ফাইল চিত্র,

ভারত স্বাতন্ত্র বীর দামোদর বিনায়ক সাভারকর

জন্ম - 28.05.1883 মৃত্যু - 26.02.1966.

মারাঠার গর্ব যাঁরা  বালাজী, ফড়নবীশ
রানাডে,গোখলে,তিলক যাঁরে দানে আশিস্;
তাঁদের বংশে জন্ম তোমার ভারত স্বাতন্ত্র বীর
দামোদর বিনায়ক সাভারকর উন্নত তব শির।

আঠাশে মে আঠার'শ তিরাশি ধরাভূমে অবত্তীর্ণ
বিরাশি বছর ধরার ভূমিকে করলে তুমি ধন‍্য।
দশের মেলা তোমার মাঝে দশ দিশ্ করি জয়
'মিত্র মেলা' 'অভিনব ভারত' ঘোষে তব পরিচয়।

আঠারশ সাতান্নের মহাবিপ্লবকে স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে
তুমিই জাগালে অভিনব সূচনা বিশ্ব বরণীয় করে।
সভায় বক্তব্য ইংরেজের বুকে এমন আগুন জ্বালায়
জরিমানা সহ স্কুল বহিষ্কার চব্বিশ মাত্র ঘণ্টায়‌।
নিষিদ্ধ হল বাজেয়াপ্ত হল বই গান লেখা সম্পত্তি
আফশোষ হায় স্বাধীন ভারত করেনিকো নিষ্পত্তি।
শিবাজী বৃত্তি লাভের কারণে গ্রেপ্তার এড়িয়ে গেলে
বৃটিশ ভাবে শান্তি এবার ইংল্যান্ড যাবে সংবাদে।
আকারে রক্তে ভারতীয় রবে ইংরেজ হবে সংস্কারে
বশ‍্যতামূলক প্রতিষ্ঠা এবার বিনায়কে ঘিরে রবে।

জানল না তারা 'বিহারী'পত্রিকা বেনামে সম্পাদনা
জানল না তারা গোপন বার্তা ভারতেতে দেয় হানা।
জানল না তারা শুধু বিপ্লবের রাশি রাশি বাণী নয়
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বোকা বানাইয়া রসদ যোগান হয়।

ঊনিশ'শ সাত দশ মে পালন স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী
ক্ষিপ্ত হল মত্ত ইংরেজ পালনে গৌরব গাঁথাগুলি।
শিবাজী গোবিন্দ কেউ নেই বাদ এইসব সারণীতে
স্বাধীনতার অগ্নিপ্রেরণা বিনায়ক বহাইত ধমনীতে।

লাল বাল পাল নয়ত কেবল শ‍্যামাজী পরমা কামা
জ্ঞান সুখ রবি আয়ার রাজন ধিংড়া দয়াল হেমা
আলড্রাড আদি সবারে গাঁথিলে অপূর্ব মালিকায়
সাজিটি ভরিলে দেশভক্তির সঁপিতেমায়ের পায়।

তারকার চিহ্নযুক্ত ত্রিবর্ণ রঞ্জিত
কল্পিত পতাকা তব হেমে রূপায়িত
রাণা পাশে, কামা তোলে, দেখে স্টুটগার্ড
ঊনিশ'শ সাতে যবে আঠার আগষ্ট।

তোমার যারা করছে নিন্দা রস রঞ্জিত করে
সাক্ষাৎ করে গলে গেছে তারা চেয়েছে বিস্ময় ভরে।
এদের দলে রয়েছে সাংবাদিক রয়েছে প্রহরী নেতা
আর সব থাক লোকমান‍্যও নয় এতে অন‍্যথা।

মেরিয়া জাহাজ রণতরী হল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সাথে
বন্দী বিনায়ক।তবু কি বন্দী সাভারে রাখিতে পারে?
জীবন মরণ যাহারে শাসে না যে তাহাদের শাসে
মার্সেলিনের উথাল পাথার কোল দেয় তারে অনায়াসে।

শুনিতে কি পাও বন্ধু 'পেনি' 'পেনি' রব?
দেখ কি সাভার দৌড়ে ফ্রান্সের বন্দ‍র?
আঘাতের প্রত‍্যাঘাতে পুলিশ ভূতলে
মরতেও জানি মারতেও জানি বলে ভারতের ছেলে।

তুমিই  কেবল ভারত পুত্র যার বিচারের তরে
আন্তর্জাতিক হেগ বিচারালয় নিন্দিত অবিচারে।
তুমিই কেবল ভারত মায়ের বীরোত্তম সন্তান
পঞ্চাশ বছর জেলের বিধান কুৎসিত রায় দান।

উত্তাল হল নয়ত কেবল শুধুই ভারত খান
উত্তাল হল হেগ ইংল্যান্ড উত্তাল ফ্রান্স জার্ম্মান।
দশ হাজার এক বন্দী দিনের প্রতিটি দিনের জন‍্য
একটি করে হাজার এক দানিলে শ্লোক অনন‍্য।

যে পারঞ্জপ অধ‍্যক্ষরূপে তাড়াল কলেজ থেকে
বন্দনা গায় নিজেই সভায় ছাত্রে আপ্লুত হয়ে।
গান্ধী বলেন লেখনি ওর অসি অরবিন্দ বলে আশা
পুনা বলে ডক্টরেট উনি সনাতনী ওর নেশা।

স্বাধীন ভারত বাজেয়াপ্ত ধন দেয়নি ফিরায়ে তাঁরে
অকৃতজ্ঞতা ভার কত বহি আর একটি নমস্কারে!
 কোনদিন যদি হয় উদ্ঘাটন চাপানো ইতিকথা
বীর বাগ্মী প্রেমী,কবি ও শিল্পী হৃদয়ে রবে গাঁথা।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

•