ফাইল চিত্র,
“মেয়ে হল ঘরের লক্ষী” এই প্রবাদ বাক্যে সমাজের অধিকাংশ মহল বিশ্বাসী। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া কোন অপরাধ নয়, অথচ কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় অপরাধে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এলাকার মংলামাড়োতে।
ফাইল চিত্র,
মৃতার নাম রঞ্জিতা আড়ি ও স্বামীর নাম মলয় আড়ি । মৃতার দাদা রাজা ঘোড়াইর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় বোন রঞ্জিতার বিয়ে দিয়েছিলেন পটাশপুর থানা মংলামাড়ো এলাকার মলয় বাবুর সাথে । গত সাত বছর হয়েছে তাদের বিয়ে । বোনের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে একজনের বয়স চার বছর অপরজনের দু’বছর। গত বুধবার বিকেলে জামাই বাবু মলয় তখন বাজারে গিয়েছিলেন সেই সময় শ্বশুর ও দেওর মিলে বোনের সাথে ঝগড়াঝাটি করে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ঘরবন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভাই রাজা বন্ধুদের মারফত খবর পেয়ে ছুটে আসেন বোনের শ্বশুর বাড়িতে দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থান পড়ে রয়েছেন বোন এমতাবস্থায় ভাই ও বাপের বাড়ির লোকজন মিলে তড়িঘড়ি করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অনেক কষ্ট সহ্য করেও আজ সকালে বোন রঞ্জিতা মারা যান। ভাই রাজা জানান বোন মারা যাওয়ার আগে বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় বোন নিজে থেকে বলে শ্বশুর ও দেওর মিলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। রাজা ঘোড়াই তার বোন রঞ্জিতা কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার জন্য পটাশপুর থানা শ্বশুর বাড়ির ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।