

( প্রাক্তন শিক্ষক )
কাজী নজরুল ইসলাম
জন্ম- 24.05.1899 মৃত্যু-29.08.1976.
পিতা-ফকির আহমেদ।
মাতা-জাভেদাা খাতুন(বিবি)।
অসি কার বাঁশি হয়, বাঁশি হয় অসি?
কার গানে ফুল ফোটে, ঝরে অগ্নি রাশি?
যে গানে শিকল ডাকে খুলেও শিকলি,
যে গানেতে ঝরে অশ্রু বয়ে যায় খুশী।
যে গানে দেবতাগণ ঘন ঘন কাঁপে
যে গানে দৈত্যের দল লুকাইয়া হাঁপে।
সে গান আনন্দময়ী নাকি সর্বনাশী?
যে গানে সাম্য-মৈত্রী ধরা দেয় আসি।
যে গানে রাজার আসন টলমল করে
যে গানে শোষিত ভীত মনে বল ধরে।
যে গানে তোষণ নেই, নেই তঞ্চকতা
কে লিখেছে কে গেয়েছে উপলব্ধি কথা?
মজুরের কবি তিনি শোষিতের কবি
সাম্যেরও কবি তিনি বিদ্রোহের কবি।
ফকিরের পুত্র তিনি জাভেদা নন্দন
তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হন।
পড়াশোনা বেশীদূর হয়নি কো করা
ন'বছর বয়সেই হয়ে পিতৃহারা।
অর্থ উপার্জন তরে কত শত কাজ
পাঠ দান, লেঠো গান, ইমামের সাজ।
চকোর গোদার দলে কবি পথে গতি
এছাড়াও কত কাজে দিতে হল মতি।
বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার হয়ে
লাহোরে মঙ্গল হল অবসর পেয়ে।
পাঠের সময় হল, গান সেধে তোলা
বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী হতে পথ চলা।
ঊনিশ'শ কুড়িতে রেজিমেন্ট বাতিল
তরোয়াল ছেড়ে তবে কলমে সামিল।
'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতার তরে
বর্ষভর জেলঘানি হয়েছে ঘোরাতে।
প্রতিবাদে ঊনচল্লিশ দিন অনশন
অনশন অবসান রবীন্দ্র কারণ।
কলমের আসি তাঁর এমনই ঝলসায়
কারাগার বার বার ডাকে আয় আয়।
তারি মাঝে ঝরে গান অঝোরের ধারে
শ্রমিকের মজুরের শোষিতের তরে।
কারা পরে কে বা রয় বিপ্লবী না নারী?
শিকলের ডোরে ফেলে শিকড় উপাড়ি।
ধূমকেতু দেখা দিল পূবের আকাশে
আশিস্ দানিছে দেখি রবি থেকে পাশে।
শরতের আকাশেতে দেখি এ কি ফুল!
হিন্দু-মুসলিম নিয়ে শোভে নজরুল।
দেশ ভাগ হয়ে গেছে দেখি বিলকুল
'অন্নদা' কন ভাগ হয়নি নজরুল।
দু'দেশের নাগরিক, দু'দেশ সম্মান
দান করে নিজেরাই পেয়েছেন মান।
পুরুষ রমণী যাঁর কোন ভেদ নাই
জাতিভেদ বজ্জাতিই যাঁর থেকে পাই।
শোনাল যে হৃদয়ের থেকে বড় কাবা
কোনো দেশে কোনো দিন যায় নাই পাওয়া।
'লাঙ্গল' কর্ষিল যাঁর মস্তিষ্কের ভূমি
স্নিগ্ধ হোক্ সর্ব্ব অঙ্গ তাঁর পদ চুমি।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
