ফাইল চিত্র,
রাজ্যজুড়ে করোনা আবহাওয়া যখন সাধারণ মানুষ থেকে সাস্থকর্মীরা চিন্তিত। এমনি সময় কাঁথি হাসপাতালের মাতৃবিভাগে নিতান্ত অবহেলার দরুন মৃত্যু ঘটে এক নবজাতকের, এমনই অভিযোগ পরিবার সূত্রে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সাস্থ দপ্তর। তবুও এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় করোনা সামগ্রী এর অভাবে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। করোনা রোগী চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রসূতি বিভাগে ও সাধারণ বিভাগে চিকিৎকসার যে গাফিলতি হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
ফাইল চিত্র,
সোমবার রাত ৩ টা নাগাদ এগরা পটাশপুর সীমান্তবর্তী খড়াই গ্রামের বাসিন্দা মৃন্যুঞ্জয় বেরার স্ত্রী সোনালী বেরাকে ভর্তি করানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে। পরের দিন হটাৎ তীব্র প্রসব যন্ত্রনা শুরু হয়, নার্স ও চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে মা নরমালি বাচ্চা প্রসব করতে গেলে তা মাতৃ জঠরে আটকে যায়।অনেক্ষন এরকম অবস্থায় থাকলেও ডাক্তার, নার্স না আসায় ঐখানেই বাচ্চার মৃতু হয় বলে মনে করে প্রসূতি সূত্রে জানা যায়।হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঐদিন সকালে ১০ টায় জানায় নবজাতক সুস্থ আছে, কিন্তু এক ঘন্টা পরে দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক জানান শিশুটি আইসিইউতে ভর্তি আছে, যখনই পরিবার নতুন সদস্যকে দেখতে চায়, হাসপাতাল কতৃপক্ষ দেখান না। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুর পিতার স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরে রাত্রি ১১ টার দিকে জানানো হয় বাচ্চাটি মারা গেছে। ন্যূনতম চিকিৎসার অভাবে সদ্য প্রসূত শিশুর মা কান্নায় ফেটে পড়ে। মৃত শিশুর পরিবারের তরফ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

