মেদিনীকথার উৎসর্গ রাম প্রসাদ বিসমিল।

ফাইল চিত্র,

রাম প্রসাদ বিসমিল

রাম প্রসাদ বিসমিল একজন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর বিপ্লবী ছিলেন । তিনি ১৯১৮ সালে  সালের মৈনপুরী ষড়যন্ত্র এবং ১৯২৫ সালের কাকোরি ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।  রামপ্রসাদ বিসমিল "মৈনপুর কান্ড" আর "কাকোরী কান্ডে" নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশ শাসকের বুকে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছিল।১১ বছরের বিপ্লবী জীবনে রামপ্রসাদ অনেক বই লিখেছিলেন এবং তা তিনি স্বয়ং নিজেই প্রকাশ করেন। রাম প্রসাদের জীবনকালেই প্রায় সমস্ত বই প্রকাশিত হয়, কিন্তু ইংরেজ সরকার তার সমস্ত বই নিষিদ্ধ করে দেন। বিসমিলকে তাঁর বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের জন্য ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটিশরা ফাঁসি দিয়েছিল। রামপ্রসাদ বিসমিল ভারতের স্বাধীনতার জন্য মাত্র ৩০ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে শহীদ হন।

রামপ্রসাদ বিসমিল ছিলেন বিপ্লবী সংগঠন হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। শহীদ ভগৎ সিং তাকে এই বলে প্রশংসা করেছেন যে তিনি উর্দু ও হিন্দিতে একজন মহান কবি ও লেখক ছিলেন, যিনি ইংরেজি থেকে  ক্যাথেরিন এবং বাংলা থেকে বলশেভিক কী কর্তৃত্ব অনুবাদ করেছিলেন।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন দেশপ্রেমিক কবি এবং হিন্দি ও উর্দুতে লেখা লেখি করতেন ।তবে, তিনি কেবলমাত্র শেষ নাম "বিসমিল" দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। 

তাঁর বিখ্যাত রচনা---
 " সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিল মে হে দেখ না হে জোর কিতনা বাজো হে কাতিল মে হে ।"
                              এই গান গেয়ে কত অগণিত বিপ্লবী যে ফাঁসির মঞ্চে শহীদ হয়েছেন তার হিসেব  নেই।

 জন্ম:
 ১১ ই জুন ১৮৯৭ সাল, শাহজাহানপুর, উত্তর প্রদেশ ।

আত্মবলিদান :
১৯ শে ডিসেম্বর ১৯২৭ সাল,গোরক্ষপুর।
 
রাম প্রসাদ বিসমিল ১৮৯৭ সালের ১১ ই জুন উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিলের পিতার নাম ছিল মুরলিধর ও মাতার  নাম মুলমতি দেবী। মুরলিধর বাড়িতে বসেই রাম প্রসাদ কে হিন্দি শেখাতেন, সে সময় উর্দু ভাষাও খুব প্রচলিত ছিল যার কারনে রামপ্রসাদ কে এক মৌলবী সাহেবের কাছে পাঠানো হত উর্দু শিখবার জন্যে । পণ্ডিত মুরলিধর রামপ্রসাদের পড়াশোনায় বিশেষ লক্ষ্য দিতেন, একটু বদমাসি  করলেই রামপ্রসাদ কে মার খেতে হত। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রামপ্রসাদ সবসময় ফাস্ট হতো। বাল্যকালে থেকেই আর্যসমাজের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে গড়ে ওঠে। শাহজানপুরে আর্যকুমার সভা স্থাপিত করেন। শাহজানপুরে আর্যসমাজ মন্দিরে স্বামী সোমদেবের সংস্পর্শে আসেন এবং সেখান থেকেই তাঁর জীবনে পরিবর্তন আসে। 

বিসমিলের তখন ১৮ বছর বয়স বিসমিল স্কুল ছেড়ে কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে লখনউ ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ে ।এই চরম পন্থী  দলকে নগরীতে তিলকের নেতৃত্বে বিশাল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার জন্য নরম পন্থী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রস্তুত ছিল না। 

তারা একদল যুবকদের সংগঠিত করেছিল এবং সোমদেবের সম্মতিতে আমেরিকান স্বাধীনতার ইতিহাস, আমেরিকা কী স্বতন্ত্র কা ইতিহাসের হিন্দিতে একটি বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই বইটি কল্পিত বাবু হরিভানস সহয়ের লেখায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং এর প্রকাশকের নাম সোমদেব সিদ্ধগোপাল শুক্লা দেওয়া হয়েছিল। বইটি প্রকাশের সাথে সাথেই উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের মধ্যে এর প্রচলন নিষিদ্ধ করেছিল।

