

দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা নেতাজী
১৮৯৭ এর ২৩শে জানুয়ারী
কটকে ওড়িশা রাজ্যে,
আবির্ভুত হ'ল নিষ্পেষিত
ভারতবাসীর মাঝ যে |
ভূমিষ্ট হ'ল অগ্নিপুত্র
সুভাষ চন্দ্র বোস,
পরাধীন দেশের মাটির স্পর্শে
অশ্রু ঝরে ঠস ঠস |
তরুন সুভাষ হ'তে চলল
প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি,
অন্য সহপাঠিদের মত তাঁর
মনে নেই কোন ফুর্তি |
অধ্যাপক ওটেন ভারতীয়দের
করত না মোটে গ্রাহ্য,
ভারত বিদ্বেষী ওটেনকে তাই
সুভাষের হ'ত না সহ্য |
একদিন সপাটে সুভাষের চড়ে
ওটেন হয় পুরস্কৃত,
পরিনামে সুভাষ কলেজ থেকে
হয়ে যায় বহিষ্কৃত |
আই. সি. এস. এ চতুর্থ হওয়ায়
রব উঠে ধন্য ধন্য,
কিন্তু মন যে তাঁর ডুকরে কাঁদে
পরাধীন দেশের জন্য |
ইংরেজদের গোলামি করা
সইল না তাঁর ধাতে,
দেশবন্ধুর কাছে ছুটে যান তিনি
মুক্তি সংগ্রামে যোগ দিতে |
গাল বাড়িয়ে চড় খাওয়া নীতি
সহ্য হয়না মোটে,
নরমপন্থী দল ছেড়ে সুভাষ
নিজের লক্ষ্যে ছোটে |
বিপদ বুঝে ধুর্ত ইংরেজ
আঁটে নানান ফন্দি,
দামাল ছেলেকে শায়েস্তা করতে
নিজ গৃহে রাখে বন্দী |
ইংরেজদের বোকা বানিয়ে
কাবুলির ছদ্মবেশে,
দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা
দেশ ছাড়েন অবশেষে |
কাবুল, রাশিয়া, জার্মানী হয়ে
সিঙ্গাপুরে যান পৌঁছে,
সুভাষ চন্দ্র নেতাজী হলেন
আজাদ হিন্দ ফৌজে |
ডাক দেন তিনি "দিল্লী চলো"
হে সৈনিকগন,
আন্দামান, নিকোবর ও মণিপুরে চলে
ইংরেজ সেনা নিধন |
সেথা জাতীয় পতাকায় ধ্বনিত হয়
পত পত পত শব্দ,
ইত্যবসরে পরমাণুর ঘায়ে
জাপান হয় জব্দ |
পরিবেশ হয় প্রতিকূল
বন্ধ সাহায্যের হাত,
অনাহারে তবু বীর সেনারা
লড়ে চলে দিনরাত |
সেনাপতিরে সৈনিক বলে
হে নির্ভীক বীর,
তুমি বাঁচিলে দেশ বাঁচিবে
পালিয়ে বাঁচাও শির |
হারিয়ে গেল অগ্নিপুত্র
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে,
দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা
বিলীন দেশের বুকে |
মানুষ হয়ে জন্মেও হে বীর
তুমি যে মৃত্যুহীন,
ভারত হৃদয়ে তব দেশপ্রেম
অক্ষয় চিরদিন |
স্বাধীন দেশের দেশবাসী যে
এখনও থাকে চেয়ে,
ভণ্ড দেশপ্রেমিকদের শায়েস্তা করতে
কবে তুমি আসবে ধেয়ে |
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
