জিও পরিষেবা না পেয়ে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী।

ফাইল চিত্র

বাসুদেবপুর-এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর।

টেলিকম সংস্থাগুলি দিনের পর দিন বাড়িয়ে চলেছে তাদের রিচার্জ গুলো । মাসে প্রচুর টাকা দিয়ে রিচার্জ করছেন গ্রাহকরা , কিন্তু পরিষেবা পাচ্ছেন বিক্ষিপ্তভাবে। এমনই এক ছবি দেখা গেল এগরা দুই নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রামে। বাসুদেবপুর গ্রামে রয়েছে একটা জিও টাওয়ার। এই টাওয়ার এর উপরে নির্ভর করে আশেপাশের গ্রামগুলো জিওর পরিষেবা পায়।যদিও এটি এগরা দুই নং ব্লকে অবস্থিত তবুও কাঁথি এক নং ব্লকের কিছু এলাকা নির্ভরশীল এই টাওয়ারের ওপর। গত পাঁচ বছর ধরে প্রায় অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই টাওয়ার এর জেনারেটর। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকলেই জিও পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বাসুদেবপুর গ্রাম সহ লাগোয়া আরো কয়েকটি গ্রাম। গ্রামগুলোর জিও গ্রাহকরা ঠিকঠাক পরিষেবা না পাওয়ায় অভিযোগ জানালে তাঁদের বারেবারে জানানো হয় ১২০ দিন থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে পরিসেবা । কিন্তু ঠিক হওয়া প্রায় স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে জিও গ্রাহকদের কাছে।

যিনি টাওয়ার রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন তার মতামত হলো “আমাদের কিছু করার নেই ,আমরা কিছু করতে পারবো না, প্রয়োজনে আপনারা জিও ডিলার এর কাছে গিয়ে বলুন,পরিষেবার ব্যাপারে উনারাই বুঝবেন। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরব দাস এর মতামতে স্পষ্ট ভাবে জানা গেল এগরা দুই নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর এর এই টাওয়ারটি গত পাঁচ বছর প্রায় অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।জেনারেটার পাঁচ বছর এর বেশি সময় ধরে খারাপ হয়ে আছে। বিদ্যুৎ না থাকলে পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি বিদ্যুৎ আসার পরেও কয়েক ঘন্টা পরে নেটওয়ার্ক আসে। বহুবার অভিযোগ করলে বছরে দু’একবার জেনারেটর ভ্যান এসে দাঁড়ায়, তাও এক ঘণ্টার ও কম সময়ের জন্য।
কর্মহীনতার মন্দার বাজারে বেশি টাকা দিয়ে রিচার্জ করেও পরিষেবা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন জিও পরিষেবার উপর নির্ভরশীল অগণিত মানুষ । স্থানীয় লোকজনেরা জানান এরকম ভাবে দিনের পর দিন নেটওয়ার্কের প্রবলেম থাকলে ধীরে ধীরে অন্য টেলিকম সংস্থাগুলি কাছে নিজেদের পরিষেবা স্থানান্তর করবেন।