পাই।
নীচেতে গড়ায় জল প্রকৃতির টানে
উপরেও যায় কিন্তু সূর্য যদি টানে।
বাঘ যদি ছাগপালে বদ্ধ হয়ে থাকে
নিজ ধর্ম্ম ভুলে সে তো ছাগ ধর্ম্মে মাতে।
আত্মশক্তি জ্ঞাত হও রিপু কর জয়
লজ্জা-ক্ষুধা-কুল-শীল-জাত-মান-ভয়
দম্ভ আদি অষ্ট পাশ বর্জনের হয়।
বিবেক-বৈরাগ্য যারে পথ বলে কয়
সে পথই শ্রেষ্ঠ পথ জেনো অতিশয়।
লৌকিক যে পড়াশোনা হয় নাই তাঁর
অথচ সঘন জ্ঞান কেমনে তাঁহার?
মাতৃরূপে সেবি ইষ্ট কেঁদে পড়ে রন
মা এসে দাঁড়ান পাশে, কোলে তুলে লন।
শ্রেষ্ঠ তত্ত্ববেত্তাগণ মধ্যতে প্রথম
অনুভবী উদাহরণে শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ হন।
পুরুষরূপী জ্ঞান নাকি রাখে অপেক্ষায়
ভক্তি নারী অন্তঃপুরে অবাধেতে যায়।
শক্তি-ভক্তি দুই পথে ছিল পায়চারী
জ্ঞানযোগে ত্রিধারায় আনে তোতাপুরী।
রামকৃষ্ণ নাম তাঁরে দিল তোতাপুরী
অবতার রূপে তাঁরে ঘোষিল ভৈরবী।
অদ্বৈতবাদী সন্ন্যাসী পরমহংস কয়
রামকৃষ্ণ পরমহংস বিশ্বে পরিচয়।
কত শত পণ্ডিত যাঁরা বিদ্যাভিমানী
পরিচয়ে যুগাবতার নিয়েছেন মানি।
মাতাল গিরিশ ঘোষের ব-কলমা চায়
লোকে বলে ক্যানসার সে থেকে গলায়।
ভক্তগণ অনুরোধে মা কে তিনি কন
খাবার কষ্টের কথা গলার কারণ।
মাতা কন, 'কষ্ট কেন?এত মুখে খাস্
যত তোর ভক্তগণ তোলে যত গ্রাস।'
কল্পতরু হ'য়ে তিনি চৈতন্য বিলান
পাপ-পূণ্য যায় তাহে হয় সিদ্ধকাম।
নরেনে ঠাকুর কন, 'সিদ্ধ মনোরথ
সর্বস্ব দিলাম তোরে, সাধ্ ইষ্ট পথ্।
চাবি থাক মোর কাছে, সময়েতে পাবি
সাঙ্গ হলেও ভবলীলা হবি চিরজীবী।'
ষোলই আগষ্ট সন আঠার'শ ছিয়াশি
যুগাচার্য যোগনিন্দ্রায় মহাজীবনবাসী।
আত্মশক্তি দৃপ্ত হেন কে আছে ধরায়
বিশ্বের প্রণাম যাঁর চরণে লুটায়?
চৈতন্য প্রদায়ী বলে শ্রেষ্ঠ বীর গনি
মুক্তিপথ প্রদায়ীরে প্রণমি প্রণমি।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
