
সাহিত্যসম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জন্ম - 26.06.1838 মৃত্যু - 08.04.1894
জনক-যাদবচন্দ্র।
জননী-দুর্গাদেবী।
জেলা চব্বিশ পরগণার কাঁঠালপাড়া গ্রাম
যেখানে জন্মের সূত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের নাম।
যাদবচন্দ্র-দুর্গাদেবীর তৃতীয় পুত্র রূপে
বঙ্কিমের জন্ম শ্যাম সঞ্জীবের পরে।
অনন্য মেধাবী তিনি শিশুকাল থেকে
বর্ণ পূর্ণ পরিচয় একই দিনেতে।
মেদিনীপুরের কলিজিয়েট বঙ্কিমেতে ধন্য
যে বিদ্যালয়ের তিনি ছাত্র অগ্রগণ্য।
সংবাদ প্রভাকরের কবিতা প্রতিযোগিতায়
'কামিনীর উক্তি' তাঁর প্রথম পুরস্কার পায়।
সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা হুগলী কলেজেতে
দু'বছর বৃত্তি পান নিজ কৃতিত্বেতে।
আঠার'শ আঠান্নতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
বি.এ.তে বসবার প্রথম সুযোগ মেলে।
বঙ্কিম ও যদু বসু প্রথম স্মাতক
বৃদ্ধি করেছেন যাঁরা বঙ্গের গৌরব।
আইন পরীক্ষায় পাশ করবার আগে
যশোহরে যোগদান ম্যাজিস্ট্রেট পদে।
সাথে সাথে ডেপুটি কালেক্টর তিনি
বহু বদলি, পদোন্নতি কপালে জোটে নি।
'প্রভাকর' সম্পাদক ঈশ্বর গুপ্ত
যাঁর পত্রিকায় লিখে হয়েছেন রপ্ত।
প্রথম উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী'
বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠার ওঠে শঙ্খধ্বনি।
তৎকালীন কাঁথির নেগুয়া মহকুমা
এখানেও পূর্ব পদে যায় তাঁকে জানা।
বিখ্যাত সে উপন্যাস 'কপালকুণ্ডলা'
নন্দিত নন্দিত কাঁথি, পটভূমি মেলা।
সবার সেরা প্রভাব জাতীয় জীবনে
'আনন্দমঠ' উপন্যাস দিয়েছে যে এনে।
বন্দেমাতরম' তাঁর সৃষ্ট ধ্বনি
দেশপ্রেমী মন্ত্রতুল্য নিয়েছে তা গণি।
এই গীত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত
স্বদেশপ্রেমী উদ্বোধিত ইহাতে অধিক।
সত্যেন-ভগত-লালা বিপ্লবীরা যত
বন্দেমাতরম ধ্বনিয়াছে মন্ত্রের মত।
ধ্বনিয়া ফাঁসির রশ্মি হেসে টেনে লয়
ক্ষয় নেই এ মন্ত্রের নেই নেই ক্ষয়।
গুলি খেতে মাতরম জেলে যেতে তাই
প্রতিবাদে মাতরম গৌরবেও চাই।
আর কিছু বঙ্কিম যদি না রচিত
মন্ত্রের উদ্গাতারূপেই অমর রহিত।
বাহাত্তরে পত্রিকা তাঁর 'বঙ্গদর্শন'
কেন্দ্র করে সাহিত্যিক দুর্বার হন।
কমলাকান্ত ছদ্ম নামে কমলাকান্তের দপ্তর
অন্যতম সেরা সৃষ্টি সাহিত্য ভিতর।
তোমার কমলাকান্ত গাঁজা নাকি খায়
না খেয়ে বুদ যদি সমীপে দাঁড়ায়।
মুচিরাম গুড় যত আগামীর দিনে
লাফ মেরে যাবে উঠে জানিলে কেমনে?
কেমনে জানিলে ঋষি কেমনে জানিলে
রবি হবে বিশ্ব কবি যাঁরে মালা দিলে।
কে বলে কেবল জজ রাজ-নেতা নও
কুকুর-বৃষ পলিটিক্স কোথা তবে পাও?
লোকে বলে তুমি নাকি ছিলে এক পদে
পদপ্রান্তে নত সবে কাছেতে আসিলে।
বিড়াল ঘোষিল তব সাম্যবাদ কথা
ক্ষুধা যবে সাধু-চোরে ভেদ আছে কোথা?
কোকিল তো বসন্তের হয় সবে জানি
মনুষ্য সমাজে ভরা দেখালে আপনি।
পদলেহী বাবু সব বুদ্ধিজীবী হবে
আকারে ইঙ্গিতে তুমি প্রথম দেখালে।
'সাহিত্যসম্রাট' বলে জাতি সম্ভাষণ
তুমিই তাহার যোগ্য মাত্র একজন।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

1 thought on “মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।”
Asadharn lekha