কাঁথিতে বিক্ষোভ বেসরকারি স্কুলের সামনে।

ফাইল চিত্র-

কাঁথি,পূর্ব মেদিনীপুর। লকডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল গুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাড়িতে থেকে অনলাইনে পড়াশোনা হবে। এই পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইন মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে । বেসরকারি স্কুল গুলো লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকার সত্বেও বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক খরচ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে এই নিয়ে অনেক জায়গায় অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেন। উদ্যেশ্য একটাই লকডাউন চলাকালীন স্কুলের বিভিন্ন ধরনের মাসিক খরচ মুকুব করা হোক ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। এমনই এক ঘটনা উঠে এলো আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে । অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। অভিভাবকদের মতামত থেকে জানা যায় হঠাৎ করে অভিভাবকদের একটি নোটিশ দেওয়া হয়, এই নোটিশে জানানো হয় স্কুলে একটা পরীক্ষা হবে যেটা জুলাই মাসের ১৫ তারিখ নাগাদ।

এই পরীক্ষাটা বাড়িতে বসে ছাত্রছাত্রীরা দিতে পারবে। কিন্তু তার পূর্বে স্কুলের সমস্ত বকেয়া ফি মিটিয়ে দিয়ে ওই প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আর যদি এই পরীক্ষাটা না দেয় ছাত্রছাত্রীরা তাহলে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারবে না। সেই ক্ষেত্রে অভিভাবকরা মনে করেন এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য সমস্ত বকেয়া ফি সংগ্রহ করছে স্কুল। এর আগেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকরা দাবি করেছিলেন স্কুলের ফি গুলো প্রদান করার ব্যাপারে সবাইকে একটু সাহায্য করতে হবে। যেমন কিছু কিছু চার্জেস বাদ দিতে হবে গাড়ি, ইলেকট্রিসিটি, এছাড়াও অনেক কিছু । কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এসব করার কথা কে গুরুত্ব দেয়নি। একজন অভিভাবকের মতামত থেকে জানা যায় গত ২ তারিখ তারা দেখা করতে এসেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে । বলতে এসেছিলেন ফি দেবেন কিন্তু সেটা অর্ধেক হলে ভালো হয় সেই সঙ্গে গাড়ি ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, কম্পিউটারে বিল এইগুলো ছাড় দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই অভিভাবকদের কোন কথায় গুরুত্ব দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ । স্কুল থেকে হঠাৎ করে এই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে আজ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিবাবকরা। দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। স্কুল কতৃপক্ষ ও কাঁথি থানার পুলিশ মিলে সিদ্ধান্ত নেন উভয় পক্ষ মিলে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে।