বিবেকানন্দ জীবনচরিত

১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি
নরেন্দ্রনাথ জন্ম নিল,বিশ্বনাথ,ভুবনেশ্বরীর
কোল আলাে করি।
 কি দুরন্ত ছেলে বিলে,ছিল ছােটোবেলায়
ভেঙে চুরমার করে সব,যদি রেগে যায়।
স্মৃতিশক্তি ছিল তার,ভীষণ প্রখর
 বই ওলটালেই পড়া,মনে থাকে জীবনভর।
নিজে না দেখে চোখে,কখনাে কোনাে কিছু করে না বিশ্বাস
সমস্ত কিছুর শেষ না দেখলে,মিটত না তার আশ।
 ভয় ভর বলে কিছু নরেন না জানিত
তার পথে সে কোনাে বাধা না মানিত।
নিজ কর্তব্যে সর্বদা থাকত অবিচল
মানুষের সেবায় ছুটেছিল , স্ন্যাকুমারী থেকে হিমাচল।
নরেন্দ্র করেন ধ্যান সারারাত ধরে
 দিদিমার বাড়ির,অন্ধকার চিলেকোঠা ঘরে ।
 ঠাকুর রামকৃষ্ণের সঙ্গে হল তাঁর , প্রথম সাক্ষাৎ
সেই সাক্ষাতেই নরেন পেলেন দেখতে,নতুন ভারতের পথ।
ডাক পড়ল,পাড়ি দিল , আমেরিকার ধর্ম - মহাসভাতে
বিশ্বের দ্বারে দ্বারে,গীতার বাণী,হিন্দুধর্ম ছড়িয়ে দিতে।
সভামধ্যে শুরু করলেন,অন্তর থেকে জানাল সম্ভাষণ
বলে উঠলেন, সকল আমেরিকাবাসী,মাের ভ্রাতা - ভগিনীগণ।
স্বামীজির প্রাণের ডাক সকলের হৃদয়ে গাঁথিল
সারা বিশ্বজুড়ে ভারতবর্ষকে নতুন করে চিনিল। বিবেকানন্দ করেন সেবা,নররূপ নারায়ণ জ্ঞানে
নীচ-দরিদ্র জাতির মানুষদের ডাকিয়া জনে জনে।
নাম-যশ,টাকা-কড়ি,কোনাে কিছুই নেই তার প্রয়ােজন।
লক্ষ তার,মানবসেবা করতে করতে,কাটে যেন জীবন,
বেলুড় মঠের প্রতিষ্ঠা করেন, ঠাকুরের তরে।
দান-ধ্যান-সেবায় কাজ করেন তাহার ভিতরে।
১৯০২ সালের চৌঠা জুলাই,স্বামীজি বসিলেন ধ্যানে।
সেই ধ্যানই শেষ ধ্যান,৩৯ বছরে চলিলেন মহাপ্রয়াণে।

✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী
ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার, পূর্ব মেদিনীপুর