ফাইল চিত্র,

প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম-12.04.1885 মৃত্যুু- 23.05.1930.
ভারতগৌরব প্রত্নতত্ত্ব পুরাতাত্ত্বিক রূপে
অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ রাখালদাস থেকে।
পুরাতত্ত্ব বিভাগ অধ্যক্ষ ঊনিশ'শ বাইশে
লারকানা সফরে এলেন সিন্ধুপ্রদেশে।
খননে মহেঞ্জোদারো তাঁর আবিষ্কার।
সারা বিশ্ব বাধ্য হলো করতে স্বীকার
সভ্যতার পুণ্য দীপ সমুজ্জ্বলভাবে
ভারতই জ্বালিয়েছে বিশ্বে সব আগে।
প্রাচীন লিপি পাঠোদ্ধার দক্ষতা তাঁহার
গৌরবোজ্জ্বল ভারতের ইতিবৃত্ত করেছে উদ্ধার।
একে তিনি জন্মেছেন পরাধীন দেশে
শাসক ইংরেজ চাহে রাখিবারে বশে।
অনিবার্য্য মতভেদে চাকরি দিলেন ছেড়ে
খননকার্য্য শুরুর মাত্র চার বছর পরে।
কে জানে চাপা পড়া কত না ইতিহাস
অপেক্ষায় ছিল কবে আসে রাখালদাস!
আঠাশ থেকে অধ্যাপনা হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে
বারাণসীতে ইতিহাস-সংস্কৃতি বিভাগে।
অসামান্য বিশ্লেষণে রচিলেন ইতিবৃত্ত
বাংলা-উড়িষ্যা শশাঙ্ক ধর্মপাল পর্য্যন্ত।
ত্রিপুরী হৈহেয় আছে 'পাষাণের কথা'
মনোজ্ঞ রচনায় কত দেশ-গর্ব গাঁথা।
পঁয়তাল্লিশ বছর মাত্র যদিও আয়ুষ্কাল
বহুমূখী প্রতিভার দ্যুতি রবে চিরকাল।
মননশীল ওই পণ্ডিতের মুদ্রাগ্রন্থটাই
বাংলা বা ইংরজীতে বিষয়ের প্রথম বই।
মুর্শিদাবাদ-বহরমপুরের সুকৃতি সন্তান
দেশগৌরব বীরপুত্রে সহস্র প্রণাম।
আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার এলাকার তথ্য, আপনার লেখা ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প বা আপনার আঁকা ছবি।
আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে শর্তসাপেক্ষে তা সর্বসমক্ষে প্রকাশ করব, আপনাদের প্রিয় এই ওয়েবসাইটে।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংযুক্ত হতে চাইলে এই লেখার উপর ক্লিক করুন 👈

1 thought on “মেদিনীকথার উৎসর্গ কবির কলমে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।”
লেখাটা ভালো লাগলো