ফাইল চিত্র,
বলিয়ারপুর, কাঁথি গত শুক্রবার এক ব্যক্তির কোরোনা রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার পর কাঁথি পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ বলিয়ারপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত দুদিন কাঁথি শহরে রাস্তা ঘাট প্রায় শুনশান ছিলো এই আক্রান্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে, এমতাবস্থায় নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন । শনিবার আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি কাঁথি এক নং জুনপুট কোস্টাল থানার বলিয়ারপুর পরিদর্শন করেন সমস্ত উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ ,পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জি ,মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য ,মহকুমা পরিষদ পুলিশ আধিকারিক অভিষেক চক্রবর্তী, প্ৰশাসনের আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিক গন।
বলিয়ারপুরে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সপরিবারে ভাড়া থাকতেন কাঁথি ক্যানেলপাড় এলাকায়,লকডাউন কে উপেক্ষা করে গত মে মাসের ১ তারিখ তিনি তাঁর পরিবার দেশের বাড়িতে চলে যান আর সেখানে ৪ই মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬ই মে কাঁথিতে এক চিকিৎসককে দেখান, ৯ই মে পরিস্থিতির আরোও বাড়াবাড়ি হলে ১১ই মে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন । উনার শারীরিক পরিস্থিতি বিচার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল ওই দিন বিকেলে এন আর এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন কিন্তু ওই ব্যক্তি ওই কলেজ হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে হাওড়ার শিবপুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৩ ই মে তিনি আবার পুনরায় হাওড়ার ওই হাসপাতাল পরিবর্তন করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৪ ই মে উনার লালার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৫ মে শুক্রবার তাঁর পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা কে কেন্দ্র করে একাধিক গুজব ছড়াতে শুরু করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয় লকডাউন বাড়াতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফ থেকে , মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন শুধুমাত্র বালিয়ারপুর মন্ডলপাড়া কে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে যা যা নির্দেশিকা ও স্বাস্থ্য বিধি আছে তা সমস্ত পালন করতে বলা হয়েছে । কাঁথি শহরে প্রতিদিনের মত সকাল দশটায় দোকান খুলবেন ব্যবসায়ীরা আর বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমস্ত দোকান বন্ধ করতে হবে। দোকান খোলার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়কে , নিয়ম মেনে আগের মতই লকডাউন চলবে কাঁথি শহরে। নতুন করে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি আগামী দিনগুলো একইভাবে চলবে কাঁথি শহর ।