
🌤️🌥️ মেঘ-রোদ্দুরের ছবি 🌦️⛅
আমার একতারা মন নিয়ে
মাঝে মাঝে দেখা করি নিজের সাথে ।
অস্তিত্বটা আঁধারী ঘোমটা খোলে ,
বাঙ্ময় হতে হতে কেমন যেন
কালসিটে আতঙ্কবাদী হয়ে ওঠে আঁধার.....!
মুখোমুখি দাঁড়ায়, এসে বলে ---
তুমিও জ্বলে ওঠো
আঁধার ফাটানো বাজের মতো ।
দৃষ্টি ছুঁড়ে দ্যাখো, ঐ রঙিন ছবি -----
রক্তে বিবেকের আঁকা তুলিতে
ফুটে উঠে আজও হা-ভাতে,
ফ্যান-ভাতী ক্ষুধার সারিতে মোট বয় ভগবান ।
কালো কালো গাছের গায়ে নীরব জোনাকি
দীপাবলি সাজিয়ে জীবন গড়ে
সূর্য হতে অঋণী আলোয় ।
ওটা ওদের নিজস্ব অন্তরের আলো ।
শ্রম-ভেজা ছেঁড়া গেঞ্জি দুপুরের
ক্লান্তিবিহীন গামছা পরা মুখগুলো
চোখে যুধিষ্ঠিরের দৃষ্টি নিয়ে
আমাদের উঁচু নীচু সমাজ-সভ্যতা হতে
জঞ্জাল সরায়, মেরামতি করে
ওদের পঞ্চপাণ্ডব আঙুলে ।
সংসারে ফেরে ভগবানের মতো ,
ক্ষুৎকাতরী হাঁক ছাড়ে ----
কী রে দুগ্গা খেতে দে.....
পান্তাভাতে উঠোন গড়িয়ে যায় আনন্দ ।
মটর শুঁটির চোখে চেয়ে আছে ভবিষ্যৎ ,
এ্যান্টিবায়োটিক হাওয়ার তাচ্ছিল্যে
যেভাবে চেয়ে থাকে নিম ডালে নিরাময় ।
' কেমন আছেন ' মার্কা প্রশ্ন গুলো
শুধু শুধু পড়ে থাকে রাস্তার ধুলোয়
কোন কাজে আসেনা তাই ।
কাজে আসে গামছা পরা মানুষ
যারা অন্তর দিয়ে আন্তরিকতা পায়না ।
ওরা সেঁজুতি শিখা ,
নিংড়ে ওঠা সৃজনী ধূপের খাঁচি
এবং প্রদীপ তলার আঁধার বাসী ।
ওরা চির বসন্ত, ঝরেপড়া কৃষ্ণ চূড়া ।
আসলে ধর্ম বোঝাতে পারেনি,
মানুষের ভেতর দেবতার মতো মানুষ থাকে ।
বোঝাতে পেরেছে কেবল ---
পাথরেই দেবতা থাকে ।
ঐশ্বর্য -বিত্ত -বৈভব,
তলপেটের তলদেশে কালবৈশাখী ঝড়ে
নিত্য পুরুষকারের উন্মত্ত সিম্ফনি
আর প্রিয়ার সঙ্গম না ভোলা গেলেও
কবর-চিতা থমকে থাকেনা ।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈
