ফাইল চিত্র,
লকডাউনের সময়ের মধ্যে একের পর এক অপকর্ম, খুন, আত্মহত্যা, বেড়েই চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এলাকায়। এমনই এক জলজ্যান্ত প্রমান রেখে গেলো পটাশপুরের আমর্ষি কসবা এলাকার পরিযায়ী দম্পতি। কর্মসূত্রে হায়দ্রাবাদে থাকতেন বছর ৩২এর অনুপ বেরা ও তার স্ত্রী বছর ২৭এর করুণা বেরা। লকডাউন এর কারনে কিছু দিন আগেই তারা পটাশপুরের বাড়িতে ফেরেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যেদিন থেকে দেশের বাড়িতে ফিরেছেন সেদিন থেকে প্রায় রোজই অশান্তি ঝগড়া লেগেই থাকতো।

কি কারনে এই অশান্তি তা প্রতিবেশী কেউ জানতেন না। কিন্তু প্রতিবেশীরা অনেকে অনুমান করতেন লকডাউনে উপার্জনহীন হওয়ায় অর্থাভাবে এই অশান্তি হয়ত। বুধবার এই পরিবারের অশান্তির সমাপন হয় প্রাণ বিসর্জন দিয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দম্পতি কলহের পর অনেক্ষন কোনো আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিলো না, হঠাৎ স্বামী তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গিয়ে বলেন “আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি, তাড়াতাড়ি পুলিশ ডাকুন” তারপর বাড়ি ফিরে যান। তারপর বাড়ি ফিরে নিজে করিকাঠে ফাঁসি লাগিয়েছেন। প্রতিবেশীরা কৌতূহলবশত বাড়িতে দেখতে গেলে, দেখতেপান করুণা দেবীকে কেউ যেনো গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরেছে আর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন তিনি। অপরদিকে অনুপ বাবু ঘরের কড়িকাঠে গলায় ফাঁস লাগিয়েছেন। ততক্ষণে দুজনেই প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। আরো জানা গেছে ওই দম্পতির দুটি শিশু আছে একটি চার বছরের অপরটি আড়াই বছরের। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে, এগরা থানার পুলিশে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সূত্র মারফত জানা যায় হয়তো অশান্তির জেরে স্বামী ক্রোধেরবশে নিজ স্ত্রীকে ধারালো কিছুদিয়ে কোপ মারে, পরিস্থিতি ভয়াবহতা বুঝে নিজেকে সামাল দিতে না পেরে বাড়ির কড়িকাঠে ফাঁসি লাগায়। তবে প্রকৃত কি কারনে চলে যেতে হোলো দুজনকেই তা এখনো সঠিক প্রমান পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকার লোকজন এখোনো শোকস্তব্ধ রয়েছেন।