১৮ ই মে : মঙ্গলবার ছিল আন্তর্জাতিক সংগ্ৰহশালা দিবস। এই বিশেষ দিনটি ভার্চুয়ালি উদযাপন করেছে খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি’র সদস্যরা। তাঁদের আলোচনায় খেজুরীর সংগ্ৰহশালাগুলি নিয়ে নানান ভাবনার কথা উঠে আসে। খেজুরীর জরারনগর গ্ৰামে রয়েছে ‘ পরেশচন্দ্র সিংহ সংগ্ৰহশালা’ । খেজুরীতে গড়ে ওঠা প্রথম কোন সংগ্ৰহশালা এটি। দীর্ঘদিন ধরে এই সংগ্ৰহশালাটি পরিচালনা করে আসছেন ‘ সুভাষ শিল্প ভারতী ‘ নামক প্রতিষ্ঠানের সদস্য/ সদস্যারা । জরারনগর গ্ৰামের বাসিন্দা, খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি ও জেলা পরিষদ সদস্য বিমান নায়ক জানান, নানান সময়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে এই সংগ্ৰহশালাটিকে সরকারীস্তরে অধিগ্ৰহণ ও সংরক্ষণের দাবী জানিয়ে। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই হয় নি।
ফাইল চিত্র,
সরকারীভাবে উদ্যোগ নিলে এই সংগ্ৰহশালাটির অমূল্য সব নিদর্শন রক্ষা পেতে পারে। খেজুরীর কুঞ্জপুর গ্ৰামের বাসিন্দা, খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি’র সভাপতি ও খেজুরী কলেজের অধ্যক্ষ ড. অসীম কুমার মান্না কুঞ্জপুর গ্ৰামেই গড়ে তুলেছেন ‘ কোষ্ট্যাল এথনোলজিকাল মিউজিয়াম ‘। তিনি জানালেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের জীবনেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন। এক সময়ে নিয়মিত ব্যবহৃত হতো এমন অনেক জিনিসই আজ কেবল ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে। হুঁকো-কলকে , লাঙ্গল-জোয়াল, নানান ধরনের মাটির পাত্র,পুরনো দিনের আসবাবপত্র, ঘড়ি,পান পাত্র, পুরনো দিনের নানান ধরনের ইঁট,টেরাকোটার মূর্তি প্রভৃতি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ‘ উপকূলীয় মানবসমন্ধীয় সংগ্ৰহশালা ‘। খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি’র সহ: সভাপতি ড. প্রবালকান্তি হাজরার কথায় উঠে এলো অতীত ইতিহাসের সাক্ষী রূপে সংগ্ৰহশালা নির্মাণ ও পরিচালনার গুরুত্ত্বের কথা। খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি’র সহ: সম্পাদক সুমন নারায়ন বাকরা জানালেন, খেজুরীর আদি ডাকঘরটিকে কেন্দ্র করে খেজুরীতে একটি পোস্ট্যাল মিউজিয়াম গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই খেজুরী ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতি ও খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতির সদস্য/ সদস্যারা চেষ্টা চালাচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়ে । অপর সহ: সম্পাদক শিক্ষক সুদর্শন সেন জানান, খেজুরীর নানান ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে খেজুরীতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে ‘ খেজুরী আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি সংগ্ৰহশালা ‘ ।
প্রসঙ্গত,১৯৭৭ খ্রীষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছরই ‘ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস ‘ এর উদ্যোগে ‘ আন্তর্জাতিক সংগ্ৰহশালা দিবস’টি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে সদস্য ১০৭ টি দেশের প্রায় ২৮,০০০ জাদুঘর। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলা মহামারীকে কেন্দ্র করে এবছরের ভাবনাটি ছিল ‘ যাদুঘরের ভবিষ্যত : পুনরুদ্ধার এবং পুনরায় পরিকল্পনা ‘ ।


মেদিনীকথা গ্রুপের তরফ থেকে সকল পূর্ব মেদিনীপুরবাসী, শুভানুধ্যায়ী ও সদস্যদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আপনারা সকলে সচেতন হোন, উপযুক্ত সুরক্ষা গ্রহণ করুন এবং সর্বোপরি যে সকল মানুষজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বা পূর্বে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের প্রতি সহনশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ অবলম্বন করুন। মনে রাখবেন এই মরণ রোগে আক্রান্ত মানুষজন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের শরীরের এই রোগকে আহ্বান করছেন না। এই সকল মানুষজন কোনো না কোনো জরুরি কার্য সম্পাদন করবার তাগিদে বা নিজের পরিবারের অন্নসংস্থানের তাগিদে নিজেদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই এই সকল ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণবিধি অবলম্বন করুন। সকলের সুস্থ থাকুন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং অপরকে সৌভ্রাতৃত্বের শহীদ সচেতন করুন।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

2 thoughts on “আন্তর্জাতিক সংগ্ৰহশালা দিবস উদযাপন খেজুরীতে।”
ধন্যবাদ এই রকম গুরুত্বপূর্ন তথ্য তুলে ধরার জন্যে।
কাঁথিতে কবে হবে?