
সাবালক বসন্ত
রাতশেষে হাঁটু গেড়ে আজান দিলে ভোর--
জীবন রসায়নের বিবর্তনী ঊষার আলোয়
খসে পড়ে জং-ধরা প্রেম ।
তোমায় আমি সবকিছুই দিতে পারি
কিন্তু যে আমার আলোক সাথী ,
যে আমার সাথেই থাকে আজীবন,
সেই ছায়াটুকু দিতে পারবো না তোমায় ।
গতরাতে কৃষ্ণা দ্বাদশীর চাঁদ দেখেছিল---
জোছনা শিশির একজোগে সোহাগে
দীর্ঘচুম্বন এঁকে ছিল বিষণ্ণ মাটির বুকে ।
আমি রাতজাগা পাখির মতো দেখি বলে
আমার দীর্ঘ শ্বাস ছুঁয়ে যায় সপ্তর্ষি মণ্ডল ।
তুমি আর যা চাও, দিতে পারি তোমায় ,
পারবো না দিতে কেবল, আমার ছায়া ।
কারণ, ইচ্ছে ডানায় চঞ্চলা ভর করে তুমি
হয়ে গেছো, সে এক সপ্তমীর গরীব চাঁদ ।
রাতের গন্ধে আমার ঘুম এসে গেলে ----
রাত্রির বুকে জেগে ওঠে বেয়াদপ স্মৃতি ,
মোহনার তীরে খুঁজতে যায় কেবলই
না বাচক জীবনেরই জীবাশ্ম........!
ঘুমের ঘোরে যখন অচেতন মাঠ হয়ে যাই
যেমন করে বুক চিতিয়ে শুয়ে থাকে ----
নিঃসঙ্গ মাঘী মাঠ, শূন্য বুকে তার
খেলে যায় সোনালী ধানের স্মৃতি কথা,
তেমনই ফুটে ওঠে, তোমার সেই দুটি ঠোঁট ,
তোমার আকাশ দুটি চোখ আর অবয়ব,
যেখানে থেমে আছে আমার জীবন
চলাচল।
স্বপ্নে আমার চোখে তোমার ঠোঁট ছুঁলেই---
রাধাচূড়া আর কৃষ্ণ চূড়ার স্বরলিপিতে
আমলকী বনের হাওয়ার সুরে এখনও
ভেসে আসে সাবালক বসন্তের গান ।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
