পিটিয়ে খুন, গ্রেপ্তার ৩।

ফাইল চিত্র।

১৪ই মে, শুক্রবার, ঈদের দিনে এগরা থানার অন্তর্গত খলসুটিয়া গ্রামে দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এই ঝগড়া পরবর্তীতে হিংসাত্মক রূপ নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল খানের সাথে আহেদ খানের অনেক দিন থেকে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এই ঝগড়াও ঈদের দিনে আবেদ খান তার আরো দুই প্রতিবেশীকে সঙ্গে করে ইসমাইল খানের উপর বাটাম নিয়ে আক্রমণ করে। শরীরে রক্ত ক্ষরণ অবস্থায় ইসমাইল খান মাটিতে পড়ে গেলে, ইসমাইল খানের পরিবারের লোকেরা এগরা সহপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের চিকিৎসক ৬২ বছর বয়সের ইসমাইল খান কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ইসমাইল খানের ভাই আজমল খান রাতেই এগরা থানায় প্রতিবেশী ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এগ্রা থানা পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিবেশীরাও গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করে।

এগরা থানা পুলিশ রাতেরবেলা ওই গ্রামে তিনজন মহিলা কে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। বাকি আত্মগোপনকারী প্রতিবেশীদের এগরা থানা পুলিশ এখনও খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে তিন মহিলা খালসুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা জালেমা বিবি, রেহেনা বিবি ও হিরা বেওয়া। শনিবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করলে, বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দেন।
এই খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে এগরা থানার পুলিশ ইসমাইল খানের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।