বিসমিল মাত্রিবেদী  নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন গঠন করে এবং আড়াইয়ার স্কুল শিক্ষক গেঁদা লাল দীক্ষিতের সাথে যোগাযোগ করেছিল। সোমদেব এই  ব্যবস্থা করেছিলেন, জেনে যে বিসমিল তার মিশনে আরও কার্যকর হতে পারে যদি তার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য লোকেরা থাকে। দীক্ষিতের রাজ্যের কয়েকটি শক্তিশালী ডাকাতদের সাথে যোগাযোগ ছিল। দীক্ষিত ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে তাদের শক্তিটি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।  বিসমিলের মতো দীক্ষিতও শিবাজি সমিতি নামে পরিচিত যুবকদের একটি সশস্ত্র সংগঠন গঠন করেছিলেন (শিবাজী মহারাজের নামানুসারে)। এই জুটি তাদের সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য ইউনাইটেড প্রদেশের বর্তমানে উত্তর প্রদেশ,  ইটাওয়াহ, মৈনপুরী, আগ্রা ও শাহজাহানপুর জেলা থেকে যুবকদের সংগঠিত করেছিল।

 ২৮ শে জানুয়ারী, ১৯১৮ সালে বিসমিল দেশবাসী কে নাম সন্দেশ (দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি বার্তা) শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যা তিনি তাঁর কবিতা মৈনপুরী কি প্রতিজ্ঞা (মৈনপুরীর ব্রত) সহ বিতরণ করেছিলেন। পার্টির অর্থ লুটপাটের জন্য জন্য ১৯১৮ সালে তিনবার তাঁকে শকোজ করা হয়েছিল।
ইউএনপি কর্তৃক অনুমোদিত বই বিক্রি করার সময় পুলিশ তাদের মৈনপুরীর আশেপাশে অনুসন্ধান করেছিল। ১৯১৮ সালের পুলিশ যখন এগুলি পেয়েছিল, তখন বিসমিল বই বিক্রি না করে পলাতক হয় আত্মগোপন করেন ।  তিনি যখন দিল্লি ও আগ্রার মধ্যে আরেকটি লুটপাটের পরিকল্পনা করছিলেন, তখন একদল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয় এবং 

✍️ সন্দীপ চক্রবর্ত্তী

(ব্যবত্তারহাট, নন্দকুমার, পূর্ব মেদিনীপুর )

🙏 যদি আপনি আপনার গ্রাম বা শহরকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য আমাদের কাছে।
নীচের লিংকে ক্লিক করে যোগ দেন আমাদের সাথে, তথ্য পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন দের কাছে, আপনার তথ্যটি বিবেচনা করে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেজ ও গ্রুপে।💐

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️🔽⬇️
আমাদের 👨‍💻 ওয়েবসাইটের ঠিকানা 👇
https://www.MEDINIKOTHA.in
আমাদের 🎦 ইউটিউবের ঠিকানা 👇
https://www.youtube.com/c/MEDINIKOTHA
আমাদের 🖼️ ইনস্টাগ্রামের ঠিকানা 👇
https://www.instagram.com/medinikotha
আমাদের 🤳 ফেসবুক গ্রুপের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/medinikotha
আমাদের 🚻 ফেসবুক গ্রুপ কাঁথি মহকুমা ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/groups/contaigroup
আমাদের 🚀 টেলিগ্রাম গ্রুপের ঠিকানা 👇
http://t.me/medinikotha
আমাদের ✈️ টেলিগ্রাম চ্যানেলের ঠিকানা 👇
https://t.me/medinikatha
আমাদের 📧 ই-মেইল ঠিকানা 👇
medinikotha.contai@gmail.com
আমাদের 🗃️ কাঁথি পেজের ঠিকানা 👇 https://www.facebook.com/ContaiSubdivision
আমাদের 📖 দীঘা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/DighaOldNew
আমাদের 📝 এগরা পেজের ঠিকানা👇
https://www.facebook.com/Egra2
আমাদের 📒 রামনগর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Ramnagar4
আমাদের 📔 হেঁড়িয়া পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Henria
আমাদের 📕 খেজুরী পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Khejuree
আমাদের 📙 নাচিন্দা পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/NachindaMa
আমাদের 📙 তাজপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Tajpoor
আমাদের 📓 শংকরপুর পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Sankarpoor
আমাদের 📃 সাতমাইল পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Satmile
আমাদের 📄 পেটুয়াঘাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Petuaghat
আমাদের 🗒️ দেউলীহাট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Medinikotha6
আমাদের 📘 জুনপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Junput2
আমাদের 📗 বাঁকিপুট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Bakiput
আমাদের 📚 মান্দারমনি পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/Mandarmanee
আমাদের 🛰️ ওয়েবসাইট পেজের ঠিকানা 👇
https://www.facebook.com/medinikotha.in

Social Share

অনুসন্ধান !!

এখনকার খবর !!

1 thought on “মেদিনীকথার উৎসর্গ রাম প্রসাদ বিসমিল।”

Leave a Reply to rahul das Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *