ফাইল চিত্র,
নীলকান্ত বিদ্যাগৌরী
জন্ম - 01.06.1876. মৃৃৃত্যু - 07.12.1958.
জুনের পয়লা আঠারশ' ছিয়াত্তরে
বিদ্যাগৌরী জন্ম আমেদাবাদ নগরে।
গুজরাটে প্রথম তিনি মহিলা স্মাতক
দর্শনের সম্মানিক ঊনিশশ' এক।
সমাজ সংস্কার কাজে তাঁর অভিসার
স্বাধীনতা সংগ্রামে দান ন্যূন নয় তাঁর।
জালিয়ান হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদ করে
মিছিলের আয়োজন গুজরাটে,নগরে।
তিরিশে দমননীতির প্রতিবাদ তাঁর
'কেশর-ই-হিন্দ' খেতাব ক'রে প্রত্যাহার।
প্রবন্ধ অসংখ্য আছে সে সবের মাঝে
বিধবার পক্ষে আছে, বাল্যবিবাহ রোধে,
অসবর্ণ বিবাহকে করে সমর্থন
গোঁড়ামির প্রতি আছে তীব্র আক্রমণ।
সমাধান পথ আছে নারী সমস্যার
জীবনভর চেষ্টা যাতে শিক্ষার প্রসার।
সাহিত্য জগতে দেখি গুজরাট প্রদেশে
উজ্জ্বল জ্যোতিষ্করূপে বিদ্যাগৌরী ভাসে।
ঊনিশশ'তিরিশ থেকে আট বছর ধরে
সাহিত্যশাখা সভাপতি আমেদাবাদ শহরে।
মিউনিসিপ্যালিটির স্কুল বোর্ডে, তাঁর
সম পদে আট বছর স্বচ্ছন্দে বিহার।
স্থাপনেও বিদ্যাগৌরী অন্যতমা হন
চৌদ্দতে 'মহিলা মণ্ডল' করেন স্থাপন।
'লালশঙ্কর উমাশঙ্কর কলেজ ফর ওম্যান'
স্থাপনেও অন্যতমা বিদ্যাগৌরী ছিলেন।
'হরিজন সেবক সঙ্ঘ' সেখানেও তিনি
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়েছেন জানি।
'সংসারসুধা সমাজ' 'প্রার্থনা সমাজ'এ
সেবা প্রতিষ্ঠানে তিনি সভানেত্রী সাজে।
কংগ্রেসের কাজে স্মরি তাঁর অবদান
সভাপতি পদে দেখি তাঁর অবস্থান,
'সর্ব্বভারতীয় মহিলা সম্মেলন' স্থলে
বত্রিশ তেত্রিশ দুই পর পর সালে।
রাজনৈতিক মতাদর্শে মধ্যপন্থা তাঁর
গান্ধী কহে, 'নারীরত্ন' ভারত মাতার।
নির্বাচনে জয় ছিল শ্রেষ্ঠ তাহা নয়
মানুষের জন্য কাজে শ্রেষ্ঠ পরিচয়।
উন্নত করিতে দেশ প্রতিষ্ঠার পথে
ভেদাভেদ মুছে দিতে শিক্ষার আলোকে
বিদ্যাগৌরী অবদান নহে ভুলিবার
নীলকান্ত মণি হেন বক্ষে শোভিবার।

আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

1 thought on “মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে নীলকান্ত বিদ্যা্যাগৌরী।”
Khub valo