ফাইল চিত্র,

মাইকেল মধুসূদন দত্ত
জন্ম- 25.01.1824 মৃত্যু-29.06.1873
পিতা-রাজনারায়ণ।
মাতা-জাহ্নবীদেবী
ধুমকেতু সম যাঁর সাহিত্যে উদয়
জ্যোতিতে ঝলসি ওঠে সমগ্র বলয়।
লিপিকর কয়জন ক্রমে লিখে ব'সে
অনর্গল শ্লোক যেন মধু কণ্ঠে ভাসে।
আছুক অন্যের কথা লিখে মুগ্ধ হয়
মধু থেকে উৎসারিত ক্রমে ক্রমান্বয়।
কপোতাক্ষ নদীতটে জেলা যশোহর
সাগরদাঁড়ি গ্রামনী যশের আকর।
পিতা রাজনারায়ণ জাহ্নবী জননী
মধুসূদন সন্তান প্রাণ সঞ্জীবনী।
আঠার'শ চব্বিশে পঁচিশে জানুয়ারী
সাত সন পরে কিন্তু খিদিরপুরে পাড়ি।
কৃতি ছাত্র, বৃত্তি সহ বহু পুরস্কার
কবিতায় দক্ষতা সে জন্ম গত তাঁর।
ইংরেজী কবিতা কত বহু পত্রিকায়
সবে দেখে মধু জ্যোতি যেন ঝলসায়।
(তবু)হঠাৎ তেতাল্লিশের নয়ই ফেব্রুয়ারী
খ্রীষ্ট ধর্ম্ম নিল মধু অতীত বিস্মরি।
ত্যাজ পিতা কৈল কিন্তু খরচ জোগায়
একদা হঠাৎ মধু মাদ্রাজ(চেন্নাই)পালায়।
শিক্ষকের বৃত্তি সেথা পরে অধ্যাপনা
রেবেকা ম্যাস্টাভিয়া বিদেশী ললনা,
বরণ করিল মধু, শান্তি তো পেল না।
হেনরিয়েটা প্রতি তাঁর জাগিল বাসনা।
ছাপান্নতে কলকাতা হেনরির সাথে
রাখিলেন মধুকবি চিরকাল মাথে।
সাহিত্য সৃষ্টির কাল বড় মধুময়
মধু কবি থেকে মধু উৎসারিত হয়।
নাটক নভেল সহ অনুবাদ কাজ
লভিল অক্ষয় সৃষ্টি বঙ্গের সমাজ।
'ব্রজাঙ্গনা' 'বীরাঙ্গনা' 'মেঘনাদ বধ'
'তিলোত্তমা সম্ভব' কাব্য হয়েছে উদ্ভব।
অলীক কুনাট্যে বঙ্গ মজে দেখে শোক
উৎসারিত 'শর্মিষ্ঠা'র মত প্রজ্ঞালোক।
নাটক ও প্রহসন, মন দিল নাড়া
',রত্নাবলী'অনুবাদ জিগাইল সাড়া।
হায়!হায়!বাংলা তো বিশ্বভাষা নয়
ইংরেজীর জন্য মধু মত্ত যেন হয়।
সাহিত্যিক হ'তে যদি হয় মনোমত
বাংলায় হবে নাকি? ছিঃছিঃ, লজ্জা কত!
অতএব মধুকবি লণ্ঠন দেন পাড়ি
রইল পড়ি হেনরি, কলকাতা, বাড়ী
অশেষ দুর্ভোগ যাহা জানে সর্বজন
বাঁচালেন ঈশ্বর যিনি বিপদভঞ্জন।
তবু তাঁরে বীর বলে পূজি এ কারণে
"চতুর্দশপদী" 'সনেট" মোহে সর্বজন।
অপূর্ব অনন্য সৃষ্টি অমিত্রাক্ষর
প্রতিভার দ্যুতি সাথে অমৃত লহর।
মাতৃরত্ন অবশেষে হ'য়েছেন জ্ঞাত
রতনের স্বীকৃতিতে লভেন বীরত্ব।
অমরত্ব করায়ত্ত্ব মধু পাশে রয়
মধুভাণ্ডে মকরন্দ মধু মধুময়।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
