ফাইল চিত্র।
প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা মহাকুমা হাসপাতালে । সূত্র মারফত জানা গেছে পটাশপুর থানার পদিমা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় দাস তার স্ত্রী সুচরিতা দেবীকে প্রসূতি বিভাগের এগরা মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। গতকাল রাতে ওই প্রসূতির বাচ্চা প্রসব হওয়ার হওয়ার পরে হঠাৎ করে বেশি পরিমাণ রক্তপাত শুরু হয় । এরপর আজ সকাল দশটায় ওই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয় ।
ফাইল চিত্র।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে “সঞ্জয়বাবু গত ২২ তারিখ এগরা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের ভর্তি করেন এরপর হাসপাতালে ডাক্তার দেখার পরে বলেন ২৩ তারিখ সিজার করতে হবে। সঞ্জয়বাবু ও বাড়ির লোকেরা ডাক্তারবাবু কাছে অনুরোধ করেন যাতে ওই প্রসূতিকে নরমাল ভাবে প্রসব করানো যায় তার ব্যবস্থা নিতে। ডাক্তারবাবু এর উত্তরে জানান উনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। গতকাল রাত্রিবেলা আটটা নাগাদ প্রসব করানোর টেবিলে নিয়ে যাওয়া হয় সুচরিতা দেবীকে। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর হঠাৎ করে সুচরিতা দেবীর অতিরিক্ত রক্তপাত শুরু হয়। বাড়ির লোকেরা কর্তব্যরত নার্সকে খবর দিলেও ডাক্তার এসে পৌঁছয়নি। সকালবেলা ডাক্তারবাবু এসে বলেন অন্য জায়গায় রেফার করতে হবে কিন্তু ইতিপূর্বে প্রাণহানি হয় সুচরিতা দেবীর”। এই ঘটনার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এগরা মহাকুমা হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় এগরা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
